ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম নিহত

হবিগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামের বস্তা বন্দী লাশ উদ্ধার।

অনলাইন ডেস্ক,
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • / 273

ছবিঃ ফেইসবুক সংগৃহীত

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৩ নং সাতকাপন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে নিখোঁজ ছিলেন এই ছাত্রদল নেতা। শনিবার, মার্চ ২, ২০২৪ তারিখে সাইফুলের হাত বাঁধা বস্তাবন্দী লাশ হবিগঞ্জের পৈল হাওরে পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি একটি শোক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড একটি নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করে আসামীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “সাইফুল ইসলাম একজন কর্মঠ ও সাহসী ছাত্রনেতা ছিলেন। দল ও দেশের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে ছাত্রদল একটি শূন্যস্থান অনুভব করছে।”

এদিকে, সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তারা দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।

ছাত্রদলের দাবি:

সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।
দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
নিহত সাইফুল ইসলামের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক।
ঘটনার প্রেক্ষাপট:

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে সাইফুল ইসলাম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করে। এরপর শনিবার, মার্চ ২, ২০২৪ তারিখে সাইফুলের হাত বাঁধা বস্তাবন্দী লাশ হবিগঞ্জের পৈল হাওরে পাওয়া যায়।

পুলিশের তদন্ত:

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ধারণা করছে, সাইফুল ইসলামকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

সাইফুল ইসলামের পরিবারের দাবি:

সাইফুল ইসলামের পরিবার দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছেন, সাইফুল ইসলাম ছিলেন একজন নিরপরাধ ও সৎ যুবক। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

হবিগঞ্জের ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম নিহত

হবিগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামের বস্তা বন্দী লাশ উদ্ধার।

আপডেট সময় : ০৯:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৩ নং সাতকাপন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে নিখোঁজ ছিলেন এই ছাত্রদল নেতা। শনিবার, মার্চ ২, ২০২৪ তারিখে সাইফুলের হাত বাঁধা বস্তাবন্দী লাশ হবিগঞ্জের পৈল হাওরে পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি একটি শোক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড একটি নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করে আসামীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “সাইফুল ইসলাম একজন কর্মঠ ও সাহসী ছাত্রনেতা ছিলেন। দল ও দেশের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে ছাত্রদল একটি শূন্যস্থান অনুভব করছে।”

এদিকে, সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তারা দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।

ছাত্রদলের দাবি:

সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।
দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
নিহত সাইফুল ইসলামের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক।
ঘটনার প্রেক্ষাপট:

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে সাইফুল ইসলাম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। তার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করে। এরপর শনিবার, মার্চ ২, ২০২৪ তারিখে সাইফুলের হাত বাঁধা বস্তাবন্দী লাশ হবিগঞ্জের পৈল হাওরে পাওয়া যায়।

পুলিশের তদন্ত:

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ধারণা করছে, সাইফুল ইসলামকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

সাইফুল ইসলামের পরিবারের দাবি:

সাইফুল ইসলামের পরিবার দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছেন, সাইফুল ইসলাম ছিলেন একজন নিরপরাধ ও সৎ যুবক। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন।