ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শূন্য থেকে আরিয়ান রাসেল একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ফ্রিল্যান্সার ।

শূন্য থেকে আরিয়ান রাসেল একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ফ্রিল্যান্সার ।

ফারুকুজ্জামান জুয়েল
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / 158

ছবিঃ Ariyan Rasel

কর্মসংস্থানের ধারণা বর্তমানে ক্রমশ বিবর্তিত হচ্ছে। চাকরির বাইরেও স্বাবলম্বী হওয়ার অসংখ্য সুযোগ উন্মোচিত হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং এরূপ একটি বিকল্প, যেখানে ব্যক্তিগত দক্ষতা ও জ্ঞান ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করে আয় করা সম্ভব। আরিয়ান রাসেল তেমনই একজন তরুণ, যিনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।

কর্মজীবনের সূচনা:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আরিয়ান রাসেলের মনে অনলাইনে কাজ করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব তার পথে বাধা সৃষ্টি করে। বন্ধুদের সহায়তায় তিনি কম্পিউটার সংগ্রহ করেন এবং ইউটিউব ও অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করেন। অধ্যবসায় ও ধৈর্যের সাথে তিনি তিন বছর ধরে জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন।

পেশাগত কৃতিত্ব:

বর্তমানে আরিয়ান রাসেল ফাইবার ও Upwork-এর মতো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), Google Ads এবং Facebook Ads-এর উপর দক্ষতার সাথে কাজ করেন।

আর্থিক সফলতা:

আরিয়ানের আয়ের পরিমাণ প্রতি মাসে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ হাজার টাকা। এটি একজন তরুণ ফ্রিল্যান্সারের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্জন।আরিয়ান বিশ্বাস করেন, তার এই ছোট্ট উদ্যোগ একদিন একটি বৃহৎ কর্মসংস্থানে পরিণত হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সামাজিক দায়িত্ব:

আরিয়ান কেবল নিজের সফলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি ‘Outsourcing Institute BD’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে তিনি বেকার তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তার লক্ষ্য হলো গ্রামের স্বল্প আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তুলে বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা।

আরিয়ান রাসেলের জীবনচরিত্র তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। তার অধ্যবসায়, ধৈর্য এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহ তাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলেছে। তিনি শুধু নিজের সফলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং অন্যদের সাহায্য করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করছেন।।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শূন্য থেকে আরিয়ান রাসেল একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ফ্রিল্যান্সার ।

শূন্য থেকে আরিয়ান রাসেল একজন প্রতিষ্ঠিত সফল ফ্রিল্যান্সার ।

আপডেট সময় : ০১:৩৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

কর্মসংস্থানের ধারণা বর্তমানে ক্রমশ বিবর্তিত হচ্ছে। চাকরির বাইরেও স্বাবলম্বী হওয়ার অসংখ্য সুযোগ উন্মোচিত হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং এরূপ একটি বিকল্প, যেখানে ব্যক্তিগত দক্ষতা ও জ্ঞান ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করে আয় করা সম্ভব। আরিয়ান রাসেল তেমনই একজন তরুণ, যিনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।

কর্মজীবনের সূচনা:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আরিয়ান রাসেলের মনে অনলাইনে কাজ করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব তার পথে বাধা সৃষ্টি করে। বন্ধুদের সহায়তায় তিনি কম্পিউটার সংগ্রহ করেন এবং ইউটিউব ও অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করেন। অধ্যবসায় ও ধৈর্যের সাথে তিনি তিন বছর ধরে জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন।

পেশাগত কৃতিত্ব:

বর্তমানে আরিয়ান রাসেল ফাইবার ও Upwork-এর মতো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), Google Ads এবং Facebook Ads-এর উপর দক্ষতার সাথে কাজ করেন।

আর্থিক সফলতা:

আরিয়ানের আয়ের পরিমাণ প্রতি মাসে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ হাজার টাকা। এটি একজন তরুণ ফ্রিল্যান্সারের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্জন।আরিয়ান বিশ্বাস করেন, তার এই ছোট্ট উদ্যোগ একদিন একটি বৃহৎ কর্মসংস্থানে পরিণত হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সামাজিক দায়িত্ব:

আরিয়ান কেবল নিজের সফলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি ‘Outsourcing Institute BD’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে তিনি বেকার তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তার লক্ষ্য হলো গ্রামের স্বল্প আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তুলে বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা।

আরিয়ান রাসেলের জীবনচরিত্র তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। তার অধ্যবসায়, ধৈর্য এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আগ্রহ তাকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলেছে। তিনি শুধু নিজের সফলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং অন্যদের সাহায্য করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করছেন।।