ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শবে ই বরাতের নামাজ ও ইবাদত

পবিত্র শবে ই বরাতের নামাজ ও ইবাদত যে পালন করে ।

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 327

ছবিঃ ফেইসবুক

শবে বরাত হলো হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত। এ রাতকে বলা হয় “মুক্তির রজনী”, “ফজিলতের রজনী”, “বরকতের রজনী”। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ভাগ্যলিপি লিখেন এবং তাদের ক্ষমা করার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টিপাত করেন।

নামাজ:
শবে বরাতের রাতে নফল নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
নামাজের সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। ইচ্ছামত যত রাকাআত পড়া যায়।
সাধারণ নফল নামাজের নিয়ম অনুযায়ী পড়া যাবে।
দুই রাকাআত করে নামাজ পড়া উত্তম।
প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোনো সূরা তেলাওয়াত করতে হবে।
কিছু বিশেষ নামাজ:

চৌদ্দ রাকাআত নামাজ:
প্রতি দুই রাকাআতের পর সালাম ফেরাতে হবে।
প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহার সাথে কুল হুয়া আল্লাহু আহাদ ১০ বার পড়তে হবে।শবে বরাতের রাতে বিভিন্ন দোয়া পাঠ করা যায়।
ইন্টারনেটেও বিভিন্ন সহিহ দোয়া পাওয়া যায়।

কোরআন তেলাওয়াত:
শবে বরাতের রাতে কোরআন তেলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
যত পারা সম্ভব কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
জিকির-আজকার:
তাসবীহ, তাহলীল, দরুদ শরীফ পাঠ করা।
আল্লাহর নাম স্মরণ করা।
ক্ষমা প্রার্থনা:
গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
অন্যদের ক্ষমা করে দেওয়া।
দান-সদকা:
গরিব-দুঃখীদের দান-সদকা করা।
রোজা:
শবে বরাতের দিন রোজা রাখা সুন্নত।

শবে বরাতের রাত জেগে ইবাদত করা উত্তম।
রাতের শেষভাগে ইবাদত করা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ।
ইবাদতের সময় আন্তরিকতা থাকা জরুরি।
বিদআত (নতুন রীতিনীতি) থেকে সাবধান থাকতে হবে।

শবে বরাত হলো আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের একটি বিশেষ সুযোগ। এই রাতে আন্তরিকতার সাথে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শবে ই বরাতের নামাজ ও ইবাদত

পবিত্র শবে ই বরাতের নামাজ ও ইবাদত যে পালন করে ।

আপডেট সময় : ০৬:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শবে বরাত হলো হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত। এ রাতকে বলা হয় “মুক্তির রজনী”, “ফজিলতের রজনী”, “বরকতের রজনী”। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের ভাগ্যলিপি লিখেন এবং তাদের ক্ষমা করার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টিপাত করেন।

নামাজ:
শবে বরাতের রাতে নফল নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
নামাজের সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। ইচ্ছামত যত রাকাআত পড়া যায়।
সাধারণ নফল নামাজের নিয়ম অনুযায়ী পড়া যাবে।
দুই রাকাআত করে নামাজ পড়া উত্তম।
প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোনো সূরা তেলাওয়াত করতে হবে।
কিছু বিশেষ নামাজ:

চৌদ্দ রাকাআত নামাজ:
প্রতি দুই রাকাআতের পর সালাম ফেরাতে হবে।
প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহার সাথে কুল হুয়া আল্লাহু আহাদ ১০ বার পড়তে হবে।শবে বরাতের রাতে বিভিন্ন দোয়া পাঠ করা যায়।
ইন্টারনেটেও বিভিন্ন সহিহ দোয়া পাওয়া যায়।

কোরআন তেলাওয়াত:
শবে বরাতের রাতে কোরআন তেলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
যত পারা সম্ভব কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
জিকির-আজকার:
তাসবীহ, তাহলীল, দরুদ শরীফ পাঠ করা।
আল্লাহর নাম স্মরণ করা।
ক্ষমা প্রার্থনা:
গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
অন্যদের ক্ষমা করে দেওয়া।
দান-সদকা:
গরিব-দুঃখীদের দান-সদকা করা।
রোজা:
শবে বরাতের দিন রোজা রাখা সুন্নত।

শবে বরাতের রাত জেগে ইবাদত করা উত্তম।
রাতের শেষভাগে ইবাদত করা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ।
ইবাদতের সময় আন্তরিকতা থাকা জরুরি।
বিদআত (নতুন রীতিনীতি) থেকে সাবধান থাকতে হবে।

শবে বরাত হলো আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের একটি বিশেষ সুযোগ। এই রাতে আন্তরিকতার সাথে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও কল্যাণ প্রার্থনা করা উচিত।