চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচিতি ও ইতিহাস।
- আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
- / 71
চট্টগ্রাম- বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
ভৌগোলিক অবস্থান
চট্টগ্রাম বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এর পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে মিয়ানমার এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
উপজেলা ও জেলা
মোট ১১টি জেলা রয়েছে। এই জেলাগুলো হলো:
- চট্টগ্রাম
- কক্সবাজার
- বান্দরবান
- রাঙ্গামাটি
- খাগড়াছড়ি
- নোয়াখালী
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- চাঁদপুর
- কুমিল্লা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চট্টগ্রাম বিভাগের ইতিহাস
ইতিহাস অনেক পুরনো। এটি প্রাচীনকালে আরাকান রাজ্যের অংশ ছিল। পরে এটি চন্দ্র ও দেহান বংশের শাসনের অধীনে আসে। ১৫৬৬ সালে মোঘল সম্রাট আকবর চট্টগ্রামকে দখল করেন। এরপর ব্রিটিশ শাসনামলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ:
- সুফি সাধক: বদর আউলিয়া। মোল্লা মিসকিন শাহ। শাহ আমানত। সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী। সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী। সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক। আজিজুর রহমান। আলী রজা। জমিরুদ্দিন আহমদ। জমির উদ্দিন নানুপুরী। সুলতান আহমদ নানুপুরী।
- ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন: সূর্য সেন। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। আবদুল বারী চৌধুরী। অনন্ত সিং। লালমোহন সেন। অম্বিকা চক্রবর্তী। কল্পনা দত্ত। কল্যাণী দাস। অপূর্ব সেন। অম্বিকা চক্রবর্তী।
ভারত ছাড়ো আন্দোলন: মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী। মাহবুব উল আলম চৌধুরী। আবদুল বারী চৌধুরী।
- ভাষা আন্দোলন: আবুল কাসেম। মাহবুব উল আলম চৌধুরী।
- খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম: বেলায়েত হোসেন। মোজাহার উল্লাহ।
বীর বিক্রম: অলি আহমেদ। আবদুল করিম। আবদুল হক।
বীর প্রতীক: আবু তাহের মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। আহমেদ হোসেন। এম হারুন-অর-রশিদ। কবির আহম্মদ। তাজুল ইসলাম। দুদু মিয়া। মোজাম্মেল হক। মোহাম্মদ নূরুল হক। মোহাম্মেদ দিদারুল আলম। সিরাজুল হক। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
- ইসলামী ব্যক্তিত্ব: আজিজুল হক। আ ফ ম খালিদ হোসেন
আবদুর রহমান। আব্দুল ওয়াহেদ বাঙ্গালী। শাহ আহমদ শফী। জুনায়েদ বাবুনগরী। নুরুল ইসলাম জিহাদী। ওবায়দুল হক নঈমী। জালালুদ্দীন আল কাদেরী। মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান। মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। শাহ আবদুল ওয়াহহাব। শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব।
অর্থনীতিবিদ: নোবেল বিজয়ী ও অর্ন্তরবর্তীকালীন সরকার প্রধান- ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হোসেন জিল্লুর রহমান।
- রাজনীতিবিদ: ফজলুল কাদের চৌধুরী। অলি আহমেদ। আ জ ম নাছির উদ্দীন।আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী। দিলীপ বড়ুয়া। মইন উদ্দীন খান বাদল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। হাছান মাহমুদ। জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু। সাবিহা নাহার বেগম।
- কবি ও সাহিত্যিক: মহাকবি- আলাওল। আহমদ ছফা। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। দৌলত উজির বাহরাম খান। দৌলত কাজী। নওয়াজিশ খান। নবীনচন্দ্র সেন। নসরুল্লাহ খাঁ।সুকুমার বড়ুয়া। বিমল গুহ। রাশেদ রউফ। শাহ মুহম্মদ সগীর। শ্রীকর নন্দী। সাবিরিদ খান।
- ক্রিকেটার: আকরাম খান। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আফতাব আহমেদ। তামিম ইকবাল। নাজিমউদ্দিন। নাফিস ইকবাল। নূরুল আবেদীন নোবেল।
- অভিনয়শিল্পী: শাবানা। আদিল হোসেন নোবেল। নুসরাত ফারিয়া মাজহার। পার্থ বড়ুয়া। পূর্ণিমা। মেহজাবিন চৌধুরী। সারিকা সাবরিন।
- সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক: আইয়ুব বাচ্চু। ইমন সাহা। আসিফ ইকবাল। কুমার বিশ্বজিৎ। তপন চৌধুরী। পার্থ বড়ুয়া। রবি চৌধুরী। তাসমিনা চৌধুরী অরিন। শেফালী ঘোষ।
( তথ্য সম্পাদনায় সহোযগিতায়: উইকিপিডিয়া)
চট্টগ্রাম বন্দর
বন্দরের ইতিহাস অনেক পুরনো। এটি বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। প্রতিদিন প্রচুর পণ্য এখানে আসে ও যায়।
বিষয় | তথ্য |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৮৮৭ |
অবস্থান | চট্টগ্রাম |
মালিকানা | বাংলাদেশ সরকার |
প্রধান পণ্য | বিভিন্ন পণ্য |
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনন্য। এখানে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র, নদী এবং বন। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পাহাড়ি এলাকার জন্য বিখ্যাত।
আরও অন্যান্য বিভাগ ও জেলার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন;
Credit: www.linkedin.com
প্রধান পর্যটন কেন্দ্র
অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। কিছু প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হলো:
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- সাজেক ভ্যালি
- নীলগিরি
- পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
- ফয়েজ লেক
শিক্ষা ও সংস্কৃতি
শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উন্নত। এখানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। সংস্কৃতির দিক থেকে খুবই সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব পালিত হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন্দর দেশের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র।
এছাড়া এখানে অনেক শিল্প-কারখানা রয়েছে। বিশেষত, বস্ত্র, পাট, চামড়া, এবং ইস্পাত শিল্পে বিভাগের অবদান অনেক।
চট্টগ্রামের খাদ্য
খাবার খুবই জনপ্রিয়। এখানকার মেজবানি মাংস, সুটকি, এবং চাটগাঁইয়া মিষ্টি বিখ্যাত।
বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এর ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। আশা করি, বিভাগের পরিচিতি ও ইতিহাস সম্পর্কে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।
Frequently Asked Questions
বিভাগের ইতিহাস কী?
বাংলাদেশের একটি প্রাচীন অঞ্চল। এটি বৌদ্ধ ও হিন্দু সভ্যতার ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ।
নামের উৎস কী?
চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি চট্টল বা চতুরাগ্রাম থেকে। এটি প্রাচীনকালে বন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল।
বিভাগের প্রধান শহর কোনটি?
প্রধান শহর হল চট্টগ্রাম। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
বিভাগে কতগুলি জেলা আছে?
মোট ১১টি জেলা রয়েছে। প্রতিটি জেলা নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য।