সুরা আল ফাতিহার ইতিহাস ও ফজিলত ।
- আপডেট সময় : ০১:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
- / 524
সুরা আল ফাতিহার ইতিহাস ও ফজিলত- পবিত্র কোরআনের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল।
সূরা আল ফাতিহা: ইসলামের মূলমন্ত্র
পবিত্র কোরআনের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল এবং এতে মোট সাতটি আয়াত রয়েছে। মুসলমানদের প্রতিটি নামাজে এই সূরাটি অবশ্যই পড়তে হয়।
অর্থ ও ব্যাখ্যা
মূলত আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর একত্ববাদে বিশ্বাস, তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা এবং সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য দোয়া করা নিয়ে। এই সূরায় ইসলামের মূলনীতিগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
- আল্লাহর প্রশংসা: সূরাটির শুরুতেই আল্লাহর প্রশংসা করা হয়েছে।
- আল্লাহর একত্ববাদ: সূরায় আল্লাহকে একমাত্র উপাস্য হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে।
- আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা: সূরায় আল্লাহর কাছে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য দোয়া করা হয়েছে।
ফজিলত
- কোরআনের সেরা সূরা: হাদিস শরীফে এসেছে, নবী (সা.) বলেন, “আমি তোমাদেরকে কোরআনের সেরা সূরা শিখাবো।” এরপর তিনি সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করেন।
- সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া: সূরা ফাতিহাকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলে গণ্য করা হয়।
- ঈমানের ভিত্তি: সূরা ফাতিহা ঈমানের ভিত্তি।
- প্রতিটি নামাজের অংশ: সূরা ফাতিহা প্রতিটি নামাজের ফরজ।
- আল্লাহর রহমতের দ্বার: সূরা ফাতিহা আল্লাহর রহমতের দ্বার খুলে দেয়।
সূরা ফাতিহার ইতিহাস
মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল, যখন নবী (সা.) নবুয়ত লাভ করেছিলেন। এই সূরাটি কোরআনের অন্যান্য সূরার তুলনায় অনেক আগে অবতীর্ণ হয়েছিল। মূলত তাওহীদ বা এক ঈশ্বরবাদ, নবুয়ত এবং আখিরাতের বিষয়ে মানুষকে শিক্ষা দিত।
বিশেষত্ব
- কোরআনের সারসংক্ষেপ: সূরা ফাতিহাকে কোরআনের সারসংক্ষেপ বলা হয়।
- আল্লাহর এবং বান্দার মধ্যে চুক্তি: হাদিস শরীফে এসেছে, সূরা ফাতিহা আল্লাহর এবং বান্দার মধ্যে একটি চুক্তি।
- সর্বজনীন সূরা: সূরা ফাতিহা সর্বজনীন সূরা।
কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এত গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হলো এটি ইসলামের মূলনীতিগুলোকে খুব সুন্দরভাবে সংক্ষিপ্ত করে তুলে ধরে। এটি পড়ার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং আস্থা প্রকাশ করে। এটি একটি এমন দোয়া যা প্রতিটি মুসলমানের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।