বাংলাদেশের চাকমা সম্প্রদায়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
- আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
- / 385
চাকমা সম্প্রদায় বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, তিন পার্বত্য জেলায় বসবাস করে। চাকমারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং “বাংলাদেশের চাকমা সম্প্রদায় হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
চাকমারা মূলত বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় বসবাস করে, যা হল রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান। তারা পাহাড়ি এলাকায় ছোট ছোট গ্রামে বসবাস করে।
বাংলাদেশের চাকমারা একটি পিতৃতান্ত্রিক সমাজ। পরিবার হল চাকমাদের মূল সামাজিক প্রতিষ্ঠান। পরিবারের প্রধান হলেন বাবা। চাকমাদের মধ্যে বিবাহ সাধারণত সমবংশীয় গোষ্ঠীর মধ্যে হয়।
চাকমারা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ। তাদের গ্রামগুলো একটি গণসভা দ্বারা পরিচালিত হয়। গণসভায় সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।
চাকমাদের অর্থনীতি
চাকমাদের প্রধান জীবিকা হল কৃষি। তারা প্রধানত ধান, পাট, আলু এবং তৈলবীজ চাষ করে। চাকমারা পশুপালন, মৎস্যচাষ এবং বাণিজ্যও করে থাকে।
চাকমাদের শিক্ষা
বাংলাদেশের চাকমাদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়ছে। বর্তমানে, চাকমাদের বেশিরভাগই প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা করে। কিছু চাকমা শিক্ষার্থী উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করে।
চাকমাদের প্রধান উৎসবগুলির মধ্যে রয়েছে:
বিজু: চাকমাদের প্রধান উৎসব। এটি বসন্তের আগমন উদযাপন করে।
পানি উৎসব: এটি বৃষ্টির দেবতাকে আহ্বান করে।
ধান কাটার উৎসব: এটি ধান কাটার সময় তারা উদযাপন করে।
মরদেহ দাহের উৎসব: এটি মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করে।
“চাকমা সঙ্গীত এবং নৃত্য: চাকমারা তাদের সুন্দর সঙ্গীত এবং নৃত্যের জন্য পরিচিত। চাকমা সঙ্গীত সাধারণত বৌদ্ধ ধর্মীয় বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে থাকে। চাকমা নৃত্যগুলির মধ্যে রয়েছে “চাকমা চ্যৈন” এবং “চাকমা লংডো”।
চাকমারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা তাদের নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য দিয়ে দেশ কে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। চাকমারা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
চাকমাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। তারা শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী ও অগ্রগতির পথে।