ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্দি হওয়ার কারণ ও সর্দি হলে করণীয়

সর্দি হওয়ার কারণ ও সর্দি হলে করণীয়

ডেস্ক রিপোর্ট,
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • / 552

সর্দি,যা সাধারণ সর্দি নামেও পরিচিত, একটি সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যা ভাইরাসের কারণে হয়। এই ভাইরাসগুলি নাক, গলা এবং ফুসফুসের শ্লেষ্মা ঝিল্লিগুলিতে আক্রমণ করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। সর্দির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা, কাশি,ঠান্ডা লাগা এবং মাথাব্যথা।

সর্দির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

অনেক ধরণের ভাইরাস সর্দির কারণ হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে রিনোভাইরাস, অ্যাডেনোভাইরাস এবং কারাইনাইভাইরাস।
সর্দি সাধারণত একজন ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রামিত হয়। এটি নাক, গলা বা চোখের সংস্পর্শের মাধ্যমে হতে পারে।
সর্দিযুক্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে সৃষ্ট ছোট ছোট জলকণাগুলির মাধ্যমেও সর্দি ছড়াতে পারে। এই জলকণাগুলি বাতাসে কয়েক ঘন্টা থাকতে পারে এবং অন্যরা সেগুলি শ্বাস নিলে সর্দি হতে পারে।
সর্দি হলে করণীয়:

প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি শ্লেষ্মা পাতলা করতে এবং সর্দির লক্ষণগুলিকে আরও সহজ করে তুলতে সাহায্য করবে।
ঘরে বিশ্রাম নিন। এটি আপনার শরীরকে সংক্রমণ থেকে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
নাক পরিষ্কার করুন। এটি শ্লেষ্মা এবং ময়লা অপসারণে সাহায্য করবে।
এন্টিহিস্টামাইন বা ওষুধের ব্যবহার করুন। এগুলি নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা এবং কাশি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
জ্বরের জন্য ওষুধের ব্যবহার করুন। যদি আপনার জ্বর থাকে তবে এটি কমাতে ওষুধ নিন।
সর্দির জন্য কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে লক্ষণগুলি উপশম করার জন্য কিছু জিনিস করা যেতে পারে। যদি আপনার সর্দির লক্ষণগুলি 10 দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা যদি আপনার জ্বর থাকে তবে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

সর্দি প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

হাত নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন।
সর্দিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
আপনার মুখ এবং নাক টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন যখন আপনি হাঁচি বা কাশি করেন।
টিস্যু ব্যবহার করার পরে এটি সঠিকভাবে ফেলে দিন।
সর্দি একটি সাধারণ রোগ যা প্রায়শই কোনও গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করে না। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, সর্দি নিউমোনিয়া বা মধ্যকর্ণের সংক্রমণ হতে পারে। যদি আপনার সর্দির লক্ষণগুলি গুরুতর হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সর্দি হওয়ার কারণ ও সর্দি হলে করণীয়

সর্দি হওয়ার কারণ ও সর্দি হলে করণীয়

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

সর্দি,যা সাধারণ সর্দি নামেও পরিচিত, একটি সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যা ভাইরাসের কারণে হয়। এই ভাইরাসগুলি নাক, গলা এবং ফুসফুসের শ্লেষ্মা ঝিল্লিগুলিতে আক্রমণ করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। সর্দির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা, কাশি,ঠান্ডা লাগা এবং মাথাব্যথা।

সর্দির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

অনেক ধরণের ভাইরাস সর্দির কারণ হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে রিনোভাইরাস, অ্যাডেনোভাইরাস এবং কারাইনাইভাইরাস।
সর্দি সাধারণত একজন ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংক্রামিত হয়। এটি নাক, গলা বা চোখের সংস্পর্শের মাধ্যমে হতে পারে।
সর্দিযুক্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে সৃষ্ট ছোট ছোট জলকণাগুলির মাধ্যমেও সর্দি ছড়াতে পারে। এই জলকণাগুলি বাতাসে কয়েক ঘন্টা থাকতে পারে এবং অন্যরা সেগুলি শ্বাস নিলে সর্দি হতে পারে।
সর্দি হলে করণীয়:

প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি শ্লেষ্মা পাতলা করতে এবং সর্দির লক্ষণগুলিকে আরও সহজ করে তুলতে সাহায্য করবে।
ঘরে বিশ্রাম নিন। এটি আপনার শরীরকে সংক্রমণ থেকে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
নাক পরিষ্কার করুন। এটি শ্লেষ্মা এবং ময়লা অপসারণে সাহায্য করবে।
এন্টিহিস্টামাইন বা ওষুধের ব্যবহার করুন। এগুলি নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা এবং কাশি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
জ্বরের জন্য ওষুধের ব্যবহার করুন। যদি আপনার জ্বর থাকে তবে এটি কমাতে ওষুধ নিন।
সর্দির জন্য কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তবে লক্ষণগুলি উপশম করার জন্য কিছু জিনিস করা যেতে পারে। যদি আপনার সর্দির লক্ষণগুলি 10 দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা যদি আপনার জ্বর থাকে তবে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।

সর্দি প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

হাত নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন।
সর্দিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
আপনার মুখ এবং নাক টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন যখন আপনি হাঁচি বা কাশি করেন।
টিস্যু ব্যবহার করার পরে এটি সঠিকভাবে ফেলে দিন।
সর্দি একটি সাধারণ রোগ যা প্রায়শই কোনও গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করে না। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, সর্দি নিউমোনিয়া বা মধ্যকর্ণের সংক্রমণ হতে পারে। যদি আপনার সর্দির লক্ষণগুলি গুরুতর হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।