ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বরের চিকিৎসা ও করণীয়

জ্বর হলে করণীয় ও চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক,
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • / 419

জ্বর হল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। জ্বর সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ, তবে এটি নিজেই একটি রোগও হতে পারে। জ্বর হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। জ্বর শরীরের জন্য একটি চাপ, তাই শরীরকে বিশ্রাম দিয়ে সুস্থ হতে সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন। জ্বর শরীর থেকে পানি বের করে দিতে পারে, তাই পর্যাপ্ত তরল পান করে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।

জ্বর কমানোর ওষুধ নিন। জ্বর যদি খুব বেশি হয় তবে জ্বর কমানোর ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন, নিতে পারেন।

ঘামের মাধ্যমে জ্বর কমান। হালকা পোশাক পরুন এবং ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করুন যাতে আপনি ঘামতে পারেন।

জ্বরের অন্যান্য লক্ষণগুলির চিকিৎসা করুন। জ্বর ছাড়াও সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা বা পেট ব্যথার মতো অন্যান্য লক্ষণ থাকলে সেগুলির চিকিৎসা করুন।

জ্বরের সাথে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন:

৩ দিনের বেশি জ্বর থাকা,জ্বরের সাথে বমি বা ডায়রিয়া,জ্বরের সাথে শরীরে র‍্যাশ,জ্বরের সাথে খিচুনি,শিশু বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে জ্বর।

জ্বরের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া,পরজীবী,অটোইমিউন রোগ,ক্যান্সার,ঔষধের প্রতিক্রিয়া,অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা।

জ্বর সাধারণত নিরাপদ, তবে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করুন। জ্বর হল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। সাধারণত, শরীরের তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইট (37 ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকে। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা 100 ডিগ্রি ফারেনহাইট (37.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি হতে পারে।

জ্বর কমাতে ওষুধ নিন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলি সাধারণত ফার্মেসিতে বিনা প্রেসক্রিপশনে পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। জ্বর হলে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। বিশ্রাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন। জ্বর হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল বেরিয়ে যায়। তাই জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, বা গরম চা পান করা উচিত।

অন্যান্য উপসর্গগুলির চিকিৎসা করুন। জ্বর ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গ যেমন সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, বা মাথাব্যথা থাকলে সেগুলিরও চিকিৎসা করা উচিত।

জ্বরের সাথে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত:

শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর 100 ডিগ্রি ফারেনহাইট (37.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস) এর বেশি হলে

জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে

জ্বরের সাথে বমি, ডায়রিয়া, বা খিচুনি হলে

জ্বরের সাথে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, বা শরীরের র‍্যাশ হলে

জ্বরের কারণ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

জ্বর থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। হাত ধোয়া জ্বর এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

পর্যাপ্ত ঘুম নিন। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপান এবং মদ্যপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে।

ঋতু পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকুন। ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে সতর্ক থাকা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জ্বরের চিকিৎসা ও করণীয়

জ্বর হলে করণীয় ও চিকিৎসা

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

জ্বর হল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। জ্বর সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ, তবে এটি নিজেই একটি রোগও হতে পারে। জ্বর হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। জ্বর শরীরের জন্য একটি চাপ, তাই শরীরকে বিশ্রাম দিয়ে সুস্থ হতে সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন। জ্বর শরীর থেকে পানি বের করে দিতে পারে, তাই পর্যাপ্ত তরল পান করে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।

জ্বর কমানোর ওষুধ নিন। জ্বর যদি খুব বেশি হয় তবে জ্বর কমানোর ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন, নিতে পারেন।

ঘামের মাধ্যমে জ্বর কমান। হালকা পোশাক পরুন এবং ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করুন যাতে আপনি ঘামতে পারেন।

জ্বরের অন্যান্য লক্ষণগুলির চিকিৎসা করুন। জ্বর ছাড়াও সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা বা পেট ব্যথার মতো অন্যান্য লক্ষণ থাকলে সেগুলির চিকিৎসা করুন।

জ্বরের সাথে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি থাকলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন:

৩ দিনের বেশি জ্বর থাকা,জ্বরের সাথে বমি বা ডায়রিয়া,জ্বরের সাথে শরীরে র‍্যাশ,জ্বরের সাথে খিচুনি,শিশু বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে জ্বর।

জ্বরের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া,পরজীবী,অটোইমিউন রোগ,ক্যান্সার,ঔষধের প্রতিক্রিয়া,অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা।

জ্বর সাধারণত নিরাপদ, তবে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করুন। জ্বর হল শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। সাধারণত, শরীরের তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইট (37 ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকে। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা 100 ডিগ্রি ফারেনহাইট (37.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি হতে পারে।

জ্বর কমাতে ওষুধ নিন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলি সাধারণত ফার্মেসিতে বিনা প্রেসক্রিপশনে পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। জ্বর হলে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। বিশ্রাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত তরল পান করুন। জ্বর হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে তরল বেরিয়ে যায়। তাই জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, বা গরম চা পান করা উচিত।

অন্যান্য উপসর্গগুলির চিকিৎসা করুন। জ্বর ছাড়াও অন্যান্য উপসর্গ যেমন সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, বা মাথাব্যথা থাকলে সেগুলিরও চিকিৎসা করা উচিত।

জ্বরের সাথে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত:

শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর 100 ডিগ্রি ফারেনহাইট (37.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস) এর বেশি হলে

জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে

জ্বরের সাথে বমি, ডায়রিয়া, বা খিচুনি হলে

জ্বরের সাথে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, বা শরীরের র‍্যাশ হলে

জ্বরের কারণ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

জ্বর থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। হাত ধোয়া জ্বর এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

পর্যাপ্ত ঘুম নিন। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপান এবং মদ্যপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে।

ঋতু পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকুন। ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে সতর্ক থাকা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা জরুরি।