ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

Credit: mirror of campus

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শরীয়তপুর জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের একটি অপরিহার্য জেলা হিসেবে কাজ করে কারণ এটি প্রাচীন শিকড়ের পাশাপাশি সমৃদ্ধ এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গর্ব করা হয় ।

শরীয়তপুর জেলার ভৌগোলিক ভূমিকা:

শরীয়তপুর জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে। উত্তর সীমান্ত মাদারীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত, দক্ষিণ সীমান্ত বরিশালে অবস্থিত এবং পশ্চিম সীমান্ত ফরিদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং পূর্ব সীমান্ত চাঁদপুরের সাথে সংযুক্ত।

শরীয়তপুরের জেলার মোট আয়তন:

শরীয়তপুর জেলার মোট আয়তন ১,১৮১.৫৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা, প্রশাসনিক বিভাগ।
শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, দামুদ্যা, গোসাইরহাট ।

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
সুরেশ্বর দরবার শরীফ /ক্রেডিট: Vromon Vlogs

শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস:

শরীয়তপুর জেলা অত্যন্ত প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। এই অঞ্চলে অসংখ্য ঐতিহাসিক সভ্যতার গবেষণা হয়েছে। এই জেলাটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

শরীয়তপুর জেলার প্রাচীন সভ্যতা:

এই এলাকায় অবস্থিত একাধিক প্রাচীন স্থাপনা ঐতিহাসিক সভ্যতার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে শরীয়তপুর জেলার এই স্থানগুলি অন্তর্ভুক্ত।

শরীয়তপুরের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:

মুক্তিযুদ্ধের সময় শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই স্থান থেকে প্রচুর সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার আবির্ভাব ঘটে।

আরও জানুন – দিনাজপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শরীয়তপুরের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য:

শরীয়তপুর জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রচুর মূল্যবান ঐতিহ্য উপস্থাপন করে। বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই স্থানে তাদের স্থান খুঁজে পায়।

শরীয়তপুরের লোকসঙ্গীত:
শরীয়তপুর জেলা জুড়ে স্থানীয় লোকসঙ্গীতের ব্যাপক জনপ্রিয়তা বজায় রয়েছে। এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরণের গান পরিবেশিত হয়।

শরীয়তপুরের নাটক:
এখানে নাটকও চর্চা করা হয়। শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি নাট্য সংগঠন নাট্য পরিবেশনা করে।

 

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
বুড়ির হাত জামে মসজিদ /ক্রেডিট: Vromon Vlogs

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ

আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩)- কবি ও সাহিত্যিক;
গোলাম মওলা (১৯২০-১৯৬৭)- চিকিৎসক ও ভাষা সৈনিক;
কেদার রায় (মৃত্যুঃ ১৬০৩) – বার ভুঁইয়ার ও বিক্রমপুর পরগনার জমিদার;
পুলিন বিহারী দাস (১৮৭৭-১৯৪৯) – ব্রিটিশ বিরোধী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের নেতা।
অতুলপ্রসাদ সেন (১৮৭১-১৯৩৪) – আইন ব্যবসা ও গানের গীতিকার;
যোগেশচন্দ্র ঘোষ (১৮৮৭-১৯৭১) – আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বিশারদ এবং শিক্ষাবিদ; সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা;
গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য (১৮৯৫-১৯৮১) – পতঙ্গবিশারদ, উদ্ভিদবিদ;


গোষ্ঠ পাল (১৮৯৬-১৯৭৫) – ফুটবলার, ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী উপাধিতে (১৯৬২) ভূষিত হন;
রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী (১৯২১-১৯৮৮)- কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সমাজসেবক, রবীন্দ্র গবেষক;
বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু- সাবেক এম.পি, শরীয়তপুর-১
কর্নেল (অবঃ) এ. শওকত আলী (১৯৩৭-২০২০ ) – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন ডেপুটি স্পীকার।
কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব (জন্ম ২০ অক্টোবর ১৯৫৫) হলেন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী (১৮৯৩-১৯৮০) – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।

আবিদুর রেজা খান – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রাক্তন সাংসদ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের প্রথম গভর্নর।
টি. এম. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ- সাবেক এমপি শরীয়তপুর-২
আব্দুর রাজ্জাক (রাজনীতিবিদ) – প্রাক্তন পানি সম্পদ মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা।
আবদুল মোতালেব সরদার – প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড়, কলকাতা মোহামেডান।
রাজবল্লভ সেন- বিক্রমপুরের রাজা।
এম. আজিজুল হক – সাবেক আইজিপি
নাহিম রাজ্জাক – সংসদ সদস্য, শরীয়তপুর-৩ আসন।
আবদুর রাজ্জাক (চিত্রশিল্পী)
আনিছুর রহমান (সচিব)
এস. এম. গোলাম ফারুক:-সরকারি কর্মকর্তা।
মনির হোসেন মনু : জাতীয় দলের ফুটবলার।      (তথ্যসূত্রঃ ইউকিপিডিয়া)

 

শরীয়তপুর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা:
শরীয়তপুর জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যতিক্রমী শিক্ষামূলক পরিষেবা প্রদান করে।
শরীয়তপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,শরীয়তপুর সরকারি কলেজ,নড়িয়া কলেজ,শরীয়তপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,শরীয়তপুর বালিকা বিদ্যালয়,নড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়।

শরীয়তপুরের স্বাস্থ্যসেবা:
শরীয়তপুর জেলা জুড়ে স্বাস্থ্যসেবা একটি চমৎকার মান বজায় রেখেছে। এই অঞ্চলে এর অঞ্চল জুড়ে অসংখ্য ক্লিনিক এবং হাসপাতাল রয়েছে।

হাসপাতাল: শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল,নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ক্লিনিক: শরীয়তপুর ক্লিনিক,নড়িয়া ক্লিনিক, দামুদ্যা ক্লিনিক।

শরীয়তপুরের পর্যটন কেন্দ্র:
অসাধারণ সৌন্দর্যের বেশ কয়েকটি স্থান শরীয়তপুর জেলায় পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এই এলাকা জুড়ে দর্শনার্থীরা বেশ কয়েকটি স্থান আবিষ্কার করতে পারবেন।

ভিডিও ক্রেডিট: Vromon Vlogs

শরীয়তপুরের দুর্গাপুর জমিদার বাড়ি:
দুর্গাপুর জমিদার বাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। এই স্থান জুড়ে অনেক পুরানো স্থাপত্য কাঠামো বিদ্যমান।

শরীয়তপুরের নড়িয়া নদী:
এই অঞ্চলে সুন্দর নদী নড়িয়া নদী বিদ্যমান। নৌকায় ভ্রমণ এই স্থান জুড়ে একটি সম্ভাব্য বিকল্প প্রদান করে।

শরীয়তপুরের জাজিরা সেতু:
জাজিরা সেতুটি এই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশল বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাজ করে। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

শরীয়তপুরের অর্থনীতি:

শরীয়তপুর জেলা সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কৃষিভিত্তিক ভিত্তি বজায় রাখে। এখানে বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়।

আরও বিভিন্ন জেলার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন…

শরীয়তপুরের কৃষি:

ধান, পাট এবং গম সহ বেশ কিছু কৃষিজাত পণ্য এবং শাকসবজি এই অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। শরীয়তপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে।

শরীয়তপুরের মৎস্য চাষ:

শরীয়তপুর জেলা জুড়ে মাছ চাষ সবচেয়ে জনপ্রিয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলির মধ্যে একটি। এই অঞ্চলের নদীগুলিতে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়।

শরীয়তপুরের হস্তশিল্প:

এই অঞ্চলে একাধিক হস্তশিল্প উৎপাদন বিদ্যমান। বাঁশের সাথে বেত দিয়ে তৈরি পণ্যগুলি এই বিভাগে প্রধান বিখ্যাত পণ্য হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শরীয়তপুর জেলা কোথায় অবস্থিত?

জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি ঢাকা বিভাগের অংশ।

শরীয়তপুর জেলায় কোন তিনটি প্রধান জলপথ রয়েছে?

পদ্মা, মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ শরীয়তপুর জেলার তিনটি প্রধান জলপথ গঠন করে।

রীয়তপুর জেলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত ব্যক্তি কে ?

শরীয়তপুর জেলায় দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা পীর আওলাদ হোসেন এবং রাজনীতিবিদ আবুল হাসানাত হিসেবে পরিচিত।

শরীয়তপুর জেলা মূলত কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল?

শরীয়তপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে কৃষিকাজকে বিবেচনা করা হয়। এই এলাকার মানুষ মূলত ধান ও পাট চাষ করে এবং মাছ চাষ করে।

শরীয়তপুরে কোন ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে?

শরীয়তপুর জেলার জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে নড়িয়া জমিদার বাড়ি এবং ভেদরগঞ্জের শতবর্ষী মসজিদ।

 

Credit: m.youtube.com

শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল। এর ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার মানুষরা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী।

 

F A Q

শরীয়তপুর জেলা কোথায় অবস্থিত?

জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি ঢাকা বিভাগের অংশ।

শরীয়তপুর জেলায় কোন তিনটি প্রধান জলপথ রয়েছে?

পদ্মা, মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ শরীয়তপুর জেলার তিনটি প্রধান জলপথ গঠন করে।

রীয়তপুর জেলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত ব্যক্তি কে ?

শরীয়তপুর জেলায় দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা পীর আওলাদ হোসেন এবং রাজনীতিবিদ আবুল হাসানাত হিসেবে পরিচিত।

শরীয়তপুর জেলা মূলত কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল?

শরীয়তপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে কৃষিকাজকে বিবেচনা করা হয়। এই এলাকার মানুষ মূলত ধান ও পাট চাষ করে এবং মাছ চাষ করে।

শরীয়তপুরে কোন ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে?

শরীয়তপুর জেলার জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে নড়িয়া জমিদার বাড়ি এবং ভেদরগঞ্জের শতবর্ষী মসজিদ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

আপডেট সময় : ০১:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

শরীয়তপুর জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের একটি অপরিহার্য জেলা হিসেবে কাজ করে কারণ এটি প্রাচীন শিকড়ের পাশাপাশি সমৃদ্ধ এবং সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গর্ব করা হয় ।

শরীয়তপুর জেলার ভৌগোলিক ভূমিকা:

শরীয়তপুর জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে। উত্তর সীমান্ত মাদারীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত, দক্ষিণ সীমান্ত বরিশালে অবস্থিত এবং পশ্চিম সীমান্ত ফরিদপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং পূর্ব সীমান্ত চাঁদপুরের সাথে সংযুক্ত।

শরীয়তপুরের জেলার মোট আয়তন:

শরীয়তপুর জেলার মোট আয়তন ১,১৮১.৫৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা, প্রশাসনিক বিভাগ।
শরীয়তপুর সদর, নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, দামুদ্যা, গোসাইরহাট ।

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
সুরেশ্বর দরবার শরীফ /ক্রেডিট: Vromon Vlogs

শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস:

শরীয়তপুর জেলা অত্যন্ত প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। এই অঞ্চলে অসংখ্য ঐতিহাসিক সভ্যতার গবেষণা হয়েছে। এই জেলাটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

শরীয়তপুর জেলার প্রাচীন সভ্যতা:

এই এলাকায় অবস্থিত একাধিক প্রাচীন স্থাপনা ঐতিহাসিক সভ্যতার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে শরীয়তপুর জেলার এই স্থানগুলি অন্তর্ভুক্ত।

শরীয়তপুরের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:

মুক্তিযুদ্ধের সময় শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই স্থান থেকে প্রচুর সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার আবির্ভাব ঘটে।

আরও জানুন – দিনাজপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শরীয়তপুরের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য:

শরীয়তপুর জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রচুর মূল্যবান ঐতিহ্য উপস্থাপন করে। বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই স্থানে তাদের স্থান খুঁজে পায়।

শরীয়তপুরের লোকসঙ্গীত:
শরীয়তপুর জেলা জুড়ে স্থানীয় লোকসঙ্গীতের ব্যাপক জনপ্রিয়তা বজায় রয়েছে। এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরণের গান পরিবেশিত হয়।

শরীয়তপুরের নাটক:
এখানে নাটকও চর্চা করা হয়। শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি নাট্য সংগঠন নাট্য পরিবেশনা করে।

 

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
বুড়ির হাত জামে মসজিদ /ক্রেডিট: Vromon Vlogs

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ

আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩)- কবি ও সাহিত্যিক;
গোলাম মওলা (১৯২০-১৯৬৭)- চিকিৎসক ও ভাষা সৈনিক;
কেদার রায় (মৃত্যুঃ ১৬০৩) – বার ভুঁইয়ার ও বিক্রমপুর পরগনার জমিদার;
পুলিন বিহারী দাস (১৮৭৭-১৯৪৯) – ব্রিটিশ বিরোধী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের নেতা।
অতুলপ্রসাদ সেন (১৮৭১-১৯৩৪) – আইন ব্যবসা ও গানের গীতিকার;
যোগেশচন্দ্র ঘোষ (১৮৮৭-১৯৭১) – আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বিশারদ এবং শিক্ষাবিদ; সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা;
গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য (১৮৯৫-১৯৮১) – পতঙ্গবিশারদ, উদ্ভিদবিদ;


গোষ্ঠ পাল (১৮৯৬-১৯৭৫) – ফুটবলার, ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী উপাধিতে (১৯৬২) ভূষিত হন;
রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী (১৯২১-১৯৮৮)- কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সমাজসেবক, রবীন্দ্র গবেষক;
বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু- সাবেক এম.পি, শরীয়তপুর-১
কর্নেল (অবঃ) এ. শওকত আলী (১৯৩৭-২০২০ ) – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন ডেপুটি স্পীকার।
কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেব (জন্ম ২০ অক্টোবর ১৯৫৫) হলেন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী (১৮৯৩-১৯৮০) – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।

আবিদুর রেজা খান – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রাক্তন সাংসদ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের প্রথম গভর্নর।
টি. এম. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ- সাবেক এমপি শরীয়তপুর-২
আব্দুর রাজ্জাক (রাজনীতিবিদ) – প্রাক্তন পানি সম্পদ মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা।
আবদুল মোতালেব সরদার – প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড়, কলকাতা মোহামেডান।
রাজবল্লভ সেন- বিক্রমপুরের রাজা।
এম. আজিজুল হক – সাবেক আইজিপি
নাহিম রাজ্জাক – সংসদ সদস্য, শরীয়তপুর-৩ আসন।
আবদুর রাজ্জাক (চিত্রশিল্পী)
আনিছুর রহমান (সচিব)
এস. এম. গোলাম ফারুক:-সরকারি কর্মকর্তা।
মনির হোসেন মনু : জাতীয় দলের ফুটবলার।      (তথ্যসূত্রঃ ইউকিপিডিয়া)

 

শরীয়তপুর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা:
শরীয়তপুর জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যতিক্রমী শিক্ষামূলক পরিষেবা প্রদান করে।
শরীয়তপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,শরীয়তপুর সরকারি কলেজ,নড়িয়া কলেজ,শরীয়তপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,শরীয়তপুর বালিকা বিদ্যালয়,নড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়।

শরীয়তপুরের স্বাস্থ্যসেবা:
শরীয়তপুর জেলা জুড়ে স্বাস্থ্যসেবা একটি চমৎকার মান বজায় রেখেছে। এই অঞ্চলে এর অঞ্চল জুড়ে অসংখ্য ক্লিনিক এবং হাসপাতাল রয়েছে।

হাসপাতাল: শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল,নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
ক্লিনিক: শরীয়তপুর ক্লিনিক,নড়িয়া ক্লিনিক, দামুদ্যা ক্লিনিক।

শরীয়তপুরের পর্যটন কেন্দ্র:
অসাধারণ সৌন্দর্যের বেশ কয়েকটি স্থান শরীয়তপুর জেলায় পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এই এলাকা জুড়ে দর্শনার্থীরা বেশ কয়েকটি স্থান আবিষ্কার করতে পারবেন।

ভিডিও ক্রেডিট: Vromon Vlogs

শরীয়তপুরের দুর্গাপুর জমিদার বাড়ি:
দুর্গাপুর জমিদার বাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। এই স্থান জুড়ে অনেক পুরানো স্থাপত্য কাঠামো বিদ্যমান।

শরীয়তপুরের নড়িয়া নদী:
এই অঞ্চলে সুন্দর নদী নড়িয়া নদী বিদ্যমান। নৌকায় ভ্রমণ এই স্থান জুড়ে একটি সম্ভাব্য বিকল্প প্রদান করে।

শরীয়তপুরের জাজিরা সেতু:
জাজিরা সেতুটি এই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশল বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাজ করে। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

শরীয়তপুরের অর্থনীতি:

শরীয়তপুর জেলা সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কৃষিভিত্তিক ভিত্তি বজায় রাখে। এখানে বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়।

আরও বিভিন্ন জেলার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন…

শরীয়তপুরের কৃষি:

ধান, পাট এবং গম সহ বেশ কিছু কৃষিজাত পণ্য এবং শাকসবজি এই অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। শরীয়তপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে।

শরীয়তপুরের মৎস্য চাষ:

শরীয়তপুর জেলা জুড়ে মাছ চাষ সবচেয়ে জনপ্রিয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলির মধ্যে একটি। এই অঞ্চলের নদীগুলিতে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়।

শরীয়তপুরের হস্তশিল্প:

এই অঞ্চলে একাধিক হস্তশিল্প উৎপাদন বিদ্যমান। বাঁশের সাথে বেত দিয়ে তৈরি পণ্যগুলি এই বিভাগে প্রধান বিখ্যাত পণ্য হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

শরীয়তপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শরীয়তপুর জেলা কোথায় অবস্থিত?

জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি ঢাকা বিভাগের অংশ।

শরীয়তপুর জেলায় কোন তিনটি প্রধান জলপথ রয়েছে?

পদ্মা, মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ শরীয়তপুর জেলার তিনটি প্রধান জলপথ গঠন করে।

রীয়তপুর জেলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত ব্যক্তি কে ?

শরীয়তপুর জেলায় দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা পীর আওলাদ হোসেন এবং রাজনীতিবিদ আবুল হাসানাত হিসেবে পরিচিত।

শরীয়তপুর জেলা মূলত কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল?

শরীয়তপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে কৃষিকাজকে বিবেচনা করা হয়। এই এলাকার মানুষ মূলত ধান ও পাট চাষ করে এবং মাছ চাষ করে।

শরীয়তপুরে কোন ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে?

শরীয়তপুর জেলার জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে নড়িয়া জমিদার বাড়ি এবং ভেদরগঞ্জের শতবর্ষী মসজিদ।

 

Credit: m.youtube.com

শরীয়তপুর জেলা বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল। এর ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার মানুষরা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমী।

 

F A Q

শরীয়তপুর জেলা কোথায় অবস্থিত?

জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি ঢাকা বিভাগের অংশ।

শরীয়তপুর জেলায় কোন তিনটি প্রধান জলপথ রয়েছে?

পদ্মা, মেঘনা এবং আড়িয়াল খাঁ শরীয়তপুর জেলার তিনটি প্রধান জলপথ গঠন করে।

রীয়তপুর জেলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত ব্যক্তি কে ?

শরীয়তপুর জেলায় দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা পীর আওলাদ হোসেন এবং রাজনীতিবিদ আবুল হাসানাত হিসেবে পরিচিত।

শরীয়তপুর জেলা মূলত কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল?

শরীয়তপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হিসেবে কৃষিকাজকে বিবেচনা করা হয়। এই এলাকার মানুষ মূলত ধান ও পাট চাষ করে এবং মাছ চাষ করে।

শরীয়তপুরে কোন ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে?

শরীয়তপুর জেলার জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে নড়িয়া জমিদার বাড়ি এবং ভেদরগঞ্জের শতবর্ষী মসজিদ।