বঙ্গবন্ধু ট্যানেলে টোল দিয়ে ভ্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধু ট্যানেলে টোল দিয়ে ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
- / 363
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় টানেলের অপর প্রান্তে পৌঁছে টোল পরিশোধ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গায় উদ্বোধনস্থলে পৌঁছালে মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা স্বাগত জানান। এসময় সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর টানেলের উদ্বোধন করে মোনাজাতে অংশ নেন।
টানেল উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ‘ওয়ান সিটি টু টাউনস’ মডেলে দৃশ্যমান হবে। এই টানেল দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তি, চট্টগ্রাম শহরের যানজট হ্রাস, আনোয়ারা প্রান্তে বিদ্যমান ও গড়ে উঠা শিল্পাঞ্চল এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ চট্টগ্রাম বন্দর ও প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে পণ্য পরিবহনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। টানেলটি চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রায় শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।’
টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সরকারপ্রধান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা হলো। এই টানেলের ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ও শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার সুযোগ বাড়বে। ফলে চট্টগ্রামের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চারিত হবে।