ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিছু নির্দিষ্ট খাবারের ধারণা যা আপনি ১০ মাস বয়সী শিশুর জন্য লাঞ্চের সময় তৈরি করতে পারেন:

শিশুর সুস্থ খাদ্য ১০ মাস বয়সী শিশুর লাঞ্চের ধারণা।

অনলাইন ডেস্ক,
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / 136

১০ বছর শিশুর ,ছবি : UNICEF

১০ মাস বয়সী শিশুরা তাদের দ্রুত বর্ধনশীল শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন। এই বয়সে, তারা বুকের দুধ বা ফর্মুলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে শুরু করে।

বাংলাদেশের মায়েরা যখন তাদের ১০ মাস বয়সী শিশুদের সাথে লাঞ্চ করতে যান, তখন তাদের সন্তানের জন্য সুষম এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব, শিশু খাদ্য দারিদ্র্যের সমস্যা এবং এই সমস্যা সমাধানে ইউনিসেফের ভূমিকাও রয়েছে ।

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা:
১০ মাস বয়সী শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে:
শরীরের টিস্যু তৈরি এবং মেরামতের জন্য। মাংস, মাছ, ডিম, ডাল, বাদাম এবং বীজ প্রোটিনের ভালো উৎস। শক্তির জন্য। ভাত, রুটি, শাকসবজি এবং ফল কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস। মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এবং কিছু ভিটামিন শোষণে সাহায্য করার জন্য। মাছ, বাদাম, বীজ এবং অ্যাভোকাডো চর্বির ভালো উৎস। সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য। বিভিন্ন ধরণের ফল, শাকসবজি, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার ভিটামিন এবং খনিজের ভালো উৎস।

খাবারের ধারণা; কিছু নির্দিষ্ট খাবারের ধারণা যা আপনি ১০ মাস বয়সী শিশুর জন্য লাঞ্চের সময় তৈরি করতে পারেন মাংসের সাথে খিচুড়ি;

১ কাপ চাল
১/২ কাপ ডাল
১/২ কাপ মুরগির মাংস (সিদ্ধ করে হাড় থেকে আলাদা করে নিন)
১/২ কাপ পেঁয়াজ (কুচি করে কাটা)
১ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ লবণ

তৈরি করার প্রণালী:
একটি পাত্রে চাল এবং ডাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামী করে ভাজুন। আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ যোগ করুন এবং মসলা কষিয়ে নিন। সিদ্ধ মুরগির মাংস এবং ভেজা চাল-ডাল মিশিয়ে দিন। প্রয়োজনমতো পানি যোগ করে ঢেকে দিন এবং চাল-ডাল নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি:
ইউনিসেফের মতে, বাংলাদেশে প্রতি চার শিশুর মধ্যে এক জন গুরুতর খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে। অপুষ্টি শিশু মৃত্যু এবং অসুস্থতার একটি প্রধান কারণ। দারিদ্র্য এবং খাদ্য অনিরাপত্তার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব,জলবায়ু পরিবর্তন ফসল উৎপাদন এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে।

সমাধান ইউনিসেফের ভূমিকা:
সরকার এবং অন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে শিশুদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক সুরক্ষা জাল বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের জন্য পুষ্টি শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। স্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি ব্যবস্থায় টেকসই পরিবর্তন আনতে হবে। ইউনিসেফ সরকার এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন এবং পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস উন্নত করতে। ইউনিসেফ শিশুদের জন্য পুষ্টি সেবা প্রদান করে। ইউনিসেফ খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।

১০ মাস বয়সী শিশুদের জন্য সুষম খাবার তৈরি করার জন্য কিছু টিপস এবং ধারণা। শিশুদের সুস্থ মস্তিষ্ক ও শরীরের বিকাশে পুষ্টির গুরুত্ব, শিশু খাদ্য দারিদ্র্যের বৈশ্বিক সমস্যা এবং ইউনিসেফের শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস উন্নীত করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কিছু নির্দিষ্ট খাবারের ধারণা যা আপনি ১০ মাস বয়সী শিশুর জন্য লাঞ্চের সময় তৈরি করতে পারেন:

শিশুর সুস্থ খাদ্য ১০ মাস বয়সী শিশুর লাঞ্চের ধারণা।

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

১০ মাস বয়সী শিশুরা তাদের দ্রুত বর্ধনশীল শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন। এই বয়সে, তারা বুকের দুধ বা ফর্মুলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে শুরু করে।

বাংলাদেশের মায়েরা যখন তাদের ১০ মাস বয়সী শিশুদের সাথে লাঞ্চ করতে যান, তখন তাদের সন্তানের জন্য সুষম এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব, শিশু খাদ্য দারিদ্র্যের সমস্যা এবং এই সমস্যা সমাধানে ইউনিসেফের ভূমিকাও রয়েছে ।

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা:
১০ মাস বয়সী শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে:
শরীরের টিস্যু তৈরি এবং মেরামতের জন্য। মাংস, মাছ, ডিম, ডাল, বাদাম এবং বীজ প্রোটিনের ভালো উৎস। শক্তির জন্য। ভাত, রুটি, শাকসবজি এবং ফল কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস। মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য এবং কিছু ভিটামিন শোষণে সাহায্য করার জন্য। মাছ, বাদাম, বীজ এবং অ্যাভোকাডো চর্বির ভালো উৎস। সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য। বিভিন্ন ধরণের ফল, শাকসবজি, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার ভিটামিন এবং খনিজের ভালো উৎস।

খাবারের ধারণা; কিছু নির্দিষ্ট খাবারের ধারণা যা আপনি ১০ মাস বয়সী শিশুর জন্য লাঞ্চের সময় তৈরি করতে পারেন মাংসের সাথে খিচুড়ি;

১ কাপ চাল
১/২ কাপ ডাল
১/২ কাপ মুরগির মাংস (সিদ্ধ করে হাড় থেকে আলাদা করে নিন)
১/২ কাপ পেঁয়াজ (কুচি করে কাটা)
১ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ লবণ

তৈরি করার প্রণালী:
একটি পাত্রে চাল এবং ডাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। একটি কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি বাদামী করে ভাজুন। আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং লবণ যোগ করুন এবং মসলা কষিয়ে নিন। সিদ্ধ মুরগির মাংস এবং ভেজা চাল-ডাল মিশিয়ে দিন। প্রয়োজনমতো পানি যোগ করে ঢেকে দিন এবং চাল-ডাল নরম না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি:
ইউনিসেফের মতে, বাংলাদেশে প্রতি চার শিশুর মধ্যে এক জন গুরুতর খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে। অপুষ্টি শিশু মৃত্যু এবং অসুস্থতার একটি প্রধান কারণ। দারিদ্র্য এবং খাদ্য অনিরাপত্তার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব,জলবায়ু পরিবর্তন ফসল উৎপাদন এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে।

সমাধান ইউনিসেফের ভূমিকা:
সরকার এবং অন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে শিশুদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক সুরক্ষা জাল বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের জন্য পুষ্টি শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। স্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি ব্যবস্থায় টেকসই পরিবর্তন আনতে হবে। ইউনিসেফ সরকার এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন এবং পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস উন্নত করতে। ইউনিসেফ শিশুদের জন্য পুষ্টি সেবা প্রদান করে। ইউনিসেফ খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।

১০ মাস বয়সী শিশুদের জন্য সুষম খাবার তৈরি করার জন্য কিছু টিপস এবং ধারণা। শিশুদের সুস্থ মস্তিষ্ক ও শরীরের বিকাশে পুষ্টির গুরুত্ব, শিশু খাদ্য দারিদ্র্যের বৈশ্বিক সমস্যা এবং ইউনিসেফের শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস উন্নীত করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।