ফরিদপুর জেলার ইতিহাস সংস্কৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ।
ফরিদপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
- আপডেট সময় : ০৯:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
- / 222
ফরিদপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ- ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং মানুষ অনেকেই জানেন না। জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে জানব।
বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। এটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত।জেলার প্রধান শহর হলো ফরিদপুর শহর।
ভৌগোলিক অবস্থান:
পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত। এর উত্তরে রাজবাড়ি , দক্ষিণে গোপালগঞ্জ , পূর্বে মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুর এবং পশ্চিমে মাগুরা ও নড়াইল অবস্থিত।
প্রশাসনিক বিভাগ
৯টি উপজেলায় বিভক্ত। উপজেলাগুলো হলো:
- ফরিদপুর সদর
- আলফাডাঙ্গা
- ভাঙ্গা
- বোয়ালমারী
- চরভদ্রাসন
- মধুখালী
- নগরকান্দা
- সদরপুর
- শালথা
অর্থনীতি
অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে ধান, পাট, গম, আখ ইত্যাদি শস্য উৎপাদিত হয়। এছাড়া মাছ চাষ ও পোল্ট্রি ফার্মও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফরিদপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা:
বহু নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ অন্যতম। এছাড়া ফরিদপুর মেডিকেল কলেজও অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ফরিদপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ-
হাজী শরীয়তুল্লাহ, ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা
নবাব আবদুল লতীফ, সমাজ সংস্কারক
আলাওল, মধ্যযুগের কবি
জসীম উদ্দিন, পল্লিকবি
মুন্সি আব্দুর রউফ, বীরশ্রেষ্ঠ
শামসুল হক ফরিদপুরী, বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব,লেখক ও গবেষক
অম্বিকাচরণ মজুমদার, সাবেক সভাপতি, জাতীয় কংগ্রেস
আবদুল হক ফরিদী, শিক্ষাবিদ
আ. ন. ম. বজলুর রশীদ
ঈশানচন্দ্র সরকার
কানাইলাল শীল, সংগীতবিদ
খন্দকার নাজমুল হুদা
সুফি মোতাহার হোসেন, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক
রোকনুজ্জামান খান, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত সাহিত্যিক
খান বাহাদুর আবদুল গফুর নাসসাখ
পরিমল গোস্বামী
জাহানারা আহমেদ
নুরুল মোমেন নাট্যকার
সুফিয়া আহমেদ
মীর মোশাররফ হোসেন বিখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিপ্লবী
এম এ হক (কবি), সাহিত্যিক
এ. এফ. সালাহ্উদ্দীন আহমদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের জাতির জনক
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্টলেডী
শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
মোহাম্মদ ইব্রাহিম (বিচারপতি)
কে এম ওবায়দুর রহমান, বিএনপির রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী, সমাজসেবক
সৈয়দ আব্দুর রব, সাংবাদিক
রামতারণ সান্যাল
হিমানীশ গোস্বামী, লেখক
শোভা সেন, অভিনেত্রী
শামসুদ্দীন মোল্লা
বনলতা সেন (চক্রবর্তী)
মনমোহন ভাদুড়ী, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠক
সুরেশচন্দ্র দে, স্বাধীনতা সংগ্রামী, অধ্যাপক
শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরী, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ফরিদপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ঔপন্যাসিক, কবি
নরেন্দ্রনাথ মিত্র, ঔপন্যাসিক
হুমায়ুন কবির, শিক্ষাবিদ
উল্লেখযগ্য ব্যক্তিবর্গ :
বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, সাংবাদিক,
আছাদুজ্জামান মিয়া
কুটি মনসুর, গীতিকার
কাজী মোতাহার হোসেন, বিখ্যাত লেখক, বিজ্ঞানী, দাবাড়ু, সাবেক জাতীয় অধ্যাপক
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ রাজনীতিবিদ
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
শৈলেশ দে
রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, বাঙালি সাহিত্যিক
যতীন্দ্রমোহন সিংহ, বাঙালি ঔপন্যাসিক
রাধাবল্লভ গোপ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, পদ্মভূষণ প্রাপ্ত
হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলা একাডেমি এর সম্মানিত সভাপতি
খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সংসদ সদস্য, সংসদ উপনেতা, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী
মুসা বিন শমসের, বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী
মাকসুদুল আলম, পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনকারী প্রথম বাংলাদেশী বিজ্ঞানী
অজিতকুমার চক্রবর্তী, (১৮৮৬-১৯১৮) বাঙালি সাহিত্যিক
রমেশচন্দ্র মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বিখ্যাত লেখক, গবেষক
সুকান্ত ভট্টাচার্য, ক্ষনজন্মা প্রতিভাবান বাঙালী কবি
মীর মোশাররফ হোসেন বিখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক
কাজী দীন মোহাম্মদ, চিকিৎসক
এ কিউ এম জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সাবেক প্রেসিডেন্ট
কাজী আনোয়ার হোসেন,একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী
মহেন্দ্র গুপ্ত
চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতাকামী শহিদ
আবু ইসহাক, বিখ্যাত সাহিত্যিক
সিরাজ শিকদার, নক্সাল আন্দোলনকারী নেতা
অমিতাভ দাশগুপ্ত, কবি
অঞ্জু ঘোষ, বেদের মেয়ে জোসনা খ্যাত অভিনেত্রী
মাহবুবুল হক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, গবেষক ও অধ্যাপক
আবুল হাসান (কবি), বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত ক্ষণজন্মা কবি
রাজিয়া খান, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত লেখিকা.
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ :
মৃণাল সেন, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক
তারেক মাসুদ, চলচ্চিত্রকার
মোহিনী চৌধুরী, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক
রিয়াজ, চিত্রনায়ক
ফণী মজুমদার, চিত্র পরিচালক
অমল বোস, নানা নাতি চরিত্রখ্যাত অভিনেতা
ফজলুর রহমান বাবু, অভিনেতা
পাওলি দাম, চিত্রনায়িকা
কে এম সোবহান
প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, লেখক, সাংবাদিক, টালিগঞ্জ এবং বলিউড পরিচালক
চম্পা, চিত্রনায়িকা
ফরিদা আনোয়ার
অঞ্জু ঘোষ, বেদের মেয়ে জোসনা খ্যাত অভিনেত্রী
(তথ্য সূত্র: bn.wikipedia.org)
ফরিদপুরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময়,এখানে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে।
পালাগান ও জারি গান
পালাগান ও জারি গান বিখ্যাত। এ গানের মাধ্যমে মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও আনন্দের কথা বলা হয়।
বাউল গান
বাউল গান ফরিদপুর জেলার মানুষের জীবনের অংশ। বাউল গানের মাধ্যমে মানুষের মনের কথা বলা হয়।
লোকনৃত্য
লোকনৃত্য বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়। এই নৃত্য ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অংশ।
ফরিদপুরের পর্যটন কেন্দ্র
বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোতে প্রতিনিয়ত ভ্রমণপ্রেমীরা ভিড় করেন।
বড়াল বাগান
বড়াল বাগান অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে।
ফরিদপুরের পুকুর
পুকুর একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে।
আঞ্চলিক খাবার
আঞ্চলিক খাবার সুস্বাদু ও বৈচিত্র্যময়। এখানে কিছু বিখ্যাত খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো।
পান্তাভাত
পান্তাভাত জনপ্রিয় খাবার, এটি সাধারণত সকালে খাওয়া হয়।
ইলিশ মাছ
ইলিশ মাছ একটি বিখ্যাত খাবার, পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ সুস্বাদু।
পাটিসাপটা পিঠা
পাটিসাপটা পিঠা একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা। এটি বিশেষ উৎসবে খাওয়া হয়।
বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এর ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রা বৈচিত্র্যময়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ দেশের সেবা করেছেন। পর্যটন কেন্দ্র ও আঞ্চলিক খাবারও উল্লেখযোগ্য।
Frequently Asked Questions
ফরিদপুর জেলা কোথায় অবস্থিত?
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। পদ্মা নদীর তীরে এ জেলার অবস্থান।
প্রধান আকর্ষণ কী?
ফরিদপুরের প্রধান আকর্ষণ হলো পদ্মা নদীর তীর, ফরিদপুর জাদুঘর ও শ্রীঅঙ্গন আশ্রম।
বিখ্যাত ব্যক্তিরা কারা?
শেখ মুজিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন, ও অম্বিকা চরণ মজুমদার ফরিদপুরের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।
জেলার আয়তন কত?
ফরিদপুর জেলার আয়তন ২০৭২. ৭২ বর্গ কিলোমিটার।
জেলার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য কী?
ফরিদপুর জেলার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য গ্রামীণ জীবনের ঐতিহ্য, লোকসংগীত ও পল্লীগীতি।
অর্থনৈতিক কার্যক্রম কী?
ফরিদপুরের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যে কৃষি, মৎস্যচাষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রধান।