যশোর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
- আপডেট সময় : ০৫:১০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
- / 605
যশোর জেলা- বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলা হিসেবে পরিচিত।
যশোর জেলার পরিচিতি
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। এটি ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধান শহর যশোর শহর। পদ্মা ও ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত কৃষি ও শিল্পে সমৃদ্ধ।
যশোর জেলার ভৌগোলিক অবস্থান
ভৌগোলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশ ২২°৪৭’ এবং ২৩°৪৩’ এর মধ্যে। পূর্ব দ্রাঘিমাংশ ৮৯°০২’ এবং ৮৯°২২’ এর মধ্যে।
জেলার সীমান্ত
- উত্তরে – ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা
- দক্ষিণে – সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলা
- পূর্বে – নড়াইল ও মাগুরা জেলা
- পশ্চিমে – ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ
এ জেলায় ৮টি উপজেলা রয়েছে।
যশোর সদর উপজেলা।
বাঘারপাড়া উপজেলা।
অভয়নগর উপজেলা।
কেশবপুর উপজেলা।
চৌগাছা উপজেলা।
ঝিকরগাছা উপজেলা।
মনিরামপুর উপজেলা।
শার্শা উপজেলা।
বেনাপোল বন্দর থানা।
যশোর জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
আনোয়ারা সৈয়দ হক – অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক। কেরামত মওলা – অভিনেতা।ফারজানা রিক্তা – অভিনেত্রী। হামিদা রহমান – নারী ভাষা সৈনিক। হাজারীলাল তরফদার – বীর প্রতীক। রশিদ আলী – বীর প্রতীক। মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান – সাহিত্যিক ও ভাষাবিজ্ঞানী। শেখ আকিজ উদ্দীন – শিল্পপতি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত – কবি ও নাট্যকার। কিরণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় – বাঙালি বিপ্লবী। সরোজ দত্ত – ভারতীয় বামপন্থী রাজনীতিবিদ। গোলাম মোস্তফা – মুসলিম রেঁনেসার কবি।
আবুল হোসেন – কবি. ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান – সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী।
বাঘা যতীন – শহীদ বিপ্লবী। ইলা মিত্র – বিপ্লবী ও কৃষক নেতা। রাধাগোবিন্দ চন্দ্র – জ্যোতির্বিজ্ঞানী। রাজা প্রতাপাদিত্য – যশোর সম্রাট। কোহিনূর আক্তার সুচন্দা – অভিনেত্ৰী। ফরিদা আক্তার ববিতা – অভিনেত্ৰী। গুলশান আরা চম্পা – অভিনেত্ৰী। রিয়াজ – অভিনেতা। শাবনূর- অভিনেত্ৰী। মুনিয়া ইসলাম- অভিনেত্রী। শাহ মোহাম্মদ ফারুক – বৈজ্ঞানিক। দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – শিশুসাহিত্যিক ও সম্পাদক। অবনীভূষণ চট্টোপাধ্যায় – গণিতজ্ঞ ও লেখক।
হাসিবুর রেজা কল্লোল – চলচ্চিত্র পরিচালক। ইকবাল কাদির – গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাতা। রসিকলাল চক্রবর্তী – সাধক সঙ্গীতজ্ঞ। অরুণ মিত্র।
আব্দুল্লাহ আল মামুন – ক্রিকেটার। তরিকুল ইসলাম। শেখ মোস্তাক আহমেদ। শিশির কুমার ঘোষ। কাজী কামরুল হাসান। কাজী হাসান হাবিব। খালেদুর রহমান টিটো।রওশন আলী। স্বপন ভট্টাচার্য্য। পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য। ইসমত আরা সাদেক। আবু শারাফ হিজবুল কাদের সাদেক।
Credit: m.youtube.com
যশোর জেলার জনসংখ্যা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী যশোর জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৭ লক্ষ। এই জেলার প্রধান ভাষা বাংলা।
যশোর জেলার অর্থনীতি
কৃষি ও শিল্পে সমৃদ্ধ। প্রধান ফসল ধান, পাট, গম, আলু ইত্যাদি। এছাড়া যশোরে অনেক শিল্প কারখানা রয়েছে। যশোরের বিখ্যাত পান, পাট এবং মাছ।
যশোর জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। এখানে নানা ধরনের লোকজ উৎসব পালিত হয়।
যশোরের প্রধান উৎসব
- পহেলা বৈশাখ
- দুর্গাপূজা
- ঈদ উল ফিতর
- ঈদ উল আযহা
যশোরের লোকজ সংস্কৃতি
লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাউল গান, লাঠিখেলা, যাত্রা, পুতুল নাচ ইত্যাদি।
যশোর জেলার পর্যটন কেন্দ্র
অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে পর্যটকদের জন্য অনেক আকর্ষণীয় স্থান আছে।
যশোরের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র
পর্যটন কেন্দ্র | অবস্থান |
---|---|
শাহজাদপুর জমিদার বাড়ি | শাহজাদপুর |
নীলগঞ্জ পুকুর | নীলগঞ্জ |
চাঁচড়া রাজার বাড়ি | চাঁচড়া |
যশোর বিমানবন্দর | যশোর শহর |
যবাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই জেলার মানুষ তাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য গর্বিত। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আরও ভালোভাবে জানার জন্য পর্যটকদের এখানে আসা উচিত।
Frequently Asked Questions
যশোর জেলা কোথায় অবস্থিত?
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠা কবে হয়েছিল?
১৭৮১ সালে যশোর জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
যশোরের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম কী?
কৃষি যশোরের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
যশোরের বিখ্যাত ব্যক্তিরা কারা?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বেগম রোকেয়া, জসিমউদ্দিন প্রমুখ।
যশোরের প্রধান পর্যটন স্থান কী কী?
পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে চৌগাছা, বেনাপোল স্থলবন্দর, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি।