ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ার অদ্ভুত স্পেস আউট প্রতিযোগিতা: 90 মিনিট ধরে স্থির বসে থাকার চ্যালেঞ্জ!

দক্ষিণ কোরিয়ার 90 মিনিট স্থির বসে থাকার চ্যালেঞ্জ!

অনলাইন ডেস্ক,
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / 215

Photo : BBC World Service

দক্ষিণ কোরিয়ায়, “স্পেস আউট” নামে একটি অদ্ভুত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রতিযোগীরা 90 মিনিট ধরে স্থির বসে থাকে এবং কিছুই করতে পারে না – এমনকি ঘুমাতেও পারে না! এই প্রতিযোগিতাটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

এই বছরের প্রতিযোগিতায়, ভ্যালেন্টিনা ভিলস নামে একজন মহিলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। 90 মিনিট ধরে তিনি চোখ বন্ধ করে স্থির বসে থাকতে সক্ষম হয়েছেন, তার চারপাশের কোলাহল এবং বিভ্রান্তিকর পরিবেশকে উপেক্ষা করেছেন। এই প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ার কঠোর পরিশ্রমী সংস্কৃতির একটি আকর্ষণীয় প্রতিফলন। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ এখানে একটি সাধারণ ঘটনা, যার ফলে মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি বৃদ্ধি পায়। “স্পেস আউট” প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নিতে এবং কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করতে উৎসাহিত করে। এই প্রতিযোগিতাটি কেবল মজার একটি প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি কিছু। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় যে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং কাজের চাপ থেকে বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের সংস্কৃতি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং চাপযুক্ত। অনেক কর্মী দীর্ঘ ঘন্টা কাজ করে এবং ছুটি নেওয়ার সময় কম পায়। এর ফলে অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতি তৈরি হয় যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা ও স্থিরতার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি একটি বার্তা দেয় যে কাজের চেয়ে জীবন আরও বেশি কিছু।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতা কীভাবে কাজ করে:
প্রতিযোগীরা একটি খালি ঘরে প্রবেশ করে যেখানে তাদের 90 মিনিট ধরে একটি চেয়ারে বসে থাকতে হয়। তাদের কোনও বই পড়া, গান শোনা বা অন্য কোনও ধরণের বিনোদন করার অনুমতি দেওয়া হয় না। যদি কোনও প্রতিযোগী নড়াচড়া করে, কথা বলে বা ঘুমায়, তাদের অপসারিত করা হয়। প্রতিযোগিতার শেষে, সবচেয়ে বেশি সময় স্থির থাকা প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতা দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই প্রতিযোগিতা মানুষকে তাদের মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য পরীক্ষা করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে। 2023 সালে, স্পেস আউট প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগী 87 মিনিট 30 সেকেন্ড ধরে স্থির বসে থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন। 2022 সালে, একজন 10 বছরের ছেলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন, যা প্রমাণ করে যে বয়স এই চ্যালেঞ্জে বাধা নয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার বিবরণ:
প্রতিযোগিতার নিয়ম এবং বিধিবদ্ধতা প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। 2024 সালের প্রতিযোগিতায়, অংশগ্রহণকারীদের একটি খালি ঘরে একটি কঠোর চেয়ারে বসে থাকতে হয়েছিল। তাদের কোনও পানি পান করার বা টয়লেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিযোগীদের 90 মিনিট ধরে একটি চেয়ারে স্থিরভাবে বসে থাকতে হবে। তারা নড়াচড়া করতে পারবে না, কথা বলতে পারবে না, বা বই পড়তে পারবে না। যদি কোন প্রতিযোগী নিয়ম ভঙ্গ করে, তাদের প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতার শেষে, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে স্থিরভাবে বসে থাকা প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। প্রতি বছর, হাজার হাজার মানুষ এই অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করে। এই প্রতিযোগিতাটির জনপ্রিয়তার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু লোক মনে করে এটি একটি মজার চ্যালেঞ্জ, অন্যরা মনে করে এটি তাদের ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা পরীক্ষা করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আবারও অনেকে মনে করেন এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি কেবল একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটির কিছু ইতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। প্রতিযোগিতাটি মানুষকে আরও শিথিল হতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও সচেতনতা বাড়িয়ে তুলছে এবং মানুষকে তাদের জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য উৎসাহিত করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায়, “স্পেস আউট” নামে একটি অদ্ভুত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রতিযোগীরা 90 মিনিট ধরে স্থির বসে থাকে এবং কিছুই করতে পারে না – এমনকি ঘুমাতেও পারে না! এই প্রতিযোগিতাটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই বছরের প্রতিযোগিতায়, ভ্যালেন্টিনা ভিলস নামে একজন মহিলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। 90 মিনিট ধরে তিনি চোখ বন্ধ করে স্থির বসে থাকতে সক্ষম হয়েছেন, তার চারপাশের কোলাহল এবং বিভ্রান্তিকর পরিবেশকে উপেক্ষা করেছেন।

এই প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ার কঠোর পরিশ্রমী সংস্কৃতির একটি আকর্ষণীয় প্রতিফলন। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ এখানে একটি সাধারণ ঘটনা, যার ফলে মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি বৃদ্ধি পায়। “স্পেস আউট” প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নিতে এবং কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করতে উৎসাহিত করে। এই প্রতিযোগিতাটি কেবল মজার একটি প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি কিছু। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় যে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং কাজের চাপ থেকে বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের সংস্কৃতি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং চাপযুক্ত। অনেক কর্মী দীর্ঘ ঘন্টা কাজ করে এবং ছুটি নেওয়ার সময় কম পায়। এর ফলে অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতি তৈরি হয় যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা ও স্থিরতার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি একটি বার্তা দেয় যে কাজের চেয়ে জীবন আরও বেশি কিছু।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতা কীভাবে কাজ করে:
প্রতিযোগীরা একটি খালি ঘরে প্রবেশ করে যেখানে তাদের 90 মিনিট ধরে একটি চেয়ারে বসে থাকতে হয়। তাদের কোনও বই পড়া, গান শোনা বা অন্য কোনও ধরণের বিনোদন করার অনুমতি দেওয়া হয় না। যদি কোনও প্রতিযোগী নড়াচড়া করে, কথা বলে বা ঘুমায়, তাদের অপসারিত করা হয়। প্রতিযোগিতার শেষে, সবচেয়ে বেশি সময় স্থির থাকা প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতা দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই প্রতিযোগিতা মানুষকে তাদের মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য পরীক্ষা করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে। 2023 সালে, স্পেস আউট প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগী 87 মিনিট 30 সেকেন্ড ধরে স্থির বসে থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন। 2022 সালে, একজন 10 বছরের ছেলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন, যা প্রমাণ করে যে বয়স এই চ্যালেঞ্জে বাধা নয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। প্রতি বছর, হাজার হাজার মানুষ এই অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করে। এই প্রতিযোগিতাটির জনপ্রিয়তার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু লোক মনে করে এটি একটি মজার চ্যালেঞ্জ, অন্যরা মনে করে এটি তাদের ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা পরীক্ষা করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আবারও অনেকে মনে করেন এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি কেবল একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটির কিছু ইতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। প্রতিযোগিতাটি মানুষকে আরও শিথিল হতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও সচেতনতা বাড়িয়ে তুলছে এবং মানুষকে তাদের জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য উৎসাহিত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দক্ষিণ কোরিয়ার অদ্ভুত স্পেস আউট প্রতিযোগিতা: 90 মিনিট ধরে স্থির বসে থাকার চ্যালেঞ্জ!

দক্ষিণ কোরিয়ার 90 মিনিট স্থির বসে থাকার চ্যালেঞ্জ!

আপডেট সময় : ০৮:২০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ায়, “স্পেস আউট” নামে একটি অদ্ভুত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রতিযোগীরা 90 মিনিট ধরে স্থির বসে থাকে এবং কিছুই করতে পারে না – এমনকি ঘুমাতেও পারে না! এই প্রতিযোগিতাটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

এই বছরের প্রতিযোগিতায়, ভ্যালেন্টিনা ভিলস নামে একজন মহিলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। 90 মিনিট ধরে তিনি চোখ বন্ধ করে স্থির বসে থাকতে সক্ষম হয়েছেন, তার চারপাশের কোলাহল এবং বিভ্রান্তিকর পরিবেশকে উপেক্ষা করেছেন। এই প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ার কঠোর পরিশ্রমী সংস্কৃতির একটি আকর্ষণীয় প্রতিফলন। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ এখানে একটি সাধারণ ঘটনা, যার ফলে মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি বৃদ্ধি পায়। “স্পেস আউট” প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নিতে এবং কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করতে উৎসাহিত করে। এই প্রতিযোগিতাটি কেবল মজার একটি প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি কিছু। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় যে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং কাজের চাপ থেকে বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের সংস্কৃতি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং চাপযুক্ত। অনেক কর্মী দীর্ঘ ঘন্টা কাজ করে এবং ছুটি নেওয়ার সময় কম পায়। এর ফলে অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতি তৈরি হয় যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা ও স্থিরতার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি একটি বার্তা দেয় যে কাজের চেয়ে জীবন আরও বেশি কিছু।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতা কীভাবে কাজ করে:
প্রতিযোগীরা একটি খালি ঘরে প্রবেশ করে যেখানে তাদের 90 মিনিট ধরে একটি চেয়ারে বসে থাকতে হয়। তাদের কোনও বই পড়া, গান শোনা বা অন্য কোনও ধরণের বিনোদন করার অনুমতি দেওয়া হয় না। যদি কোনও প্রতিযোগী নড়াচড়া করে, কথা বলে বা ঘুমায়, তাদের অপসারিত করা হয়। প্রতিযোগিতার শেষে, সবচেয়ে বেশি সময় স্থির থাকা প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতা দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই প্রতিযোগিতা মানুষকে তাদের মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য পরীক্ষা করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে। 2023 সালে, স্পেস আউট প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগী 87 মিনিট 30 সেকেন্ড ধরে স্থির বসে থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন। 2022 সালে, একজন 10 বছরের ছেলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন, যা প্রমাণ করে যে বয়স এই চ্যালেঞ্জে বাধা নয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার বিবরণ:
প্রতিযোগিতার নিয়ম এবং বিধিবদ্ধতা প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। 2024 সালের প্রতিযোগিতায়, অংশগ্রহণকারীদের একটি খালি ঘরে একটি কঠোর চেয়ারে বসে থাকতে হয়েছিল। তাদের কোনও পানি পান করার বা টয়লেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিযোগীদের 90 মিনিট ধরে একটি চেয়ারে স্থিরভাবে বসে থাকতে হবে। তারা নড়াচড়া করতে পারবে না, কথা বলতে পারবে না, বা বই পড়তে পারবে না। যদি কোন প্রতিযোগী নিয়ম ভঙ্গ করে, তাদের প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতার শেষে, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে স্থিরভাবে বসে থাকা প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। প্রতি বছর, হাজার হাজার মানুষ এই অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করে। এই প্রতিযোগিতাটির জনপ্রিয়তার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু লোক মনে করে এটি একটি মজার চ্যালেঞ্জ, অন্যরা মনে করে এটি তাদের ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা পরীক্ষা করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আবারও অনেকে মনে করেন এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি কেবল একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটির কিছু ইতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। প্রতিযোগিতাটি মানুষকে আরও শিথিল হতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও সচেতনতা বাড়িয়ে তুলছে এবং মানুষকে তাদের জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য উৎসাহিত করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায়, “স্পেস আউট” নামে একটি অদ্ভুত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে প্রতিযোগীরা 90 মিনিট ধরে স্থির বসে থাকে এবং কিছুই করতে পারে না – এমনকি ঘুমাতেও পারে না! এই প্রতিযোগিতাটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই বছরের প্রতিযোগিতায়, ভ্যালেন্টিনা ভিলস নামে একজন মহিলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। 90 মিনিট ধরে তিনি চোখ বন্ধ করে স্থির বসে থাকতে সক্ষম হয়েছেন, তার চারপাশের কোলাহল এবং বিভ্রান্তিকর পরিবেশকে উপেক্ষা করেছেন।

এই প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ার কঠোর পরিশ্রমী সংস্কৃতির একটি আকর্ষণীয় প্রতিফলন। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ এখানে একটি সাধারণ ঘটনা, যার ফলে মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি বৃদ্ধি পায়। “স্পেস আউট” প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নিতে এবং কিছুক্ষণের জন্য শিথিল করতে উৎসাহিত করে। এই প্রতিযোগিতাটি কেবল মজার একটি প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি কিছু। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় যে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং কাজের চাপ থেকে বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি শুধু একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের সংস্কৃতি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং চাপযুক্ত। অনেক কর্মী দীর্ঘ ঘন্টা কাজ করে এবং ছুটি নেওয়ার সময় কম পায়। এর ফলে অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতি তৈরি হয় যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি মানুষকে তাদের ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা ও স্থিরতার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি একটি বার্তা দেয় যে কাজের চেয়ে জীবন আরও বেশি কিছু।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতা কীভাবে কাজ করে:
প্রতিযোগীরা একটি খালি ঘরে প্রবেশ করে যেখানে তাদের 90 মিনিট ধরে একটি চেয়ারে বসে থাকতে হয়। তাদের কোনও বই পড়া, গান শোনা বা অন্য কোনও ধরণের বিনোদন করার অনুমতি দেওয়া হয় না। যদি কোনও প্রতিযোগী নড়াচড়া করে, কথা বলে বা ঘুমায়, তাদের অপসারিত করা হয়। প্রতিযোগিতার শেষে, সবচেয়ে বেশি সময় স্থির থাকা প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতা দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই প্রতিযোগিতা মানুষকে তাদের মানসিক শক্তি এবং ধৈর্য পরীক্ষা করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে। 2023 সালে, স্পেস আউট প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগী 87 মিনিট 30 সেকেন্ড ধরে স্থির বসে থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন। 2022 সালে, একজন 10 বছরের ছেলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন, যা প্রমাণ করে যে বয়স এই চ্যালেঞ্জে বাধা নয়।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা:
স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করছে। প্রতি বছর, হাজার হাজার মানুষ এই অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করে। এই প্রতিযোগিতাটির জনপ্রিয়তার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু লোক মনে করে এটি একটি মজার চ্যালেঞ্জ, অন্যরা মনে করে এটি তাদের ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা পরীক্ষা করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আবারও অনেকে মনে করেন এটি ব্যস্ত জীবনে শিথিলতা এবং স্থিরতার গুরুত্বের বার্তা বহন করে।

স্পেস আউট প্রতিযোগিতাটি কেবল একটি মজার অনুষ্ঠানই নয়, বরং এটির কিছু ইতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। প্রতিযোগিতাটি মানুষকে আরও শিথিল হতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত কাজের সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও সচেতনতা বাড়িয়ে তুলছে এবং মানুষকে তাদের জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য উৎসাহিত করছে।