বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অবকাঠামো নতুন যুগের সূচনা।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অবকাঠামো নতুন যুগের সূচনা।
- আপডেট সময় : ০১:১৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
- / 212
২০২৪ সালের ১০ই মার্চ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন যে কোস্টগার্ডের বহরে নতুন দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হবে। এছাড়াও, আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেমও সংযোজিত হবে। এই ঘোষণা কোস্টগার্ডের জন্য যুগান্তকারী, কারণ এটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হওয়ার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইজ নির্মাণ এবং অত্যাধুনিক নৌযান সংযোজনের ফলে কোস্টগার্ড সদস্যরা এখন অনেক দক্ষ। তিনি আরও বলেছেন যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং এর জন্য সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা বিধান একান্তভাবে দরকার। সরকারের লক্ষ্য হলো সকল বাহিনীকে আধুনিক স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী:
কোস্টগার্ডের নবনির্মিত ৬টি ভৌত অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় পরিচালিত কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরসহ ৩ জোন, ৬ জাহাজ এবং ৭টি স্টেশনে নবসংযোজিত ‘ভাসটেন্ট সিস্টেম’ উদ্বোধন করবেন।কোস্টগার্ড, কোস্টগার্ড (সেবা), প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড ও প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড (সেবা) পদক প্রদান করবেন।
নতুন যুগের বৈশিষ্ট্য:
ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর আধুনিক নৌযান ও প্রযুক্তির ব্যবহার দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল,সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি,বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান।
কোস্টগার্ডের ভবিষ্যৎ:
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দ্রুত আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম সংযোজনের ফলে এটি আরও শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনীতে পরিণত হবে। ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে, কোস্টগার্ড বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
ত্রিমাত্রিক বাহিনীর ধারণার উপর বিশেষ গুরুত্ব আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রভাব কোস্টগার্ডের ভূমিকা ও দায়িত্ব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোস্টগার্ডের অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।।