ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়া জেলা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক।

বগুড়া জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

নিউজ ডেক্স,
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / 117

Credit:www.bn.wikipedia.org

বগুড়া জেলা- ঐতিহাসিক পটভূমি ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব – বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি পুরাতন জেলা। প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সর্বোত্তম সংমিশ্রণ সম্পন্ন এই জেলাটি রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।

 

বগুড়া জেলার ইতিহাস:

ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে জানা যায় বগুড়া বাংলার অন্যতম প্রাচীন শহর। মৌর্য সাম্রাজ্যে একে পুন্ড্রবর্ধন বলা হত। একসময় বগুড়ার নাম ছিল পৌন্ড্রবর্ধন এবং এটি বরেন্দ্রভূমিতে অবস্থিত। আজকের রাজশাহীও এই এলাকার একটি অংশ গঠন করেছে। নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সেন রাজারা এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। মনে হয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে এটি মুসলিম শাসকদের অধীনে চলে আসে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে এই অঞ্চল মুসলিম শাসকদের দ্বারা বিজিত হয়। তা সত্ত্বেও সেন রাজবংশের নৃপতিরা প্রায় একশ বছর ধরে সামন্ত প্রভু ছিলেন। অচ্যুত সেন গৌড়ের বাহাদুর শাহের বিরক্তি জাগিয়ে তোলেন এবং সেনদের একদিন সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বগুড়া ৭ নং সেক্টর বিডিএফের অধীনে ছিল।

বগুড়া জেলার ভৌগলিক অবস্থান:

এর উত্তরে নেবুজ ও এলেঙ্গা রহিম, জয়দেবপুর, কাহালু ও কুশুলনী রাজশাহী, দক্ষিণে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা, পূর্বে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর এবং পশ্চিমে জান্নাওগাঁ ও নাটোর।

বগুড়া জেলার প্রশাসনিক বিভাগ:

জেলায় ১২টি উপজেলা রয়েছে। এই উপজেলাগুলো হলো-

 

  • বগুড়া সদর
    শাজাহানপুর
    শেরপুর
    ধুনট
    দুপচাঁচিয়া
    নন্দীগ্রাম
    কাহালু
    শিবগঞ্জ
    সোনাতলা
    গাবতলী
    সারিয়াকান্দি
    আদমদীঘি

বগুড়া জেলার জনসংখ্যা:

সমগ্র দেশের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩.৮ মিলিয়ন । এটি বিভিন্ন প্রধান জনগোষ্ঠীর মানুষের আবাসস্থল।

 

বগুড়া জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:

অনেক নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বগুড়া জিলা স্কুল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ইত্যাদি এর মধ্যে কয়েকটি।
অর্থনীতি

নমুনা জরিপ থেকে এটা অনুমান করা যায় যে অর্থনীতি প্রধানত একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। এখানে ধান, গম, আলু, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল হয়। এটি ছাড়াও, এই এলাকায় কিছু ছোট শিল্প রয়েছে যেমন;-

 

 

বগুড়া জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

Credit: www.youtube.com

বগুড়া জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ-

জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম (১৯৩৫-১৯৮১)–বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি
প্রফুল্ল চাকী (১৮৮৮-১৯০৮)–ব্রিটিশ বিরোধী আন্দলনের নেতা
মোহাম্মদ আলী বগুড়া (মৃত্যুঃ ১৯৬৯)–কূটনীতিক এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭)–সাহিত্যিক ও গল্পকার
গাজীউল হক (১৯২৯-২০০৯)–ভাষা সৈনিক
তারেক রহমান–বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
মনোজ দাশগুপ্ত (১৯৪৯-১৯৯৭)–কবি ও লেখক
মুশফিকুর রহিম–বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক
রোমেনা আফাজ–সাহিত্যিক
শফিউল ইসলাম সুহাস–একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার
এনামুল হক–(একুশে পদক ২০১৪, স্বাধীনতা পদক ২০১৭)
অপু বিশ্বাস–বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী।
তারেক রহমান–বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
মাহমুদুর রহমান মান্না–নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক
তৌহিদ হৃদয়–(অনূর্ধ্ব – ১৯ ক্রিকেটার)
তানজিদ হাসান–(অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার)
হিরো আলম ।                                                  ( সূত্র : উইকিপিডিয়া )

 

 

বগুড়া জেলার অর্থনীতি:

সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন উন্নয়নের মাধ্যমে, বগুড়া শহর অবকাঠামোগত ফ্রন্টে অনেক পরিবর্তন অনুভব করেছে। নতুন শহর পরিকল্পনা কিছু ক্ষেত্রে নতুন রাস্তা নির্মাণ এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলিকে দুই লেনের প্রস্থে সাধারণভাবে উন্নীত করা জড়িত। এখানকার মাটি বেশ সমৃদ্ধ এবং এখানে ফসল উৎপাদন হচ্ছে। গত কয়েক বছরে লাল মরিচের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ায় এ ব্যবসা ১০০ কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সময়কালের উন্নতি হওয়ায় এখানকার ব্যাংকিং ব্যবস্থাও এক নতুন দিগন্তে পৌঁছেছে; এখানে সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এই ধরনের বুথ হয়; এটিএম বুথগুলি শহরের যে কোনও অংশে যে কোনও সময় পাওয়া যায়। শক্তি দাই ২০০৮ সালে গ্রামীণ গ্রুপের সাথে চালু হয়েছিল এবং এটি ড্যানোন গ্রুপের একটি ফরাসি ব্যবসায়িক কোম্পানি।

 

 

বগুড়া জেলার পর্যটন আকর্ষণ:

বগুড়া জেলায় রয়েছে অনেক পর্যটন স্থান। প্রতি বছর অনেক পর্যটক এই স্থানগুলিতে ভ্রমণ করে।

মহাস্থানগড়:

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক কমপ্লেক্স। ঢাকা বাংলাদেশের প্রথম রাজধানীও। মহাস্থানগড়ের একটি দুর্গ ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

বিহার:

বিহার বৌদ্ধ ধর্মের সাথে যুক্ত প্রাচীনতম স্থানগুলির মধ্যে একটি। এখানে অনেক ধ্বংসাবশেষ ও ভাস্কর্য রয়েছে। বিহারও বৌদ্ধ পর্যটনের একটি বিশিষ্ট রাজ্য।

শতাব্দী প্রাচীন মসজিদ:

কয়েক শতাব্দীর পুরনো অনেক মসজিদ এই এলাকায় অবস্থিত। এর মধ্যে কয়েকটি মসজিদে প্রাচীন স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

 

বাংলাদেশের একটি ধনী এলাকা। সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাস ভালভাবে বিকশিত হয়। এখানে মহান ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা বগুড়া জেলার আরও গৌরব যোগ করেছে।

Frequently Asked Questions

বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক পটভূমি কি?

বগুড়া জেলা বাংলাদেশের প্রাচীনতম জেলাগুলির মধ্যে একটি যেখানে ১৮২১ সালে হয়েছিল।

খ্যাতির সেই ব্যক্তিরা কোনটি?

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,বেগম রোকেয়া, আবদুল কাদির ও আবুল হোসেনের মধ্যে রয়েছেন বগুড়ার কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

কৃত্রিম স্থান কি?

বগুড়ায় বর্তমানে চারটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা সাইট রয়েছে; মহাস্থানগড়, মহাস্থান জাদুঘর এবং নওগাঁ মন্দিরও কৃত্রিম স্থান।

অর্থনীতি কেমন?

যেমনটি বোঝা গেছে, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বগুড়া জেলার মেরুদণ্ড। প্রধান কৃষি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট ও আলু।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠিক কি?

বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া জেলা স্কুল, আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কি?

বগুড়ার প্রধান সাংস্কৃতিক মেলা হল পৌষ মেলা, নববর্ষ মেলা এবং মহাস্থানগড় মেলা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “বগুড়া জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বগুড়া জেলা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক।

বগুড়া জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

আপডেট সময় : ০১:১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বগুড়া জেলা- ঐতিহাসিক পটভূমি ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব – বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি পুরাতন জেলা। প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সর্বোত্তম সংমিশ্রণ সম্পন্ন এই জেলাটি রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত।

 

বগুড়া জেলার ইতিহাস:

ঐতিহাসিক নিদর্শন থেকে জানা যায় বগুড়া বাংলার অন্যতম প্রাচীন শহর। মৌর্য সাম্রাজ্যে একে পুন্ড্রবর্ধন বলা হত। একসময় বগুড়ার নাম ছিল পৌন্ড্রবর্ধন এবং এটি বরেন্দ্রভূমিতে অবস্থিত। আজকের রাজশাহীও এই এলাকার একটি অংশ গঠন করেছে। নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সেন রাজারা এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। মনে হয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে এটি মুসলিম শাসকদের অধীনে চলে আসে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে এই অঞ্চল মুসলিম শাসকদের দ্বারা বিজিত হয়। তা সত্ত্বেও সেন রাজবংশের নৃপতিরা প্রায় একশ বছর ধরে সামন্ত প্রভু ছিলেন। অচ্যুত সেন গৌড়ের বাহাদুর শাহের বিরক্তি জাগিয়ে তোলেন এবং সেনদের একদিন সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বগুড়া ৭ নং সেক্টর বিডিএফের অধীনে ছিল।

বগুড়া জেলার ভৌগলিক অবস্থান:

এর উত্তরে নেবুজ ও এলেঙ্গা রহিম, জয়দেবপুর, কাহালু ও কুশুলনী রাজশাহী, দক্ষিণে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা, পূর্বে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর এবং পশ্চিমে জান্নাওগাঁ ও নাটোর।

বগুড়া জেলার প্রশাসনিক বিভাগ:

জেলায় ১২টি উপজেলা রয়েছে। এই উপজেলাগুলো হলো-

 

  • বগুড়া সদর
    শাজাহানপুর
    শেরপুর
    ধুনট
    দুপচাঁচিয়া
    নন্দীগ্রাম
    কাহালু
    শিবগঞ্জ
    সোনাতলা
    গাবতলী
    সারিয়াকান্দি
    আদমদীঘি

বগুড়া জেলার জনসংখ্যা:

সমগ্র দেশের জনসংখ্যা আনুমানিক ৩.৮ মিলিয়ন । এটি বিভিন্ন প্রধান জনগোষ্ঠীর মানুষের আবাসস্থল।

 

বগুড়া জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:

অনেক নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বগুড়া জিলা স্কুল, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ইত্যাদি এর মধ্যে কয়েকটি।
অর্থনীতি

নমুনা জরিপ থেকে এটা অনুমান করা যায় যে অর্থনীতি প্রধানত একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। এখানে ধান, গম, আলু, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসল হয়। এটি ছাড়াও, এই এলাকায় কিছু ছোট শিল্প রয়েছে যেমন;-

 

 

বগুড়া জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

Credit: www.youtube.com

বগুড়া জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ-

জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম (১৯৩৫-১৯৮১)–বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি
প্রফুল্ল চাকী (১৮৮৮-১৯০৮)–ব্রিটিশ বিরোধী আন্দলনের নেতা
মোহাম্মদ আলী বগুড়া (মৃত্যুঃ ১৯৬৯)–কূটনীতিক এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭)–সাহিত্যিক ও গল্পকার
গাজীউল হক (১৯২৯-২০০৯)–ভাষা সৈনিক
তারেক রহমান–বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
মনোজ দাশগুপ্ত (১৯৪৯-১৯৯৭)–কবি ও লেখক
মুশফিকুর রহিম–বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক
রোমেনা আফাজ–সাহিত্যিক
শফিউল ইসলাম সুহাস–একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার
এনামুল হক–(একুশে পদক ২০১৪, স্বাধীনতা পদক ২০১৭)
অপু বিশ্বাস–বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী।
তারেক রহমান–বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
মাহমুদুর রহমান মান্না–নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক
তৌহিদ হৃদয়–(অনূর্ধ্ব – ১৯ ক্রিকেটার)
তানজিদ হাসান–(অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার)
হিরো আলম ।                                                  ( সূত্র : উইকিপিডিয়া )

 

 

বগুড়া জেলার অর্থনীতি:

সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন উন্নয়নের মাধ্যমে, বগুড়া শহর অবকাঠামোগত ফ্রন্টে অনেক পরিবর্তন অনুভব করেছে। নতুন শহর পরিকল্পনা কিছু ক্ষেত্রে নতুন রাস্তা নির্মাণ এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলিকে দুই লেনের প্রস্থে সাধারণভাবে উন্নীত করা জড়িত। এখানকার মাটি বেশ সমৃদ্ধ এবং এখানে ফসল উৎপাদন হচ্ছে। গত কয়েক বছরে লাল মরিচের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ায় এ ব্যবসা ১০০ কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সময়কালের উন্নতি হওয়ায় এখানকার ব্যাংকিং ব্যবস্থাও এক নতুন দিগন্তে পৌঁছেছে; এখানে সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এই ধরনের বুথ হয়; এটিএম বুথগুলি শহরের যে কোনও অংশে যে কোনও সময় পাওয়া যায়। শক্তি দাই ২০০৮ সালে গ্রামীণ গ্রুপের সাথে চালু হয়েছিল এবং এটি ড্যানোন গ্রুপের একটি ফরাসি ব্যবসায়িক কোম্পানি।

 

 

বগুড়া জেলার পর্যটন আকর্ষণ:

বগুড়া জেলায় রয়েছে অনেক পর্যটন স্থান। প্রতি বছর অনেক পর্যটক এই স্থানগুলিতে ভ্রমণ করে।

মহাস্থানগড়:

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক কমপ্লেক্স। ঢাকা বাংলাদেশের প্রথম রাজধানীও। মহাস্থানগড়ের একটি দুর্গ ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

বিহার:

বিহার বৌদ্ধ ধর্মের সাথে যুক্ত প্রাচীনতম স্থানগুলির মধ্যে একটি। এখানে অনেক ধ্বংসাবশেষ ও ভাস্কর্য রয়েছে। বিহারও বৌদ্ধ পর্যটনের একটি বিশিষ্ট রাজ্য।

শতাব্দী প্রাচীন মসজিদ:

কয়েক শতাব্দীর পুরনো অনেক মসজিদ এই এলাকায় অবস্থিত। এর মধ্যে কয়েকটি মসজিদে প্রাচীন স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

 

বাংলাদেশের একটি ধনী এলাকা। সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাস ভালভাবে বিকশিত হয়। এখানে মহান ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা বগুড়া জেলার আরও গৌরব যোগ করেছে।

Frequently Asked Questions

বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক পটভূমি কি?

বগুড়া জেলা বাংলাদেশের প্রাচীনতম জেলাগুলির মধ্যে একটি যেখানে ১৮২১ সালে হয়েছিল।

খ্যাতির সেই ব্যক্তিরা কোনটি?

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,বেগম রোকেয়া, আবদুল কাদির ও আবুল হোসেনের মধ্যে রয়েছেন বগুড়ার কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

কৃত্রিম স্থান কি?

বগুড়ায় বর্তমানে চারটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা সাইট রয়েছে; মহাস্থানগড়, মহাস্থান জাদুঘর এবং নওগাঁ মন্দিরও কৃত্রিম স্থান।

অর্থনীতি কেমন?

যেমনটি বোঝা গেছে, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বগুড়া জেলার মেরুদণ্ড। প্রধান কৃষি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট ও আলু।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠিক কি?

বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া জেলা স্কুল, আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কি?

বগুড়ার প্রধান সাংস্কৃতিক মেলা হল পৌষ মেলা, নববর্ষ মেলা এবং মহাস্থানগড় মেলা।