ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্ক একটি নতুন অধ্যায়।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 87

Credit:mofa.gov.bd

বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের- মধ্যকার সম্পর্ক এটি একটি দীর্ঘ ইতিহাস, প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যতের আশার সমন্বয়ে গড়ে উঠা মধ্যকার সম্পর্ককে কেবল একটি টেলিফোন কলের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না।

একটি গভীর ইতিহাস:
স্বাধীনতার পর থেকেই জাতিসংঘ দেশটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা সহায়তা করে আসছে। বিশেষ করে, 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের পুনর্গঠনে জাতিসংঘের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের  দীর্ঘদিনের এই সম্পর্কটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিক সম্পর্কই নয়, বরং এটি উন্নয়ন, মানবতাবাদ এবং সুশাসনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার এক অনন্য মডেল। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জনাবা গুইন লুইস এবং  পররাষ্ট্র সচিব আম্বাসাডর মোঃ জসিম উদ্দিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোনিক আলোচনা হয়েছে।

অংশীদারিত্বের শক্তিশালীকরণ: 
দুই পক্ষই বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যকার  আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিবের নতুন দায়িত্ব গ্রহণের উপলক্ষে আবাসিক সমন্বয়কারী তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

৫০ বছরের অংশীদারিত্বের উদযাপন
এই বছর বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের  ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতার শুরু থেকেই  উন্নয়নে জাতিসংঘের অবদানের জন্য পররাষ্ট্র সচিব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা: জাতিসংঘের সহযোগিতা
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামো (UNSDCF) 2022-2026 এর গুরুত্ব উভয় পক্ষই স্বীকার করেছেন। এই কাঠামো টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এলডিসি থেকে স্নাতক: একটি চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ
এখন এলডিসি দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সরকার জাতিসংঘ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা সংকট: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা
মানবাধিকার, আইনের শাসন, সুশাসন এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্র সচিব।

ভবিষ্যতের সহযোগিতা: একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি:
সরকার জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব। আবাসিক সমন্বয়কারী এই আশ্বাসে খুশি প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যকার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা যায়। দুই পক্ষই একে অপরের সাথে মিলিতভাবে কাজ করে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করবে।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ একসাথে কাজ করবে।
প্রযুক্তি: প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা হবে।
শান্তি স্থাপন: দেশের ভিতরে এবং বাইরে শান্তি স্থাপনে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। উভয় পক্ষই দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণের জন্য একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্ক একটি নতুন অধ্যায়।

আপডেট সময় : ০৯:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের- মধ্যকার সম্পর্ক এটি একটি দীর্ঘ ইতিহাস, প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যতের আশার সমন্বয়ে গড়ে উঠা মধ্যকার সম্পর্ককে কেবল একটি টেলিফোন কলের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না।

একটি গভীর ইতিহাস:
স্বাধীনতার পর থেকেই জাতিসংঘ দেশটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা সহায়তা করে আসছে। বিশেষ করে, 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের পুনর্গঠনে জাতিসংঘের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের  দীর্ঘদিনের এই সম্পর্কটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিক সম্পর্কই নয়, বরং এটি উন্নয়ন, মানবতাবাদ এবং সুশাসনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার এক অনন্য মডেল। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী জনাবা গুইন লুইস এবং  পররাষ্ট্র সচিব আম্বাসাডর মোঃ জসিম উদ্দিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোনিক আলোচনা হয়েছে।

অংশীদারিত্বের শক্তিশালীকরণ: 
দুই পক্ষই বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যকার  আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিবের নতুন দায়িত্ব গ্রহণের উপলক্ষে আবাসিক সমন্বয়কারী তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

৫০ বছরের অংশীদারিত্বের উদযাপন
এই বছর বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের  ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতার শুরু থেকেই  উন্নয়নে জাতিসংঘের অবদানের জন্য পররাষ্ট্র সচিব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা: জাতিসংঘের সহযোগিতা
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামো (UNSDCF) 2022-2026 এর গুরুত্ব উভয় পক্ষই স্বীকার করেছেন। এই কাঠামো টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এলডিসি থেকে স্নাতক: একটি চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ
এখন এলডিসি দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সরকার জাতিসংঘ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা সংকট: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা
মানবাধিকার, আইনের শাসন, সুশাসন এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্র সচিব।

ভবিষ্যতের সহযোগিতা: একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি:
সরকার জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব। আবাসিক সমন্বয়কারী এই আশ্বাসে খুশি প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যকার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা যায়। দুই পক্ষই একে অপরের সাথে মিলিতভাবে কাজ করে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করবে।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ একসাথে কাজ করবে।
প্রযুক্তি: প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা হবে।
শান্তি স্থাপন: দেশের ভিতরে এবং বাইরে শান্তি স্থাপনে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। উভয় পক্ষই দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণের জন্য একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।