জাতীয় ফল কাঁঠালের পরিচিতি, গুরুত্ব এবং ভূমিকা
- আপডেট সময় : ০৭:১৭:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
- / 477
কাঁঠাল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল।কাঁঠাল গাছ বেশ বড় হয়। কাঁঠাল গাছে মুচি ধরার পর তা থেকে কাঁঠাল হয়। কাঁঠাল সাধারণত গ্রীষ্মকালে পাকে।
কাঁঠালের ভেতর সাদা রঙের কোষ থাকে। এই কোষগুলো খুবই সুস্বাদু। কাঁঠালের বীজও খাওয়া যায়। কাঁঠালের বীজ সিদ্ধ করে বা ভুনা করে খাওয়া হয়।
কাঁঠাল একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। কাঁঠাল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল যা ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। কাঁঠালের প্রতি ১০০ গ্রাম পরিবেশন করে:
১৫৭ ক্যালোরি
৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৩ গ্রাম ফাইবার
২ গ্রাম প্রোটিন
৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
৩০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম
০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন
১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
৬৯০ আইইউ ভিটামিন এ
জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ,কাঁঠাল পাকা ও কাঁচা রান্না করে খাওয়ার প্রচলন দুটোই রয়েছে বাংলাদেশে। কাঁঠাল গাছের গাছ দিয়ে অনেক আসবাবপত্র তৈরি হয় এবং এর কাঠও অনেক জনপ্রিয়। বিভিন্ন ধরনের খাবার কাঁঠালের বার্গার,কাঁঠালের মাংস রান্না, কাঁঠালের জেল সহ বিভিন্ন প্রকারের খাবার তৈরি হয় এবং কাঁঠালের বিচি রান্না এবং ভেজে খাওয়াও অনেক সুস্বাদু।
কাঁঠাল বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে জড়িত। কাঁঠাল বাংলাদেশের লোককাহিনী, কবিতা ও সাহিত্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৮৭ সালের ১০ জুলাই বাংলাদেশ সরকার কাঁঠালকে জাতীয় ফল হিসেবে ঘোষণা করে।
কাঁঠালের গুরুত্ব
কাঁঠাল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঁঠাল চাষ করে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। কাঁঠাল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।