ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত শিশুর সফল অস্ত্রোপচার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত শিশুর সফল অস্ত্রোপচার।

অনলাইন ডেস্ক,
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • / 260

ছবিঃ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস।

গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারী,২০২৪ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি জরুরি বিভাগে পুলিশের সহায়তায় এক ভদ্রলোক একটি আনুমানিক ১০ বছর বয়সী অজ্ঞাত শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।

রেল লাইনের পাশে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মাথায় আঘাতের চিহ্ন।মধ্যম মানের মাথায় আঘাত (মেডিকেল ভাষায়)।
সিটিস্ক্যানে মাথার হাড় ডেবে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ঢামেক পরিচালকের সহায়তায় শিশুর মস্তিষ্ক অস্ত্রোপচারটি কোন জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়। ২দিন পরে শিশুটির জ্ঞান ফিরে আসে।

চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় শিশুটির পিতা-মাতার খোঁজ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (২ই মার্চ,২০২৪) শিশুটিকে তার পিতা-মাতার হাতে তুলে দেওয়া হয়।এই ঘটনাটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও মানবিকতার প্রমাণ। শিশুটির নাম ও ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ শিশুটির পরিবার খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ঢামেক কর্তৃপক্ষ শিশুটির চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে। এই ঘটনাটি সমাজের সকল স্তরের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম’র নেতৃত্বে ঢামেক হাসপাতাল নিউরোসার্জারি বিভাগের পিঙ্ক ইউনিটের চিকিৎসক সহকারি অধ্যাপক ডা. রাশিদুল হাসান, রেজিস্ট্রার ডা. পুলক কুমার বিশ্বাস, আই এম ও ডা. শুভ্র সাহা এবং ডা. ইফতেখারুল আলম মারুফ অস্ত্রোপচারেরটি সম্পন্ন করেন। এনেস্থেসিয়ায় ছিলেন ডা. আবুল খায়ের নজরুল।

মস্তিষ্কের এই জটিল অস্ত্রোপচারটি(মাথার হাড় এবং মস্তিষ্কের পর্দায় আঘাত) কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায় ২দিন পরে বাচ্চাটির জ্ঞান ফিরে আসে। চিকিৎসক,নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় বাচ্চাটির পিতা-মাতার খোঁজ পাওয়া যায় এবং বৃহস্পতিবার বাচ্চাটিকে তার পিতামাতার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্রঃ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত শিশুর সফল অস্ত্রোপচার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত শিশুর সফল অস্ত্রোপচার।

আপডেট সময় : ০১:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারী,২০২৪ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি জরুরি বিভাগে পুলিশের সহায়তায় এক ভদ্রলোক একটি আনুমানিক ১০ বছর বয়সী অজ্ঞাত শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।

রেল লাইনের পাশে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মাথায় আঘাতের চিহ্ন।মধ্যম মানের মাথায় আঘাত (মেডিকেল ভাষায়)।
সিটিস্ক্যানে মাথার হাড় ডেবে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
ঢামেক পরিচালকের সহায়তায় শিশুর মস্তিষ্ক অস্ত্রোপচারটি কোন জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়। ২দিন পরে শিশুটির জ্ঞান ফিরে আসে।

চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় শিশুটির পিতা-মাতার খোঁজ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (২ই মার্চ,২০২৪) শিশুটিকে তার পিতা-মাতার হাতে তুলে দেওয়া হয়।এই ঘটনাটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা ও মানবিকতার প্রমাণ। শিশুটির নাম ও ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ শিশুটির পরিবার খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ঢামেক কর্তৃপক্ষ শিশুটির চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে। এই ঘটনাটি সমাজের সকল স্তরের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম’র নেতৃত্বে ঢামেক হাসপাতাল নিউরোসার্জারি বিভাগের পিঙ্ক ইউনিটের চিকিৎসক সহকারি অধ্যাপক ডা. রাশিদুল হাসান, রেজিস্ট্রার ডা. পুলক কুমার বিশ্বাস, আই এম ও ডা. শুভ্র সাহা এবং ডা. ইফতেখারুল আলম মারুফ অস্ত্রোপচারেরটি সম্পন্ন করেন। এনেস্থেসিয়ায় ছিলেন ডা. আবুল খায়ের নজরুল।

মস্তিষ্কের এই জটিল অস্ত্রোপচারটি(মাথার হাড় এবং মস্তিষ্কের পর্দায় আঘাত) কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায় ২দিন পরে বাচ্চাটির জ্ঞান ফিরে আসে। চিকিৎসক,নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় বাচ্চাটির পিতা-মাতার খোঁজ পাওয়া যায় এবং বৃহস্পতিবার বাচ্চাটিকে তার পিতামাতার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্রঃ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস।