জুনাইদ আহমেদ পলক এআই-এর সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেছেন !
বাংলাদেশে জি-ব্রেনের মাধ্যমে এআই উদ্ভাবন।
- আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
- / 94
এআই ফর গুড গ্লোবাল সামিটে ‘লিডারস স্পিক:
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী ‘জুনায়েদ আহমেদ পলক” এআই ফর গুড গ্লোবাল সামিট হল আইটিইউ এবং জাতিসংঘের আয়োজিত একটি বার্ষিক সম্মেলন যেখানে এআই-এর নীতি, নিয়ন্ত্রণ ও নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। “জি-ব্রেন” হল বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সরকারি সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়ার অসাধারণ সম্ভাবনা ধারণ করে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এআই-এর সাথে ঝুঁকিও যুক্ত রয়েছে। আমাদের সক্রিয়ভাবে এগুলো মোকাবেলা করতে হবে যাতে এআই-এর অসাধারণ সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি উভয়ের উপর আলোকপাত করে। তিনি যুক্তি দেন যে সরকার, শিল্প এবং সমাজের একসাথে কাজ করা উচিত যাতে নিশ্চিত করা যায় যে এআই ব্যবহার করা হয় বৃহত্তর ভালোর জন্য এবং সম্ভাব্য ক্ষতি এড়ানো হয়। নিশ্চিত করা যায় যে এই শক্তিশালী প্রযুক্তিটি বৃহত্তর ভালোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশের জন্য এআই:
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এআই বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। “জি-ব্রেন”-এর মতো উদ্যোগগুলি সরকারি পরিষেবা উন্নত করতে এবং দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে, বাংলাদেশের কাছে এআই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্যোগগুলি সরকারি পরিষেবা প্রদানের দক্ষতা এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।
এআই গভর্নেন্সের গুরুত্ব:
‘জুনায়েদ আহমেদ পলক’ যুক্তি দেন যে এআই-এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য শক্তিশালী নীতি এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। এতে নৈতিক নির্দেশিকা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা এআই-এর দায়িত্বশীল এবং ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করে। এআই-এর সম্ভাব্য সুবিধাগুলি কাজে লাগানোর জন্য, আমাদেরকে অবশ্যই এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। নৈতিক নির্দেশিকা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো এআই-এর দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং সম্ভাব্য ক্ষতি রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ। এআই-এর সম্ভাব্যতা অর্জন করতে এবং এর ঝুঁকি মোকাবেলা করতে সরকার, শিল্প এবং সমাজকে একসাথে কাজ করতে হবে। ‘জুনায়েদ আহমেদ পলক -এর নেতৃত্বের মতো উদ্যোগগুলি এই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আলোচনার মূল পয়েন্টগুলো:
এআই মানুষের ক্ষমতায়ন ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে পারে: এআই-এর সাহায্যে আমরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারি, যেমন সরকারি সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ইত্যাদি। সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, এআই-এর অপব্যবহারের সম্ভাবনাও রয়েছে, যেমন পক্ষপাত, বৈষম্য, গোপনীয়তা লঙ্ঘন ইত্যাদি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, সরকার এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে যাতে এআই-এর সুফল ভোগ করা যায় এবং ঝুঁকিগুলো মোকাবেলা করা যায়। বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা,”জি-ব্রেন”-এর মাধ্যমে সরকারি সেবা আরও উন্নত ও কার্যকর করার লক্ষ্য স্থাপন করা হয়েছে। নৈতিক দিকনির্দেশিকা ও নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা: এআই-এর দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করা জরুরি।
এআই-এর সম্ভাব্য সুফল ও ঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে তোলে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য এআই কীভাবে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে তা বোঝার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে এআই মানবজাতির জন্য একটি ইতিবাচক শক্তি হিসেবে কাজ করে।