জৈন ধর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
জৈন ধর্মের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
- আপডেট সময় : ০১:০৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
- / 359
জৈন ধর্ম হল একটি প্রাচীন ভারতীয় ধর্ম যা অহিংসাকে তার কেন্দ্রীয় নীতি হিসাবে গ্রহণ করে। এটি বিশ্বাস করে যে সমস্ত জীবন পবিত্র এবং যে মানুষকে সকল প্রাণীর প্রতি দয়া ও সহানুভূতির সাথে আচরণ করা উচিত।
জৈন ধর্মের উত্স স্পষ্টভাবে জানা যায় না, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে এটি খ্রিস্টপূর্ব 6ষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতে উত্থিত হয়েছিল। জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হলেন মহাবীর, যিনি একজন তপস্বী ছিলেন যিনি অহিংস ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মোক্ষ বা মুক্তির পথ অনুসন্ধান করেছিলেন।
মহাবীরের মৃত্যুর পর, জৈন ধর্ম দুটি প্রধান শাখায় বিভক্ত হয়েছিল: দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর। দিগম্বর সম্প্রদায়ের অনুসারীরা পোশাক পরিধান করেন না, অন্যদিকে শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়ের অনুসারীরা সাদা পোশাক পরিধান করেন।
জৈন ধর্ম ভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম, এবং এটির প্রায় 4.2 মিলিয়ন অনুসারী রয়েছে। জৈন ধর্ম বিশ্বের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায়।
জৈন ধর্মের প্রধান নীতিগুলি হল:
অহিংস: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে সমস্ত জীবন পবিত্র এবং যে মানুষকে সকল প্রাণীর প্রতি দয়া ও সহানুভূতির সাথে আচরণ করা উচিত।
আত্মশুদ্ধি: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে মানুষকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মোক্ষ বা মুক্তি অর্জন করতে হবে।
অন্তর্দৃষ্টি: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে মানুষের অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে সত্যকে উপলব্ধি করা সম্ভব।
জৈন ধর্মের অনুসারীরা সাধারণত নিম্নলিখিত অনুশীলনগুলি অনুসরণ করেন:
সত্য বলা: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে মানুষকে সর্বদা সত্য কথা বলতে হবে।
অহিংসা: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে মানুষকে সকল প্রাণীর প্রতি দয়া ও সহানুভূতির সাথে আচরণ করতে হবে।
অস্তেয়: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে মানুষকে অন্যের সম্পত্তি চুরি করা উচিত নয়।
ব্রহ্মচর্য: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে মানুষকে যৌনতা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অপরিগ্রহ: জৈন ধর্ম বিশ্বাস করে যে মানুষকে সকল প্রাণীর প্রতি দয়া ও সহানুভূতির সাথে আচরণ করতে হবে।
জৈন ধর্ম একটি বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ ধর্ম যা ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।