শিখ ধর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
শিখ ধর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
- আপডেট সময় : ০১:১৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
- / 438
শিখ ধর্ম হল একটি আধুনিক ধর্ম যা ১৫শ শতাব্দীতে ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলে উদ্ভূত হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন গুরু নানক দেব। শিখ ধর্ম হিন্দুধর্ম, ইসলাম, এবং অন্যান্য ধর্মের উপাদানগুলিকে একত্রিত করে।
শিখ ধর্মের মূল বিশ্বাস হল:
এক ঈশ্বর: শিখরা বিশ্বাস করেন যে একজনই ঈশ্বর, যিনি সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, এবং সর্বব্যাপী।
কর্মফল: শিখরা বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি কর্মের একটি ফল হয়, ভাল বা খারাপ।
ভক্তি: শিখরা বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হল তার প্রতি গভীর ভক্তি।
শিখ ধর্মের অনুসারীদেরকে শিখ বলা হয়। শিখদের একটি নিজস্ব ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে, যা গুরু গ্রন্থ সাহেব নামে পরিচিত। গুরু গ্রন্থ সাহেব হল একটি সংকলন যা বিভিন্ন গুরুদের রচনা, হিন্দু এবং ইসলামী ধর্মগ্রন্থের পদ, এবং অন্যান্য সাহিত্যের অংশ অন্তর্ভুক্ত করে।
শিখ ধর্ম একটি যুদ্ধবাজ ধর্ম হিসাবে পরিচিত। শিখরা বিশ্বাস করেন যে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করা তাদের কর্তব্য। ১৮শ শতাব্দীতে, শিখরা একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি হয়ে ওঠে এবং পাঞ্জাব অঞ্চলে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।
আজ, শিখ ধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মগুলির মধ্যে একটি। প্রায় ৩০ মিলিয়ন শিখ রয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ভারতে বাস করে।
শিখ ধর্মের ইতিহাসকে তিনটি প্রধান পর্যায়ে বিভক্ত করা যেতে পারে:
প্রাথমিক পর্যায় (১৫শ-১৭শ শতাব্দী)
গুরু নানক দেব ১৫শ শতাব্দীতে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পাঞ্জাব অঞ্চলে ভ্রমণ করেছিলেন এবং তার বার্তা প্রচার করেছিলেন। গুরু নানক দেবের পরবর্তী নয়জন গুরু শিখ ধর্মকে আরও বিকাশ করেছিলেন।
উদীয়মান পর্যায় (১৭শ-১৯শ শতাব্দী)
১৭শ শতাব্দীতে, শিখরা একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি হয়ে ওঠে। তারা পাঞ্জাব অঞ্চলে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৮শ শতাব্দীতে, শিখরা মুঘল সাম্রাজ্য এবং আফগান আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আধুনিক পর্যায় (১৯শ-বর্তমান)
১৯শ শতাব্দীতে, শিখ ধর্ম ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজনের পর, অনেক শিখ পাকিস্তান থেকে ভারতে আসে।
বর্তমানে, শিখ ধর্ম একটি বিশ্বব্যাপী ধর্ম। শিখরা বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে বাস করে।
ছবি:উইকিপিডিয়া