স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের- নবনিযুক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হোসেনের চট্টগ্রাম সফর স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।  তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছেন এবং সেবার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আহত ছাত্রদের সঙ্গে সাক্ষাৎ:

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে যান। তিনি প্রত্যেক আহতের সঙ্গে কথা বলে তাদের চিকিৎসা বিষয়ে সবিস্তার জানতে চান। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে আহতদের আরও ভালো চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন:

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে হামলায় আহত ডা: সজীব কাজী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্বাস্থ্য অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।এই পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য ছিল হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান নিরীক্ষণ করা। তিনি বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেছেন এবং চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্ব:

পরিদর্শনের সময় মহাপরিচালক সেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। তিনি চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা তাদের প্রধান দায়িত্ব। পরিদর্শনের সময় যেসব সমস্যা ও অসুবিধা তিনি লক্ষ্য করেছেন, সেগুলোর দ্রুত সমাধানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়  সেবা উন্নয়নে কাজ করে যাবে বলে মহাপরিচালকের এই সফরের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বার্তা গেছে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি:

এই সফরে অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আহতদের পাশে মহাপরিচালকের এই সফরের মধ্য দিয়ে সরকার আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার কামনা করেছেন।

স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহ:

স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে নতুন উৎসাহ ও প্রেরণা জোগিয়েছে। তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন এবং তাদের আরও ভালোভাবে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। এই খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সফর সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি সেবার মান উন্নয়ন, কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুবিধা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা:

দেশের স্বাস্থ্য খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মহাপরিচালকের এই সফর সরাসরি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর একটি প্রমাণ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করার জন্য আরও বেশি করে কাজ করবে বলে আশা করা যায়।

জনগণের আস্থা বৃদ্ধি:

সরকার জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়াতে সক্ষম হবে। একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি স্বাস্থ্য খাতকে আরও দক্ষ ও দায়িত্বশীল করার জন্য কাজ করছেন।

স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা:

স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতা: হাসপাতালের স্বচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।
ওষুধের সরবরাহ: রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
রোগী সেবা: রোগীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা।

এই সফরের গুরুত্ব:
জনগণের আস্থা বৃদ্ধি: এই সফরের মাধ্যমে সরকার জনগণের স্বাস্থ্যের প্রতি তার দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করেছে এবং জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করেছে।
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন: এই সফর স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে।
স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি: এই সফরের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম সফর স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেবার মান নিরীক্ষণ করেছেন এবং কর্মীদের উৎসাহিত করেছেন। তার এই উদ্যোগ খাতকে আরও দক্ষ ও দায়িত্বশীল করার পথ প্রশস্ত করবে।একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা বলে মনে করা হয়। এই সফরের ফলে সেবার মান উন্নয়ন, রোগীদের স্বার্থ রক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।