ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / 102

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা- বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত,এটি খুলনা বিভাগের অন্তর্গত,পশ্চিমে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস

ইতিহাস বহু পুরনো, এটি প্রাচীনকালে ‘বগড়া’ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

নামের উৎপত্তি

চুয়াডাঙ্গা নামটি এসেছে চুয়া+ডাঙ্গা থেকে। ‘চুয়া’ শব্দটি এসেছে ছোট ছোট পানির ঝর্ণা থেকে। ‘ডাঙ্গা’ অর্থে উঁচু স্থান।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। বাউল গান, পালাগান এবং লোকসঙ্গীত এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।

বাউল গান

বাউল গান চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখানকার মানুষ বাউল গানের মাধ্যমে তাদের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করে।

পালাগান

পালাগানও চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এটি গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পর্যটন স্থান

চুয়াডাঙ্গা জেলায় অনেক সুন্দর ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান পর্যটন স্থানের নাম দেওয়া হলো:

  • আলমডাঙ্গা
  • দর্শনা
  • জীবননগর
  • মেহেরপুর

চুয়াডাঙ্গার ঐতিহাসিক ব্যক্তিবর্গ:
হারুনুর রশীদ (বীর প্রতীক) – খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ বীরপ্রতীক।
আকরাম আহমেদ (বীর উত্তম) – খেতাবপ্রাপ্ত বীর উত্তম।
খোদা বক্স সাঁই – (গীতিকার) সুরকার ও গায়ক – ১৯৯১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত
সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য – প্রখ্যাত সাহিত্যিক, পুরোহিত দর্পণ প্রণেতা।
অনন্তহরি মিত্র (১৯০৬ – ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৬) – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ :
মোজাম্মেল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতি, সাবেক সংসদ সদস্য।
আসহাব-উল-হক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও তৎকালীন কুষ্টিয়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
শামসুজ্জামান দুদু – সাবেক সংসদ সদস্য।
মিঞা মোহাম্মদ মনসুর আলী, রাজনীতিবিদ।
আলী আজগার টগর, সংসদ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা-২

শিল্প ও সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ :
বেবী ইসলাম- প্রখ্যাত আলোকচিত্রী, চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র পরিচালক (তিনবার শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন)।
শফিক তুহিন – বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী। সেরা গীতিকার হিসেবে তিনি ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
ফিরোজা বারী মালিক, প্রখ্যাত নারী নেত্রী এবং সমাজসেবিকা।
টিনা খান, অভিনেত্রী ও প্রযোজক।
নাজনীন হাসান চুমকি, অভিনেত্রী ও পরিচালক।
আব্দুস সেলিম, শিক্ষাবিদ, লেখক এবং অনুবাদক।                                                              (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

 

চুয়াডাঙ্গা জেলার অর্থনীতি

চুয়াডাঙ্গা জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। এই জেলায় প্রধানত ধান, পাট, আখ এবং সবজি চাষ করা হয়। এছাড়াও, মৎস্য চাষ এবং পশু পালনও অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ধান চাষ

ধান চাষ চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান কৃষি কার্যক্রম। এখানকার মাটি ও জলবায়ু ধান চাষের জন্য উপযুক্ত।

পাট চাষ

পাট চাষও চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি কার্যক্রম। পাট থেকে উৎপাদিত পণ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষা

অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো সুযোগ আছে;

সরকারি কলেজ

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ জেলার অন্যতম প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি বিখ্যাত কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © সিসিএন বাংলা
Design & Developed BY Techwave

চুয়াডাঙ্গা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

আপডেট সময় : ০১:১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা- বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত,এটি খুলনা বিভাগের অন্তর্গত,পশ্চিমে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস

ইতিহাস বহু পুরনো, এটি প্রাচীনকালে ‘বগড়া’ নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

নামের উৎপত্তি

চুয়াডাঙ্গা নামটি এসেছে চুয়া+ডাঙ্গা থেকে। ‘চুয়া’ শব্দটি এসেছে ছোট ছোট পানির ঝর্ণা থেকে। ‘ডাঙ্গা’ অর্থে উঁচু স্থান।

চুয়াডাঙ্গা জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। বাউল গান, পালাগান এবং লোকসঙ্গীত এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।

বাউল গান

বাউল গান চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখানকার মানুষ বাউল গানের মাধ্যমে তাদের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করে।

পালাগান

পালাগানও চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এটি গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পর্যটন স্থান

চুয়াডাঙ্গা জেলায় অনেক সুন্দর ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান পর্যটন স্থানের নাম দেওয়া হলো:

  • আলমডাঙ্গা
  • দর্শনা
  • জীবননগর
  • মেহেরপুর

চুয়াডাঙ্গার ঐতিহাসিক ব্যক্তিবর্গ:
হারুনুর রশীদ (বীর প্রতীক) – খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ বীরপ্রতীক।
আকরাম আহমেদ (বীর উত্তম) – খেতাবপ্রাপ্ত বীর উত্তম।
খোদা বক্স সাঁই – (গীতিকার) সুরকার ও গায়ক – ১৯৯১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত
সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য – প্রখ্যাত সাহিত্যিক, পুরোহিত দর্পণ প্রণেতা।
অনন্তহরি মিত্র (১৯০৬ – ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৬) – ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ :
মোজাম্মেল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতি, সাবেক সংসদ সদস্য।
আসহাব-উল-হক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও তৎকালীন কুষ্টিয়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
শামসুজ্জামান দুদু – সাবেক সংসদ সদস্য।
মিঞা মোহাম্মদ মনসুর আলী, রাজনীতিবিদ।
আলী আজগার টগর, সংসদ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা-২

শিল্প ও সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ :
বেবী ইসলাম- প্রখ্যাত আলোকচিত্রী, চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র পরিচালক (তিনবার শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন)।
শফিক তুহিন – বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী। সেরা গীতিকার হিসেবে তিনি ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
ফিরোজা বারী মালিক, প্রখ্যাত নারী নেত্রী এবং সমাজসেবিকা।
টিনা খান, অভিনেত্রী ও প্রযোজক।
নাজনীন হাসান চুমকি, অভিনেত্রী ও পরিচালক।
আব্দুস সেলিম, শিক্ষাবিদ, লেখক এবং অনুবাদক।                                                              (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

 

চুয়াডাঙ্গা জেলার অর্থনীতি

চুয়াডাঙ্গা জেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। এই জেলায় প্রধানত ধান, পাট, আখ এবং সবজি চাষ করা হয়। এছাড়াও, মৎস্য চাষ এবং পশু পালনও অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ধান চাষ

ধান চাষ চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান কৃষি কার্যক্রম। এখানকার মাটি ও জলবায়ু ধান চাষের জন্য উপযুক্ত।

পাট চাষ

পাট চাষও চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি কার্যক্রম। পাট থেকে উৎপাদিত পণ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষা

অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো সুযোগ আছে;

সরকারি কলেজ

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ জেলার অন্যতম প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করে।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একটি বিখ্যাত কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালিত হয়।