ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অল্টার-ইগো মানুষের চিন্তা সনাক্ত করে সেটা এনে দেয়

অল্টার- ইগো এই প্রযুক্তি’ মানুষের চিন্তা সনাক্ত করেই সেটা সামনে এনে দিবে।

অনলাইন ডেস্ক,
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪
  • / 430

image courtesy : MIT

আপনি মনে মনে কোন একটা বিষয় চিন্তা করলেন বা প্রয়োজন বোধ করলেন, অবিশ্বাস্য হলে দেখলেন সেটা আপনার হাতের কাছে চলে এসেছে।

অর্নব কাপুর, একজন এমআইটি শিক্ষার্থী, বছর কয়েক আগে এই ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেন। অল্টার-ইগো এর মাধ্যমে এটা এখন সম্ভব। ভয়েস কমান্ডের পরবর্তী ধাপে এসে পৌঁছেছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

অল্টার-ইগো কি?
অল্টার-ইগো হলো এক ধরণের ডিভাইস যা আপনার চিন্তাভাবনা বুঝতে পারে। মধ্যকর্ণের কম্পন স্ক্যান করে আপনার চিন্তা করা শব্দটি সনাক্ত করে সার্চ করবে গুগলে। বাইরের কোনো শব্দে পড়বে না প্রভাব।

কিভাবে কাজ করে?
মধ্যকর্ণে কম্পন: যখন আপনি মনে মনে কথা বলেন, তখন আপনার মধ্যকর্ণে ক্ষুদ্র কম্পন তৈরি হয়।
সেন্সর: অল্টার-ইগোতে থাকা সেন্সরগুলো এই কম্পন গুলোকে শনাক্ত করে।
AI প্রসেসিং: AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই কম্পন গুলোকে শব্দে রূপান্তরিত করা হয়।
গুগল সার্চ: রূপান্তরিত শব্দটি গুগলে সার্চ করা হয়।
ফলাফল: সার্চ রেজাল্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সুবিধা:
দ্রুত ও সহজ; মুখ দিয়ে বলার দরকার নেই, চিন্তা করলেই কাজ হয়ে যাবে। গোপনীয়তা; কেউ আপনার চিন্তা শুনতে পারবে না।
ব্যবহারকারী-বান্ধব; ব্যবহার করা খুব সহজ।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার; শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।

সম্ভাব্য অসুবিধা:
গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আশঙ্কা; ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা প্রকাশের ঝুঁকি থাকে।অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার; অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রযুক্তির জটিলতা; সকলের জন্য সহজলভ্য নাও হতে পারে।

বর্তমান অবস্থা:
অল্টার-ইগো এখনও গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে। তবে এর সম্ভাব্যতা অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অল্টার-ইগো মানুষের চিন্তা সনাক্ত করে সেটা এনে দেয়

অল্টার- ইগো এই প্রযুক্তি’ মানুষের চিন্তা সনাক্ত করেই সেটা সামনে এনে দিবে।

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

আপনি মনে মনে কোন একটা বিষয় চিন্তা করলেন বা প্রয়োজন বোধ করলেন, অবিশ্বাস্য হলে দেখলেন সেটা আপনার হাতের কাছে চলে এসেছে।

অর্নব কাপুর, একজন এমআইটি শিক্ষার্থী, বছর কয়েক আগে এই ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেন। অল্টার-ইগো এর মাধ্যমে এটা এখন সম্ভব। ভয়েস কমান্ডের পরবর্তী ধাপে এসে পৌঁছেছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

অল্টার-ইগো কি?
অল্টার-ইগো হলো এক ধরণের ডিভাইস যা আপনার চিন্তাভাবনা বুঝতে পারে। মধ্যকর্ণের কম্পন স্ক্যান করে আপনার চিন্তা করা শব্দটি সনাক্ত করে সার্চ করবে গুগলে। বাইরের কোনো শব্দে পড়বে না প্রভাব।

কিভাবে কাজ করে?
মধ্যকর্ণে কম্পন: যখন আপনি মনে মনে কথা বলেন, তখন আপনার মধ্যকর্ণে ক্ষুদ্র কম্পন তৈরি হয়।
সেন্সর: অল্টার-ইগোতে থাকা সেন্সরগুলো এই কম্পন গুলোকে শনাক্ত করে।
AI প্রসেসিং: AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই কম্পন গুলোকে শব্দে রূপান্তরিত করা হয়।
গুগল সার্চ: রূপান্তরিত শব্দটি গুগলে সার্চ করা হয়।
ফলাফল: সার্চ রেজাল্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সুবিধা:
দ্রুত ও সহজ; মুখ দিয়ে বলার দরকার নেই, চিন্তা করলেই কাজ হয়ে যাবে। গোপনীয়তা; কেউ আপনার চিন্তা শুনতে পারবে না।
ব্যবহারকারী-বান্ধব; ব্যবহার করা খুব সহজ।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার; শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক।

সম্ভাব্য অসুবিধা:
গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আশঙ্কা; ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা প্রকাশের ঝুঁকি থাকে।অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার; অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রযুক্তির জটিলতা; সকলের জন্য সহজলভ্য নাও হতে পারে।

বর্তমান অবস্থা:
অল্টার-ইগো এখনও গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে। তবে এর সম্ভাব্যতা অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।