শেরপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
- আপডেট সময় : ০৯:১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
- / 707
শেরপুর জেলার পরিচিতি
শেরপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এ জেলা ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। শেরপুর জেলার মোট পাঁচটি উপজেলা রয়েছে: শেরপুর সদর, নালিতাবাড়ী, নকলা, ঝিনাইগাতী, ও শ্রীবরদী।
ভৌগোলিক অবস্থান
শেরপুর জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে জামালপুর জেলা এবং পশ্চিমে জামালপুর ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য অবস্থিত।
উপজেলা | মোট এলাকা (বর্গকিমি) | জনসংখ্যা |
---|---|---|
শেরপুর সদর | 356.33 | 5,89,642 |
নালিতাবাড়ী | 327.61 | 2,92,579 |
নকলা | 201.88 | 2,10,077 |
ঝিনাইগাতী | 231.76 | 2,18,759 |
শ্রীবরদী | 272.23 | 2,44,679 |
শেরপুর জেলার ইতিহাস
শেরপুরের ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকে সমৃদ্ধ। মহাভারত ও রামায়ণের সময়কাল থেকে এ অঞ্চলের উল্লেখ পাওয়া যায়। শেরপুরের নামকরণ হয় শের আলীর নামে।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
শেরপুর জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে।
বিখ্যাত স্থান
শেরপুর জেলায় অনেক বিখ্যাত স্থান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- গজনী অবকাশকেন্দ্র
- বারমারি পিকনিক স্পট
- মধুটিলা ইকোপার্ক
- পাহাড়িয়া পাড়া
Credit: www.facebook.com
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
শেরপুর জেলা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম নিচে দেয়া হলো:
সৈয়দ শামসুল হক
সৈয়দ শামসুল হক একজন বিখ্যাত সাহিত্যিক ও কবি। তিনি শেরপুর জেলার গর্ব। তার লেখা অনেক বিখ্যাত কবিতা ও উপন্যাস রয়েছে।
ড. মো. আব্দুল হান্নান
ড. মো. আব্দুল হান্নান একজন খ্যাতিমান বিজ্ঞানী। তিনি শেরপুর জেলার সন্তান। তার গবেষণায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার রয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম
মোহাম্মদ নাসিম একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ। তিনি শেরপুর জেলার গর্ব। তার নেতৃত্বে শেরপুর জেলার অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
ড. এ. কে. এম. আব্দুল্লাহ
ড. এ. কে. এম. আব্দুল্লাহ একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ও গবেষক। তিনি শেরপুর জেলার সন্তান। তার চিকিৎসায় অনেক মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে।
শেরপুর জেলার অর্থনীতি
শেরপুর জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। ধান, পাট, গম, সরিষা ইত্যাদি ফসল এখানে প্রচুর উৎপাদিত হয়। এছাড়া ছোটখাটো শিল্প ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমও রয়েছে।
কৃষি
শেরপুর জেলার মাটি উর্বর। এখানে ধান, গম, পাট, সরিষা ইত্যাদি ফসল প্রচুর উৎপাদিত হয়। কৃষির পাশাপাশি মৎস্য ও পশুপালনও এ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিল্প ও ব্যবসা
শেরপুর জেলায় ছোটখাটো শিল্প ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম রয়েছে। এ জেলার অন্যতম প্রধান শিল্প হল পাটকল ও চামড়াশিল্প। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা
শেরপুর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত। এখানে অনেক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলি অনেক কাজ করছে।
স্কুল ও কলেজ
শেরপুর জেলায় অনেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি কলেজও রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- শেরপুর সরকারি কলেজ
- শেরপুর মহিলা কলেজ
- নালিতাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়
শেরপুর জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এটি হল শেরপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা
শেরপুর জেলার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা উন্নত। এখানে অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি অনেক কাজ করছে।
হাসপাতাল
শেরপুর জেলায় বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- শেরপুর সদর হাসপাতাল
- নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
পর্যটন
শেরপুর জেলায় অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর। পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক স্থান রয়েছে।
গজনী অবকাশকেন্দ্র
গজনী অবকাশকেন্দ্র শেরপুর জেলার একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। এখানে পাহাড়, ঝর্ণা ও সবুজ পরিবেশে ভ্রমণকারীরা মুগ্ধ হন।
মধুটিলা ইকোপার্ক
মধুটিলা ইকোপার্ক শেরপুর জেলার আরেকটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ ও পশুপাখি রয়েছে। পরিবেশটি অত্যন্ত মনোরম।
Credit: mymensingh.miraheze.org
উপসংহার
শেরপুর জেলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান, ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সবই উন্নত। এ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও পর্যটন কেন্দ্রগুলি এ জেলার গর্ব। শেরপুর জেলা আমাদের দেশের একটি গৌরবময় অংশ।
Frequently Asked Questions
শেরপুর জেলা কোথায় অবস্থিত?
শেরপুর জেলা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগে অবস্থিত। এটি দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত।
শেরপুর জেলার মোট জনসংখ্যা কত?
শেরপুর জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ।
শেরপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম কী?
শেরপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হলো কৃষি। ধান, পাট, গম, ইত্যাদি ফসল প্রধান।
শেরপুরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ কারা?
শেরপুরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং নাজমুল হাসান পাপন।
শেরপুর জেলার ঐতিহাসিক স্থানগুলো কী কী?
শেরপুর জেলার ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গাজীর খামার, মুঘল আমলের মসজিদ, এবং রাজার বাড়ি।
শেরপুরের পরিবহন ব্যবস্থা কেমন?
শেরপুরে বাস, ট্রেন, এবং নৌপথে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া সড়কপথে সহজে যাতায়াত সম্ভব।