জামালপুর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
- আপডেট সময় : ০৯:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
- / 260
জামালপুর জেলা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। জামালপুর জেলা গঠিত হয়েছে ১৯৭৮ সালে। এর মোট আয়তন ২,০৩১.৯৮ বর্গকিলোমিটার।
জামালপুর জেলার ভৌগোলিক অবস্থান
জামালপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। এর উত্তরে কুড়িগ্রাম ও শেরপুর জেলা, দক্ষিণে ময়মনসিংহ জেলা, পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা এবং পশ্চিমে গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলা অবস্থিত।
জামালপুর জেলার ইতিহাস
জামালপুরের ইতিহাস অনেক প্রাচীন। এখানে অনেক প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। প্রাচীন যুগে এটি কামরূপের অংশ ছিল। মুঘল আমলে এটি ময়মনসিংহের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
Credit: www.facebook.com
জামালপুর জেলার প্রশাসনিক বিভাগ
উপজেলা | ইউনিয়ন | গ্রাম |
---|---|---|
জামালপুর সদর | ১৫ | ১০৫ |
মেলান্দহ | ১১ | ৭৫ |
ইসলামপুর | ১২ | ৮৫ |
মাদারগঞ্জ | ১০ | ৭০ |
দেওয়ানগঞ্জ | ১০ | ৬৫ |
সরিষাবাড়ি | ৮ | ৬০ |
বকশীগঞ্জ | ৭ | ৫০ |
জামালপুর জেলার সংস্কৃতি
জামালপুরের মানুষের সংস্কৃতি খুবই সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। গ্রামীণ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এখানে এখনও জীবন্ত।
জামালপুর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা
জামালপুর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ উন্নত। এখানে অনেক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে। জেলার প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- জামালপুর সরকারি কলেজ
- জামালপুর মহিলা কলেজ
- জামালপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- জামালপুর জিলা স্কুল
Credit: www.sherpurnews.com
জামালপুর জেলার অর্থনীতি
জামালপুর জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে ধান, পাট, গম, সরিষা ইত্যাদি ফসল উৎপাদন হয়। এছাড়া মাছ চাষ ও পশুপালনও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
জামালপুর জেলার পর্যটন স্থান
জামালপুরে অনেক সুন্দর পর্যটন স্থান রয়েছে। এখানে পর্যটকরা এসে প্রাচীন স্থাপত্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থানগুলো হলো:
- গয়েশপুর জমিদার বাড়ি
- দুর্গাপুর জমিদার বাড়ি
- দেওয়ানগঞ্জের বাঁধ
- বকশীগঞ্জের নিলক্ষিয়া বাওড়
জামালপুরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
জামালপুর জেলা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বেরিয়ে এসেছেন। তারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস
ড. মুহাম্মদ ইউনুস জামালপুর জেলার গর্ব। তিনি একটি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।
এম. এ. গনি
এম. এ. গনি একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি জামালপুরের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।
আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম
আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম একজন কবি ও সাহিত্যিক। তার লেখা অনেক জনপ্রিয়।
আব্দুল কুদ্দুস মাখন
আব্দুল কুদ্দুস মাখন একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক। তিনি জামালপুরের সংবাদপত্র জগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
উপসংহার
জামালপুর জেলা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এর ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিক্ষার দিক থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ। জামালপুর থেকে অনেক গুণী ব্যক্তিত্ব বেরিয়ে এসেছেন। তারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
Frequently Asked Questions
জামালপুর জেলার ইতিহাস কী?
জামালপুর জেলা ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত।
জামালপুর জেলার প্রধান আকর্ষণ কী?
জামালপুর জেলার প্রধান আকর্ষণ হলো জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং ব্রহ্মপুত্র নদ।
জামালপুর জেলার বিখ্যাত খাবার কী?
জামালপুর জেলার বিখ্যাত খাবার হলো চিড়ার মোয়া এবং গুড়ের সন্দেশ।
জামালপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব কারা?
জামালপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আছেন আবুল কাশেম, যিনি একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
জামালপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম কী?
জামালপুর জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম কৃষি এবং বাণিজ্য।
জামালপুর জেলার জনপ্রিয় উৎসব কোনটি?
জামালপুর জেলার জনপ্রিয় উৎসব হলো বাউল মেলা, যা প্রতি বছর আয়োজন করা হয়।