জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি: রোহিঙ্গা সঙ্কটে মার্কিন ভূমিকা পর্যালোচনা
যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে
- আপডেট সময় : ০৫:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
- / 141
U.S. Embassy Dhaka
যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের পাশে: মানবিক সহায়তা, মানবাধিকার এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সমর্থন
ঢাকা, বাংলাদেশ: যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি তার অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, তাদের মানবিক সহায়তা প্রদান, তাদের মানবাধিকার রক্ষায় সমর্থন করা এবং তাদের নিরাপদে মায়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (FAO) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অ্যাম্বাসেডর জেফরি প্রেসকট আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের সাথে বাংলাদেশ সফর করেছেন। সফরের সময়, অ্যাম্বাসেডর প্রেসকট যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব কীভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়গুলিকে সহায়তা করছে তা প্রত্যক্ষ করে দেখেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা:
মানবিক সহায়তা: যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বৃহত্তম দাতা, যারা ২০২৪ সালে খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য জীবন বাঁচানোর সহায়তার জন্য 1.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রদান করেছে।
মানবাধিকার: যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে, মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি তদন্তের প্রস্তাব সহ।
নিরাপদ প্রত্যাবাসন: যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য স্বেচ্ছা, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য মায়ানমার সরকারের সাথে কাজ করছে।
অ্যাম্বাসেডর প্রেসকটের বক্তব্য:
“যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের প্রতি তার দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে পেরে আমি গর্বিত। আমরা তাদের মানবিক চাহিদা পূরণে, তাদের মানবাধিকার রক্ষায় এবং তাদের নিরাপদে মায়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
“আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের সাথে এই সফরটি আমাদের রোহিঙ্গাদের জন্য কাজের গুরুত্ব তুলে ধরার এবং বিশ্বকে এই সংকটের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।”
সামনের পথ:
যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে:
মায়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করা যাতে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয় এবং তাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়।