ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনপ্রিয় গায়কের ব্যবসায়িক ধারণা কীভাবে কৃষি খাতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে !

তাসরিফ খানের স্বপ্নের প্রকল্প:ব্যতিক্রমী উদ্দ্যেগ কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত।

ফারুকুজ্জামান জুয়েল,
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / 219

Photo : Tasrif Khan

খ্যাতিমান বাংলাদেশী শিল্পী তাসরিফ খানের ফেসবুকে প্রকাশিত এক ব্যবসায়িক ধারণা ব্যাপক আলোড়না সৃষ্টি করেছে। তিনি মনে করেন, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে খাবার কিনে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিলে, উভয় পক্ষই লাভবান হবে।

তাসরিফ খান নিজের ফেসবুকে লিখেন,
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে খুব রুট লেভেল থেকে একটা বিজনেস শুরু করতে। এই যেমন সবজি, মাছ, চাল বা এই জাতীয় খাবার একদম কৃষকের কাছ থেকে নিয়ে ভোক্তা পর্য্যন্ত পৌঁছে দিতে যেখানে কৃষক তার প্রাপ্য মূল্যটা পাবে, এবং ভোক্তাও অল্প দামে ক্রয় করতে পারবে। বড় রকমের চালান নিয়ে কাজ করলে আমার খুব সামান্য প্রফিট করলেও লস হবেনা। আমি যা ভাবছি তাতে পুরোটা প্রজেক্টই হয়তো উইন উইন টাইপ হবে। কয়েকবারে শুরু করতে নিয়েও করতে পারি নি। বিভিন্ন জায়গায় যেমন রয়েছে সিন্ডিকেট আবার তেমনই রয়েছে অদ্রশ্য বিভিন্ন শক্তি আর ঝামেলা। এটা আমার একটা স্বপ্নের প্রজেক্ট হবে। কখনও না কখনও এটা আমি শুরু করবো ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা আছেন যারা অনেক সুন্দর সুন্দর প্ল্যান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের কল্যাণে। করো কাছে যদি এমন কোন পরিকল্পনা থাকে যেখানে করো ক্ষতি না করে, অসৎ পথে না গিয়ে, কাউকে না ঠকিয়ে অল্প লাভে হলেও সুন্দর করে ব্যবসা করা যাবে তবে আমায় জানাবেন। আমি আপনার সাথে কাজ করতে আগ্রহী।

প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মূল লক্ষ্যগুলি:
কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য: বর্তমান ব্যবস্থায়, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না। মধ্যস্বত্বকারীরা অনেক লাভ নিয়ে খাবার কিনে বাজারে বিক্রি করে, ফলে কৃষকদের হাতে খুব কম টাকা পৌঁছায়। তাসরিফ খানের ধারণা অনুযায়ী, সরাসরি কেনাকাটা করলে কৃষকরা তাদের উৎপাদনের পুরো মূল্য পাবেন।
ভোক্তাদের জন্য কম দাম: বাজারে খাবারের দাম অনেক বেশি। তাসরিফ খান বিশ্বাস করেন, মধ্যস্বত্বকারীদের বাদ দিলে ভোক্তারা বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে তাজা ও নিরাপদ খাবার কিনতে পারবেন।
নতুন কর্মসংস্থান: এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। খাবার সংগ্রহ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ – এই সব কাজে নতুন মানুষের চাকরির সুযোগ হবে।

তাসরিফ খানের জনপ্রিয় গান:
তাসরিফ খান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার। তিনি তার আবেগী গান, মনোমুগ্ধকর কণ্ঠস্বর এবং সাবলীল গীত রচনার জন্য পরিচিত। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে রয়েছে:
রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম গান, তাইতো আইলাম সাগরের গান, তাসরিফ খানের ব্যাচেলর গান !
মধ্যবিত্ত: এটি একটি সামাজিক বার্তা বহন করে জনপ্রিয় গান যা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সংগ্রাম তুলে ধরে।
যুদ্ধ বন্ধ হোক:ফিলিস্তিনের মানুষের দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে এমন একটি শক্তিশালী গান।
কুঁড়েঘর:একটি আবেগপ্রবণ গান যা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন একজন মানুষের গল্প বলে।

সামাজিক কার্যক্রম:
তাসরিফ খান শুধু একজন মুখ্য গায়কই নন, তিনি একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও বটে। তিনি নিয়মিত দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কারণকে সমর্থন করেন। তিনি ‘টাসরিফ খান ফাউন্ডেশন’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন যা প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের সময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করে।

তাসরিফ খান বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের একজন উজ্জ্বল তারকা। তার গানগুলি মানুষের মনে ছুঁয়ে যায় এবং তার সামাজিক কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তিনি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা এবং আশার প্রতীক। তাসরিফ খানের ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যবসায়িক ধারণা কেবল একটি আকর্ষণীয় ধারণাই নয়, বরং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে আমূল পরিবর্তন আনার সম্ভাবনাও

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় গায়কের ব্যবসায়িক ধারণা কীভাবে কৃষি খাতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে !

তাসরিফ খানের স্বপ্নের প্রকল্প:ব্যতিক্রমী উদ্দ্যেগ কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত।

আপডেট সময় : ১২:১০:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

খ্যাতিমান বাংলাদেশী শিল্পী তাসরিফ খানের ফেসবুকে প্রকাশিত এক ব্যবসায়িক ধারণা ব্যাপক আলোড়না সৃষ্টি করেছে। তিনি মনে করেন, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে খাবার কিনে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিলে, উভয় পক্ষই লাভবান হবে।

তাসরিফ খান নিজের ফেসবুকে লিখেন,
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে খুব রুট লেভেল থেকে একটা বিজনেস শুরু করতে। এই যেমন সবজি, মাছ, চাল বা এই জাতীয় খাবার একদম কৃষকের কাছ থেকে নিয়ে ভোক্তা পর্য্যন্ত পৌঁছে দিতে যেখানে কৃষক তার প্রাপ্য মূল্যটা পাবে, এবং ভোক্তাও অল্প দামে ক্রয় করতে পারবে। বড় রকমের চালান নিয়ে কাজ করলে আমার খুব সামান্য প্রফিট করলেও লস হবেনা। আমি যা ভাবছি তাতে পুরোটা প্রজেক্টই হয়তো উইন উইন টাইপ হবে। কয়েকবারে শুরু করতে নিয়েও করতে পারি নি। বিভিন্ন জায়গায় যেমন রয়েছে সিন্ডিকেট আবার তেমনই রয়েছে অদ্রশ্য বিভিন্ন শক্তি আর ঝামেলা। এটা আমার একটা স্বপ্নের প্রজেক্ট হবে। কখনও না কখনও এটা আমি শুরু করবো ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা আছেন যারা অনেক সুন্দর সুন্দর প্ল্যান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের কল্যাণে। করো কাছে যদি এমন কোন পরিকল্পনা থাকে যেখানে করো ক্ষতি না করে, অসৎ পথে না গিয়ে, কাউকে না ঠকিয়ে অল্প লাভে হলেও সুন্দর করে ব্যবসা করা যাবে তবে আমায় জানাবেন। আমি আপনার সাথে কাজ করতে আগ্রহী।

প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মূল লক্ষ্যগুলি:
কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য: বর্তমান ব্যবস্থায়, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না। মধ্যস্বত্বকারীরা অনেক লাভ নিয়ে খাবার কিনে বাজারে বিক্রি করে, ফলে কৃষকদের হাতে খুব কম টাকা পৌঁছায়। তাসরিফ খানের ধারণা অনুযায়ী, সরাসরি কেনাকাটা করলে কৃষকরা তাদের উৎপাদনের পুরো মূল্য পাবেন।
ভোক্তাদের জন্য কম দাম: বাজারে খাবারের দাম অনেক বেশি। তাসরিফ খান বিশ্বাস করেন, মধ্যস্বত্বকারীদের বাদ দিলে ভোক্তারা বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে তাজা ও নিরাপদ খাবার কিনতে পারবেন।
নতুন কর্মসংস্থান: এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। খাবার সংগ্রহ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ – এই সব কাজে নতুন মানুষের চাকরির সুযোগ হবে।

তাসরিফ খানের জনপ্রিয় গান:
তাসরিফ খান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার। তিনি তার আবেগী গান, মনোমুগ্ধকর কণ্ঠস্বর এবং সাবলীল গীত রচনার জন্য পরিচিত। তাঁর জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে রয়েছে:
রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম গান, তাইতো আইলাম সাগরের গান, তাসরিফ খানের ব্যাচেলর গান !
মধ্যবিত্ত: এটি একটি সামাজিক বার্তা বহন করে জনপ্রিয় গান যা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সংগ্রাম তুলে ধরে।
যুদ্ধ বন্ধ হোক:ফিলিস্তিনের মানুষের দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে এমন একটি শক্তিশালী গান।
কুঁড়েঘর:একটি আবেগপ্রবণ গান যা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন একজন মানুষের গল্প বলে।

সামাজিক কার্যক্রম:
তাসরিফ খান শুধু একজন মুখ্য গায়কই নন, তিনি একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও বটে। তিনি নিয়মিত দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কারণকে সমর্থন করেন। তিনি ‘টাসরিফ খান ফাউন্ডেশন’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন যা প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের সময় দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করে।

তাসরিফ খান বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের একজন উজ্জ্বল তারকা। তার গানগুলি মানুষের মনে ছুঁয়ে যায় এবং তার সামাজিক কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তিনি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা এবং আশার প্রতীক। তাসরিফ খানের ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যবসায়িক ধারণা কেবল একটি আকর্ষণীয় ধারণাই নয়, বরং এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে আমূল পরিবর্তন আনার সম্ভাবনাও