ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক গ্যাসক্ষেত্র: হবিগঞ্জের জ্বালানি উৎসের গল্প

বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তায় হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের ভূমিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক,
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • / ৩৪৮৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

Last Updated on

May 16th, 2024 05:39 pm

হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র: প্রাকৃতিক সম্পদের এক অমূল্য ভাণ্ডার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় অবস্থিত, মনোরম পাহাড় ও চা বাগানের কোলে বসে থাকা হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি কর্তৃক আবিষ্কৃত হয় এই প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার।

উৎপাদন:
১৯৬৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয় হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র থেকে। বর্তমানে ৭টি উৎপাদনক্ষম কূপ থেকে দৈনিক গড়ে ১১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।

প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সরবরাহ:
উত্তোলিত গ্যাস ৬টি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে টিজিটিডিসিএল, জেজিটিডিএসএল এবং জিটিসিএল-এর পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। উপজাত দ্রব্য:গ্যাসের সাথে সাথে, গড়ে দৈনিক ৭ ব্যারেল হারে কনডেনসেটও উৎপাদন করা হয় এই ক্ষেত্র থেকে।
মজুদ:হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ধরা হয়েছে ২,৭৮৭ বিলিয়ন ঘনফুট।

গুরুত্ব:
হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পকারখানা, এবং সাধারণ মানুষের রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এখানে উৎপাদিত গ্যাস। দীর্ঘদিন ধরে উত্তোলনের ফলে ক্ষেত্রের গ্যাসের মজুদ ক্রমশ কমে আসছে। টেকসই উত্তোলন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

পরিবেশগত প্রভাব:
গ্যাস উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে পরিবেশে কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পরিবেশগত ক্ষতি কমানোর জন্য নিয়মিত পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ক্ষেত্র। টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এই সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐতিহাসিক গ্যাসক্ষেত্র: হবিগঞ্জের জ্বালানি উৎসের গল্প

বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তায় হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের ভূমিকা

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

Last Updated on

May 16th, 2024 05:39 pm

হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র: প্রাকৃতিক সম্পদের এক অমূল্য ভাণ্ডার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় অবস্থিত, মনোরম পাহাড় ও চা বাগানের কোলে বসে থাকা হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি কর্তৃক আবিষ্কৃত হয় এই প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার।

উৎপাদন:
১৯৬৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয় হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র থেকে। বর্তমানে ৭টি উৎপাদনক্ষম কূপ থেকে দৈনিক গড়ে ১১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।

প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সরবরাহ:
উত্তোলিত গ্যাস ৬টি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে টিজিটিডিসিএল, জেজিটিডিএসএল এবং জিটিসিএল-এর পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। উপজাত দ্রব্য:গ্যাসের সাথে সাথে, গড়ে দৈনিক ৭ ব্যারেল হারে কনডেনসেটও উৎপাদন করা হয় এই ক্ষেত্র থেকে।
মজুদ:হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ধরা হয়েছে ২,৭৮৭ বিলিয়ন ঘনফুট।

গুরুত্ব:
হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পকারখানা, এবং সাধারণ মানুষের রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এখানে উৎপাদিত গ্যাস। দীর্ঘদিন ধরে উত্তোলনের ফলে ক্ষেত্রের গ্যাসের মজুদ ক্রমশ কমে আসছে। টেকসই উত্তোলন ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

পরিবেশগত প্রভাব:
গ্যাস উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে পরিবেশে কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পরিবেশগত ক্ষতি কমানোর জন্য নিয়মিত পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ক্ষেত্র। টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এই সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।