ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

নিউজ অনলাইন:
  • আপডেট সময় : ০১:১১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫৫৭২ বার পড়া হয়েছে

Credit: Channel 64/youtube

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

Last Updated on

February 5th, 2025 09:59 pm

 

গাইবান্ধা জেলার অবস্থিত বাংলাদেশ ভূখণ্ডের একটি মনোরম জনবসতি হিসেবে বিদ্যমান। এই জেলা ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি সমৃদ্ধ ইতিহাস বজায় রেখেছে। গাইবান্ধা জেলা সম্পর্কিত একাধিক বিষয়গুলো বর্ননা করা হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলার ভৌগোলিক অবস্থান:

গাইবান্ধা জেলা তার প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির মধ্যে রংপুর বিভাগে অবস্থিত। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান গাইবান্ধা জেলাকে তার উত্তর-পশ্চিম অংশের মধ্যে স্থানে অবস্থিত।

গাইবান্ধা জেলার ইতিহাস:

১৮৭৫ সালে ভবানীগঞ্জ নদীগর্ভে বিলীন হলে মহকুমা সদর দপ্তর গাইবান্ধায় স্থানান্তরিত হয়। এ এলাকা এক সময় বাহরবন্দ পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯২৩ সালে শহরটি মিউনিসিপ্যালিটিতে রূপান্তর হয়। গাইবান্ধা জেলা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের আগে, রংপুর জেলা এই স্থানটিকে তার একটি অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।

জেলার জনসংখ্যা:

গাইবান্ধা জেলায় বসবাসকারী মোট বাসিন্দা জনসংখ্যা ২৪ লক্ষেরও বেশি। বাসিন্দাদের প্রধান পেশা ফসল চাষ সহ বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে যা উল্লেখযোগ্য।

গাইবান্ধা জেলার অর্থনীতি:

জেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কৃষির প্রাধান্য রয়েছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে ধান, গম, পাট, আলু এবং তামাক ছাড়াও বিভিন্ন কৃষি ও আঞ্চলিক ব্যবসার সাথে জড়িত।

গাইবান্ধা জেলার বিখ্যাত স্থান:
হযরত শাহ জামাল মাজার শরীফ-সাদুল্লাপুর,জামালপুর শাহী মসজিদ-সাদুল্লাপুর,
ঘাট নদী,বেলকার চরের শাপলা বিল,জলকদম বন।

গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
হযরত শাহ জামাল মাজার শরীফ. Credit: youtube.


নলডাঙ্গার জমিদার বাড়ি-সাদুল্লাপুর,ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার-ফুলছড়ি,রংপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড-গোবিন্দগঞ্জ,ঘেগার বাজার মাজার-সাদুল্লাপুর,ড্রীম সিটি পার্ক-সাঘাটা,আলিবাবা থিম পার্ক-সুন্দরগঞ্জ।

কামারের হাট -গোবিন্দোগঞ্জ,বালাসী ঘাট-ফুলছড়ি,পেরিমাধব জমিদার বাড়ি-সাদুল্লাপুর,প্রাচীন মাস্তা মসজিদ-গোবিন্দগঞ্জ,ফুলপুকুরিয়া পার্ক- গোবিন্দগঞ্জ।

আরও পড়ুন- যশোর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শিক্ষা ব্যবস্থা:
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার মধ্যে অবস্থিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে একটি সরকারি কলেজ সুবিধা রয়েছে।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৪.০৩%,

প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৬৬টি, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৪টি, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি, বেসরকারি মাধ্যমিক ৩৬১টি।

এছাড়াও,বেসরকারি কলেজ ৪৮টি, সরকারি কলেজ ৮টি, কমিউনিটি স্কুল ৯০টি, কিন্ডার গার্টেন ১৯৬টি, দাখিল ও তদুর্ধ্ব মাদ্রাসার ২১৩টি, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ২৪১টি,

কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভিটিআই) ১টি, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (পিটিআই) ১টি, এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (এটিআই) ১টি,ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (আইএলএসটি) ১টি।

বিপিএড কলেজ ১টি, বিএড কলেজ ১টি, আইন কলেজ ১টি, হোমিও কলেজ ১টি, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ১টি। (তথ্যসূত্র;উইকিপিডিয়া)

গাইবান্ধা জেলার সংস্কৃতি:
গাইবান্ধা জেলার মানুষের একটি বিস্তৃত সাংস্কৃতিক পটভূমি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত এবং ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।

গাইবান্ধা জেলায় খেলাধুলা এবং বিনোদন:
গাইবান্ধা জেলার মানুষ খেলাধুলা পছন্দ করে। বাসিন্দাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হল ফুটবল এবং ক্রিকেট।

গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিব

ভিডিও দেখুন- গাইবান্ধা জেলার উপর একটি তথ্যচিত্র।

গাইবান্ধা জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ:

আহমেদ হোসেইন, অবিভক্ত বাংলার কৃষিমন্ত্রী। আবু হোসেন সরকার, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শাহ্‌ আব্দুল হামিদ, গণপরিষদের প্রথম স্পীকার। বদিউল আলম, বীর উত্তম।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সাহিত্যিক। মকবুলার রহমান সরকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ফজলে রাব্বি চৌধুরী, ভূমি সংস্কার ও পুনর্বাসন মন্ত্রী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান।

মোহাম্মদ হাসান আলী খান: সাবেক নৌ প্রধান। ফজলে রাব্বী মিয়া, ডেপুটি স্পিকার। রুবেল মিয়া-ফুটবলার সহ আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির জন্ম এই জেলায়।

জেলার খাদ্য ও পানীয়:
গাইবান্ধা জেলার রন্ধনপ্রণালী তার সুস্বাদু প্রকৃতির জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে। পিঠা ও পায়েসের দুটি বিশেষ স্বাদ এই স্থানে অনেক মানুষকে আকর্ষণ করে।

গাইবান্ধা জেলার শিল্প ও কারুশিল্প:
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে একাধিক হস্তশিল্প পণ্য সহজলভ্য। বাঁশের কাজ মাটি ও পাটের সাজসজ্জার পাশাপাশি একটি প্রধান হস্তশিল্প যা জেলায় বিস্তৃত বাজার খুঁজে পায়।

জেলার পরিবহন ব্যবস্থা:
গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্পূর্ণ আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। জেলাটি সু-নির্মিত রাস্তাঘাট এবং বারবার বাস পরিবহন বজায় রাখে।

গাইবান্ধা জেলায় স্বাস্থ্যসেবা:
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে একাধিক হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিক রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা উচ্চ স্তরের উন্নয়ন প্রদান করে।

জেলার পরিবেশ:
গাইবান্ধা জেলার ভূখণ্ড অত্যন্ত মনোরম এবং সবুজ প্রকৃতির। নদী, চর, একত্রে দেখার মতো এক অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করে।

গাইবান্ধা জেলা একটি সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে বিরাজমান, যার সমগ্র ভূখণ্ড জুড়ে অপূর্ব সৌন্দর্য রয়েছে। এই এলাকার জীবনের সকল দিকই ব্যতিক্রমী গুণাবলী প্রদর্শন করে, যার মধ্যে রয়েছে মানুষ, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত পরিবেশ।

 

Frequently Asked Questions

 

গাইবান্ধা জেলা কোথায় অবস্থিত?

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে অবস্থিত। এই প্রশাসনিক ইউনিটটি রংপুর বিভাগের অন্তর্গত।

গাইবান্ধা জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কৃষিকাজ?

অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হলো কৃষিকাজ। জেলাটি ধান, পাট এবং শাকসবজি উৎপাদনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।

গাইবান্ধায় দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ?

ঐতিহাসিক আকর্ষণ হল মহিমাগঞ্জ জমিদার বাড়ি। এই স্থানটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।

গাইবান্ধা জেলার প্রধান জলধারা কোন নদী?

তিস্তা নদী জেলার প্রধান জলধারা হিসেবে কাজ করে। পরিবহন এবং জল সরবরাহ হল এই রুটটি কৃষক এবং বাসিন্দা উভয়ের জন্যই প্রয়োজনীয় জেলা কার্যাবলী।

গাইবান্ধা জেলায় পালিত উৎসবগুলি কোন কোন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত?

জেলার প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা, ঈদ ও পিঠা উৎসব এবং গরু ও ছাগলের বাজার মেলা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

আপডেট সময় : ০১:১১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

Last Updated on

February 5th, 2025 09:59 pm

 

গাইবান্ধা জেলার অবস্থিত বাংলাদেশ ভূখণ্ডের একটি মনোরম জনবসতি হিসেবে বিদ্যমান। এই জেলা ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি সমৃদ্ধ ইতিহাস বজায় রেখেছে। গাইবান্ধা জেলা সম্পর্কিত একাধিক বিষয়গুলো বর্ননা করা হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলার ভৌগোলিক অবস্থান:

গাইবান্ধা জেলা তার প্রশাসনিক অঞ্চলগুলির মধ্যে রংপুর বিভাগে অবস্থিত। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান গাইবান্ধা জেলাকে তার উত্তর-পশ্চিম অংশের মধ্যে স্থানে অবস্থিত।

গাইবান্ধা জেলার ইতিহাস:

১৮৭৫ সালে ভবানীগঞ্জ নদীগর্ভে বিলীন হলে মহকুমা সদর দপ্তর গাইবান্ধায় স্থানান্তরিত হয়। এ এলাকা এক সময় বাহরবন্দ পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯২৩ সালে শহরটি মিউনিসিপ্যালিটিতে রূপান্তর হয়। গাইবান্ধা জেলা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের আগে, রংপুর জেলা এই স্থানটিকে তার একটি অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।

জেলার জনসংখ্যা:

গাইবান্ধা জেলায় বসবাসকারী মোট বাসিন্দা জনসংখ্যা ২৪ লক্ষেরও বেশি। বাসিন্দাদের প্রধান পেশা ফসল চাষ সহ বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে যা উল্লেখযোগ্য।

গাইবান্ধা জেলার অর্থনীতি:

জেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কৃষির প্রাধান্য রয়েছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত প্রধান কৃষিপণ্যের মধ্যে রয়েছে ধান, গম, পাট, আলু এবং তামাক ছাড়াও বিভিন্ন কৃষি ও আঞ্চলিক ব্যবসার সাথে জড়িত।

গাইবান্ধা জেলার বিখ্যাত স্থান:
হযরত শাহ জামাল মাজার শরীফ-সাদুল্লাপুর,জামালপুর শাহী মসজিদ-সাদুল্লাপুর,
ঘাট নদী,বেলকার চরের শাপলা বিল,জলকদম বন।

গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ
হযরত শাহ জামাল মাজার শরীফ. Credit: youtube.


নলডাঙ্গার জমিদার বাড়ি-সাদুল্লাপুর,ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার-ফুলছড়ি,রংপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড-গোবিন্দগঞ্জ,ঘেগার বাজার মাজার-সাদুল্লাপুর,ড্রীম সিটি পার্ক-সাঘাটা,আলিবাবা থিম পার্ক-সুন্দরগঞ্জ।

কামারের হাট -গোবিন্দোগঞ্জ,বালাসী ঘাট-ফুলছড়ি,পেরিমাধব জমিদার বাড়ি-সাদুল্লাপুর,প্রাচীন মাস্তা মসজিদ-গোবিন্দগঞ্জ,ফুলপুকুরিয়া পার্ক- গোবিন্দগঞ্জ।

আরও পড়ুন- যশোর জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শিক্ষা ব্যবস্থা:
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার মধ্যে অবস্থিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে একটি সরকারি কলেজ সুবিধা রয়েছে।


শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৪.০৩%,

প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৪৬৬টি, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৪টি, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি, বেসরকারি মাধ্যমিক ৩৬১টি।

এছাড়াও,বেসরকারি কলেজ ৪৮টি, সরকারি কলেজ ৮টি, কমিউনিটি স্কুল ৯০টি, কিন্ডার গার্টেন ১৯৬টি, দাখিল ও তদুর্ধ্ব মাদ্রাসার ২১৩টি, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ২৪১টি,

কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভিটিআই) ১টি, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (পিটিআই) ১টি, এগ্রিকালচার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (এটিআই) ১টি,ইন্সটিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (আইএলএসটি) ১টি।

বিপিএড কলেজ ১টি, বিএড কলেজ ১টি, আইন কলেজ ১টি, হোমিও কলেজ ১টি, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ১টি। (তথ্যসূত্র;উইকিপিডিয়া)

গাইবান্ধা জেলার সংস্কৃতি:
গাইবান্ধা জেলার মানুষের একটি বিস্তৃত সাংস্কৃতিক পটভূমি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীত এবং ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।

গাইবান্ধা জেলায় খেলাধুলা এবং বিনোদন:
গাইবান্ধা জেলার মানুষ খেলাধুলা পছন্দ করে। বাসিন্দাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হল ফুটবল এবং ক্রিকেট।

গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিব

ভিডিও দেখুন- গাইবান্ধা জেলার উপর একটি তথ্যচিত্র।

গাইবান্ধা জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ:

আহমেদ হোসেইন, অবিভক্ত বাংলার কৃষিমন্ত্রী। আবু হোসেন সরকার, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শাহ্‌ আব্দুল হামিদ, গণপরিষদের প্রথম স্পীকার। বদিউল আলম, বীর উত্তম।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সাহিত্যিক। মকবুলার রহমান সরকার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ফজলে রাব্বি চৌধুরী, ভূমি সংস্কার ও পুনর্বাসন মন্ত্রী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান।

মোহাম্মদ হাসান আলী খান: সাবেক নৌ প্রধান। ফজলে রাব্বী মিয়া, ডেপুটি স্পিকার। রুবেল মিয়া-ফুটবলার সহ আরো অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির জন্ম এই জেলায়।

জেলার খাদ্য ও পানীয়:
গাইবান্ধা জেলার রন্ধনপ্রণালী তার সুস্বাদু প্রকৃতির জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে। পিঠা ও পায়েসের দুটি বিশেষ স্বাদ এই স্থানে অনেক মানুষকে আকর্ষণ করে।

গাইবান্ধা জেলার শিল্প ও কারুশিল্প:
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে একাধিক হস্তশিল্প পণ্য সহজলভ্য। বাঁশের কাজ মাটি ও পাটের সাজসজ্জার পাশাপাশি একটি প্রধান হস্তশিল্প যা জেলায় বিস্তৃত বাজার খুঁজে পায়।

জেলার পরিবহন ব্যবস্থা:
গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্পূর্ণ আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। জেলাটি সু-নির্মিত রাস্তাঘাট এবং বারবার বাস পরিবহন বজায় রাখে।

গাইবান্ধা জেলায় স্বাস্থ্যসেবা:
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে একাধিক হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ক্লিনিক রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা উচ্চ স্তরের উন্নয়ন প্রদান করে।

জেলার পরিবেশ:
গাইবান্ধা জেলার ভূখণ্ড অত্যন্ত মনোরম এবং সবুজ প্রকৃতির। নদী, চর, একত্রে দেখার মতো এক অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করে।

গাইবান্ধা জেলা একটি সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে বিরাজমান, যার সমগ্র ভূখণ্ড জুড়ে অপূর্ব সৌন্দর্য রয়েছে। এই এলাকার জীবনের সকল দিকই ব্যতিক্রমী গুণাবলী প্রদর্শন করে, যার মধ্যে রয়েছে মানুষ, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত পরিবেশ।

 

Frequently Asked Questions

 

গাইবান্ধা জেলা কোথায় অবস্থিত?

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে অবস্থিত। এই প্রশাসনিক ইউনিটটি রংপুর বিভাগের অন্তর্গত।

গাইবান্ধা জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কৃষিকাজ?

অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হলো কৃষিকাজ। জেলাটি ধান, পাট এবং শাকসবজি উৎপাদনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।

গাইবান্ধায় দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ?

ঐতিহাসিক আকর্ষণ হল মহিমাগঞ্জ জমিদার বাড়ি। এই স্থানটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।

গাইবান্ধা জেলার প্রধান জলধারা কোন নদী?

তিস্তা নদী জেলার প্রধান জলধারা হিসেবে কাজ করে। পরিবহন এবং জল সরবরাহ হল এই রুটটি কৃষক এবং বাসিন্দা উভয়ের জন্যই প্রয়োজনীয় জেলা কার্যাবলী।

গাইবান্ধা জেলায় পালিত উৎসবগুলি কোন কোন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত?

জেলার প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা, ঈদ ও পিঠা উৎসব এবং গরু ও ছাগলের বাজার মেলা।