শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
- আপডেট সময় : ০১:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
- / 221
শরীয়তপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা, রয়েছে প্রাচীন বিশাল ইতিহাস এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ।
শরীয়তপুর জেলার ভৌগলিক পরিচিতি
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এর উত্তরে রয়েছে মাদারীপুর , দক্ষিণে বরিশাল , পূর্বে চাঁদপুর এবং পশ্চিমে ফরিদপুর জেলা।
জেলার মোট আয়তন
শরীয়তপুর জেলার মোট আয়তন প্রায় ১,১৮১.৫৩ বর্গ কিলোমিটার।
জনসংখ্যা
প্রশাসনিক বিভাগ
- শরীয়তপুর সদর
- নড়িয়া
- জাজিরা
- ভেদরগঞ্জ
- ডামুড্যা
- গোসাইরহাট
শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। এখানে বহু প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে।
প্রাচীন সভ্যতা
এখানে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। এগুলো আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।
মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা
মুক্তিযুদ্ধে শরীয়তপুর জেলার মানুষের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা জন্মগ্রহণ করেছেন।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
শরীয়তপুর জেলার সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
লোকসংগীত
শরীয়তপুর জেলার লোকসংগীত অত্যন্ত জনপ্রিয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের গান গাওয়া হয়।
নাট্যকলা
এখানে নাট্যকলার প্রচলনও আছে। বিভিন্ন নাট্যদল এখানে নাটক মঞ্চস্থ করে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩)- কবি ও সাহিত্যিক;
গোলাম মওলা (১৯২০-১৯৬৭)- চিকিৎসক ও ভাষা সৈনিক;
কেদার রায় (মৃত্যুঃ ১৬০৩) – বার ভুঁইয়ার ও বিক্রমপুর পরগনার জমিদার;
পুলিন বিহারী দাস (১৮৭৭-১৯৪৯) – ব্রিটিশ বিরোধী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের নেতা।
অতুলপ্রসাদ সেন (১৮৭১-১৯৩৪) – আইন ব্যবসা ও গানের গীতিকার;
যোগেশচন্দ্র ঘোষ (১৮৮৭-১৯৭১) – আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বিশারদ এবং শিক্ষাবিদ; সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা;
গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য (১৮৯৫-১৯৮১) – পতঙ্গবিশারদ, উদ্ভিদবিদ;
গোষ্ঠ পাল (১৮৯৬-১৯৭৫) – ফুটবলার, ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী উপাধিতে (১৯৬২) ভূষিত হন;
রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী (১৯২১-১৯৮৮)- কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সমাজসেবক, রবীন্দ্র গবেষক;
বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু- সাবেক এম.পি, শরীয়তপুর-১
কর্নেল (অবঃ) এ. শওকত আলী (১৯৩৭-২০২০ ) – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন ডেপুটি স্পীকার।
কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব (জন্ম ২০ অক্টোবর ১৯৫৫) হলেন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী (১৮৯৩-১৯৮০) – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
গীতা দত্ত:শিল্পী
আবিদুর রেজা খান – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রাক্তন সাংসদ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের প্রথম গভর্নর।
টি. এম. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ- সাবেক এমপি শরীয়তপুর-২
আব্দুর রাজ্জাক (রাজনীতিবিদ) – প্রাক্তন পানি সম্পদ মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা।
আবদুল মোতালেব সরদার – প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড়, কলকাতা মোহামেডান।
রাজবল্লভ সেন- বিক্রমপুরের রাজা।
এম. আজিজুল হক – সাবেক আইজিপি
নাহিম রাজ্জাক – সংসদ সদস্য, শরীয়তপুর-৩ আসন।
আবদুর রাজ্জাক (চিত্রশিল্পী)
আনিছুর রহমান (সচিব)
এস. এম. গোলাম ফারুক:-সরকারি কর্মকর্তা।
মনির হোসেন মনু : জাতীয় দলের ফুটবলার। (তথ্যসূত্রঃ ইউকিপিডিয়া)
শিক্ষা ব্যবস্থা
শরীয়তপুর জেলায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ
- শরীয়তপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- শরীয়তপুর সরকারি কলেজ
- নড়িয়া কলেজ
স্কুল
- শরীয়তপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- শরীয়তপুর গার্লস স্কুল
- নড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়
স্বাস্থ্যসেবা
জেলায় স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক ভালো। এখানে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিক রয়েছে।
হাসপাতাল
- শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল
- নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ক্লিনিক
- শরীয়তপুর ক্লিনিক
- নড়িয়া ক্লিনিক
- ডামুড্যা ক্লিনিক
পর্যটন কেন্দ্র
শরীয়তপুর জেলায় অনেক সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এখানে পর্যটকরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন।
দুর্গাপুর জমিদার বাড়ি
দুর্গাপুর জমিদার বাড়ি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে অনেক পুরানো স্থাপনা রয়েছে।
নড়িয়া নদী
নড়িয়া নদী একটি সুন্দর নদী। এখানে নৌকা ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।
জাজিরা সেতু
জাজিরা সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এটি একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান।
অর্থনীতি
শরীয়তপুর জেলার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। এখানে বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়।
কৃষি
এখানে ধান, পাট, গম, এবং সবজি উৎপাদিত হয়। কৃষি এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।
মৎস্য
শরীয়তপুর জেলায় মাছ চাষও অত্যন্ত জনপ্রিয়। এখানকার নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।
হস্তশিল্প
এখানে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প তৈরি হয়। বিশেষ করে বেত ও বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র বিখ্যাত।
Credit: www.facebook.com
Credit: m.youtube.com
উপসংহার
শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল। এর ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার মানুষরা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী।
Frequently Asked Questions
শরীয়তপুর জেলা কোথায় অবস্থিত?
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত।
শরীয়তপুর জেলার প্রধান নদীগুলি কী কী?
প্রধান নদীগুলি হলো পদ্মা, মেঘনা ও আড়িয়াল খাঁ।
শরীয়তপুরের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব কারা?
বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আছেন পীর আওলাদ হোসেন ও রাজনীতিবিদ আবুল হাসানাত।
শরীয়তপুরের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ কী?
প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ হলো কৃষি। এখানে ধান, পাট ও মাছ চাষ প্রচলিত।
শরীয়তপুরে কোন ঐতিহাসিক স্থানগুলি আছে?
ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে নড়িয়া জমিদার বাড়ি ও ভেদরগঞ্জের শতবর্ষী মসজিদ।
শরীয়তপুরের লোকসংস্কৃতি কেমন?
লোকসংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। এখানে পালাগান, যাত্রা ও বাউল গানের প্রচলন রয়েছে।