স্বেচ্ছাসেবকতা ও সচেতনতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
‘বিডি ক্লিন’ পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশের জন্য কাজ করে।
- আপডেট সময় : ০৮:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
- / 238
শ্লোগান: “পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকে” প্রতিষ্ঠাকাল ও সদস্য সংখ্যা; ৩ জুন, ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্লাটফর্মে বর্তমানে (৩ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) ৪৪ হাজারের অধিক সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সদস্য বিডি ক্লিন এর লক্ষ্য অর্জনে অবিরাম কর্মরত।
বাংলাদেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তোলার অদম্য লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং জনসাধারণের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।
বিডি ক্লিন এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
লক্ষ্য: যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার মানসিকতা পরিবর্তন করে ডাস্টবিন ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
উদ্দেশ্য: বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে অন্যতম পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রতিটি নাগরিককে বিশ্বব্যাপী আদর্শবান সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন এর শপথ বাক্য:
“আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব এবং দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখিব। আমাদের আশেপাশের কেউ যেন, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে সে বিষয়ে সচেতন করিব। সর্বদা সাংবিধানিক নাগরিক দায়িত্ব পালন করিব। দেশে প্রচলিত সকল আইন মানিয়া চলিব। হে প্রভু আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন দেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি পরিচ্ছন্ন, শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমীন”
কার্যক্রম নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান:
প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত একটি এলাকা পরিষ্কার করা হয় এবং আশেপাশের মানুষকে ডাস্টবিন ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
সচেতনতা বৃদ্ধি: মাইকিং, পোস্টার বিতরণ, সেমিনার, এবং কর্মশালা आयोजनের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।
বিশেষ কর্মসূচি: বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলোতে ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি পালন করা হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মসূচি: স্কুল ও কলেজে পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করা হয়।
প্লাস্টিক দূষণ রোধ: প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হয় এবং বিকল্প উপকরণ ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
বৃক্ষরোপণ: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষা: জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করা হয়।
বিডি ক্লিন এর সদস্য যোগ্যতা:
নিয়ম নীতি গ্রহন সাপেক্ষে দেশের জন্য স্বেচ্ছায় শ্রম দিতে ইচ্ছুক যে কোন বয়সী বাংলাদেশী নাগরিক বিডি ক্লিন এর সদস্য হবার যোগ্য। তবে রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজের সাথে জড়িত থাকিলে বা রাষ্ট্রের যে কোন উন্নয়ন কাজে বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করিলে তাহার সদস্যপদ বিনা নোটিশে বাতিল করা হবে। এছাড়াও সাংগঠনিক আদেশ অমান্য সহ কোন সদস্যের প্রতি অশালীন আচরণ ও হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ পেলে প্রমাণসাপেক্ষে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান বা সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
বিশেষ কর্মসূচি:
বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলোতে ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। ২০১৯ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিডি ক্লিন ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি আয়োজন করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মসূচি; স্কুল ও কলেজে পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করা হয়।
অপরিচ্ছন্ন শহরের তুলনায় পরিচ্ছন্ন শহরে ৪৬% রোগজীবাণুর প্রকোপ কমে যায়। ফলে দেশের সকল জনগণ ৪৬% রোগজীবাণুর আক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাবে। সর্বোপরি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিশ্চিত হবে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এছাড়াও পরিচ্ছন্ন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নিবে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের নাম।