বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বিশ্বের স্বীকৃতি
- আপডেট সময় : ০৯:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
- / 266
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ কেবল বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়, বিশ্ব ইতিহাসেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বিশ্বস্বীকৃতি:
২৫০০ বছরের ৪১টি ইতিহাস সৃষ্টিকারী ভাষণের একটি: ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ড. জ্যাকব এফ. ফিল্ড কর্তৃক সম্পাদিত “We Shall Fight on the Beaches: The Speeches that Inspired History” গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত।
মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত দিকনির্দেশনা: ড. জ্যাকব ‘The Struggle this Time is the Struggle for Independence’ শিরোনামে ভাষণের মূল বক্তব্য ও মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত দিকনির্দেশনাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আপসহীন ভূমিকা তুলে ধরেন।
বিশ্ববরেণ্য নেতাদের সাথে তুলনা: বইটিতে খ্রিস্টপূর্বকালের আলেকজান্ডার দি গ্রেট থেকে আধুনিককালের আব্রাহাম লিঙ্কন, ভ্লাদিমির লেনিন, উইনস্টন চার্চিল, শার্ল দ্য গল, মাও সেতুং, হো চি মিন, সালভাদর আলেন্দে প্রমুখের কালজয়ী ভাষণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অন্তর্ভুক্ত।
আব্রাহাম লিংকনের ‘গেটিসবার্গ অ্যাড্রেস’: ২৭২ শব্দের, দুই মিনিটের লিখিত ভাষণ, ১৫-২০ হাজার মানুষের সামনে দেওয়া।
মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘আই হ্যাভ অ্য ড্রিম’: ১৬৬৬ শব্দের, ১৭ মিনিটের লিখিত ভাষণ, প্রায় দুই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া।
উইনস্টন চার্চিলের ‘উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস’: ৩৭৬৮ শব্দের, ১২ মিনিটের ভাষণ, ৬০০ মানুষের সামনে দেওয়া।
জওহরলাল নেহেরুর ‘অ্যা ট্রাইস্ট উইথ ডেস্টিনি’: ৭৫৫ শব্দের, পাঁচ মিনিটের ভাষণ, ৫০০ মানুষের সামনে দেওয়া।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বৈশিষ্ট্য:
অলিখিত ও পূর্ব প্রস্তুতিবিহীন: ১০ লাখ বাঙালির সামনে স্বাধীনতার স্পষ্ট ঘোষণা।১০৯৫টি বজ্রকঠিন শব্দ: মাত্র ১৮ মিনিটে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে দাবি করা হয়।