ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ৩০০ বার পড়া হয়েছে

Credit info.sunamganj.gov.bd

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জ জেলার এটি তার মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ঐতিহাসিক সম্পদের জন্য আলাদা। সুনামগঞ্জ জেলার তার সিলেট বিভাগে অন্যতম প্রধান প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। সুনামগঞ্জ জেলা পর্যটন ও ঐতিহ্যের জন্য বাংলাদেশে তার বৈচিত্র অবস্থান ধরে রেখেছে।

সুনামগঞ্জ জেলার নামকরণ:

বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত তে দেখা যায় যে, সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে মুঘল যোদ্ধা ‘সুনামদী’র নামানুসারে। সম্রাট তাঁর সাহসী যুদ্ধের পর সুনামদীকে এই অঞ্চলে জমি প্রদান করেন। সুনামগঞ্জ বাজার গড়ে ওঠে সেই জমিতে যা সুনামদী সম্রাটের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিল। সুনামগঞ্জকে একটি স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং নামকরণের সূত্রপাত এই ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে।

সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
সুনামগঞ্জ জেলার মসজিদ

সুনামগঞ্জ জেলার ইতিহাস:

প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বর্তমান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ এলাকা অসংখ্য ভাষাগত জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠী বসবাস করেছে। পৌরাণিক যুগে সুনামগঞ্জ প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, যা কামরূপ নামেও পরিচিত।

লৌর রাজ্যের স্বাধীনতা পঞ্চদশ শতাব্দীতে শেষ হয় যখন মুঘলরা এর নতুন শাসক হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করে। মুঘল আধিপত্যের ভিত্তিতে সুনাম উদ্দিন এই অঞ্চলে একটি বাজার বা গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। অঞ্চলটি বিভিন্ন প্রশাসনিক পর্যায়ে বিবর্তিত হয় যতক্ষণ না এটি একটি উপজেলা, তারপর মহকুমা এবং শেষ পর্যন্ত জেলা শহরে পরিণত হয়। বর্তমান রূপে সুনামগঞ্জ জেলা বনগাঁ নামটি ধরে রেখেছে। সুনামগঞ্জ মহকুমা ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্তৃপক্ষ ১৯৮৪ সালে এই অঞ্চলটিকে একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

আরও- বিভিন্ন জেলার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন…

সুনামগঞ্জ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান:

সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উত্তর দিকে মেঘালয় রাজ্যের সংলগ্ন। সুনামগঞ্জ জেলার পূর্ব সীমানা সিলেট জেলার সাথে ভাগ করা হয়েছে, অন্যদিকে জেলাটি দক্ষিণে হবিগঞ্জ জেলার সাথে এবং নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

 

ভিডিও ক্রেডিট: Top 10 Bangladesh

সুনামগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ

রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ :
বিপ্লবী ফজলুল হক সেলবর্ষী – সাংবাদিক ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা।
আবদুস সামাদ আজাদ – রাজনীতিবিদ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত – রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের প্রথম রেলমন্ত্রী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ।
সৈয়দা শাহার বানু – ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং সিলেটে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
ফজলুল হক আছপিয়া- জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ।
এম এ মান্নান -পরিকল্পনামন্ত্রী।
আবদুল হান্নান চৌধুরী -স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আইন সচিব।
আনোয়ার চৌধুরী – ব্রিটিশ বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনার হিসাবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম বাঙালি।
ডাক্তার মোহাম্মদ হারিছ আলী – স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আলী আমজাদ – বীর মুক্তিযোদ্ধা (যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার ও সাবেক আইনজীবী)
ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী – রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও জমিদার।

শিল্প সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক :
মহাকবি সঞ্জয় – মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক
মহাপ্রভু অদ্বৈত আচার্য – বৈষ্ণব সাধক
রাধারমণ দত্ত – বৈষ্ণব কবি ও ধামালি নৃত্যের প্রবর্তক
হাছন রাজা – মরমী কবি
শামসুল উলামা আবু নসর ওহীদ- শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ – জাতীয় অধ্যাপক, দার্শনিক
মৌলভী মোনাওর আলী -রাজনীতিবিদ
শাহ আবদুল করিম – বাউলসম্রাট
সুহাসিনী দাস – ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী, সমাজসেবী
নির্মলেন্দু চৌধুরী – উপমহাদেশের প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী
দিনেন্দ্র চৌধুরী – সংগীত সাধক, লোকসংগীত শিল্পী ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এর লোকসংগীতের অধ্যাপক

শাহেদ আলী- কালজয়ী কথাশিল্পী ও ভাষাসৈনিক
হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী – রাজনীতিবিদ, সাবেক স্পীকার
কাঁকন বিবি – নারী মুক্তিযুদ্ধা ও গুপ্তচর
পণ্ডিত রামকানাই দাশ-সংগীতশিল্পী
দুর্বিন শাহ – বাউল সাধক।
ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ -একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি শিশুসাহিত্যিক
সুষমা দাস – একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীত শিল্পী
মনিরুজ্জামান মনির – জনপ্রিয় গীতিকার
উৎপলেন্দু চৌধুরী – সঙ্গীতশিল্পী
সৈয়দ শাহনুর – মরমি কবি
বাউল কামাল পাশা – মরমি সাধক ও গীতিকার
ধ্রুব এষ – চারুশিল্পী
নাসুম আহমেদ – ক্রিকেটার।                                                                         (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া )

 


সুনামগঞ্জ জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বিষয় তথ্য
মোট এলাকা ৩,৬৬৯.৫৮ বর্গ কিমি
মোট জনসংখ্যা ২৪ লাখ (প্রায়)
প্রধান ভাষা বাংলা
প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম কৃষি ও মাছ ধরা
বিখ্যাত পর্যটন স্থান টাঙ্গুয়ার হাওর
 

পর্যটন স্থান

সুনামগঞ্জে অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে। এখানে রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী এবং বারিক্কা টিলা।

  • টাঙ্গুয়ার হাওর: এটি একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও মাছ পাওয়া যায়।
  • যাদুকাটা নদী: এই নদীটি অত্যন্ত সুন্দর। এখানে নৌকা ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়।
  • বারিক্কা টিলা: এটি একটি প্রাকৃতিক টিলা। এখানে থেকে পুরো সুনামগঞ্জ জেলার সৌন্দর্য দেখা যায়।
সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
সুনামগঞ্জ জেলার শিমুল বন

আরও পড়ুন –গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সুনামগঞ্জে বেশ কিছু মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

শহীদ জগৎজ্যোতি কলেজ

এই কলেজটি সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম প্রধান কলেজ। এখানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ

এই কলেজটিও সুনামগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

স্বাস্থ্যসেবা

সুনামগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা ভালো। এখানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে ।

 

সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
সুনামগঞ্জ জেলার নীলাদ্রি লেক

সুনামগঞ্জ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:

সুনামগঞ্জ জেলা তার ভূখণ্ড জুড়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রদর্শন করে। এই ভূমিতে বিল, নদী এবং পাহাড় সহ উভয় হাওর রয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওর বিশেষভাবে বিখ্যাত। এটি একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা।

সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদী:

সুনামগঞ্জ জেলার সমস্ত নদীর মধ্যে সুরমা নদী সর্বাগ্রে অবস্থিত। জেলার প্রধান নদী তার প্রবাহ অনুসরণ করে। সুনামগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন ছোট ছোট জলরাশি এর অন্যান্য নদী এবং খাল তৈরি করে।

সুনামগঞ্জ জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য:

সুনামগঞ্জ জেলা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। এই অঞ্চল জুড়ে অসংখ্য গানের পাশাপাশি নৃত্য এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পাওয়া যায়। সুনামগঞ্জের নাগরিকরা বাউল গান এবং লালন সঙ্গীত উভয়কেই অত্যন্ত প্রশংসা করেন।

সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি অন্যতম সুন্দর জেলা। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও পর্যটন স্থানগুলি জেলার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি করেছে। সুনামগঞ্জ জেলা সম্পর্কে জানার জন্য এটি একটি চমৎকার জেলা।

 

F A Q

সুনামগঞ্জ জেলা কোথায় অবস্থিত?

বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের অন্তর্গত। এটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।

জেলার ঐতিহাসিক স্থান কী?

হাজরত শাহ আরেফিন (রহঃ) মাজার, সুনামগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান।

সুনামগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব কারা?

হাছন রাজা, বাউল সম্রাট লালন শাহ অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

সুনামগঞ্জের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কী?

টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। এটি একটি বৃহৎ জলাভূমি।

সুনামগঞ্জে কিভাবে যাওয়া যায়?

ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে বাস, ট্রেন ও বিমান পথে যাওয়া যায়।

সুনামগঞ্জের বিখ্যাত খাবার কী?

হাওরের মাছ সুনামগঞ্জের বিখ্যাত খাবার।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

আপডেট সময় : ০৯:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলার এটি তার মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ঐতিহাসিক সম্পদের জন্য আলাদা। সুনামগঞ্জ জেলার তার সিলেট বিভাগে অন্যতম প্রধান প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। সুনামগঞ্জ জেলা পর্যটন ও ঐতিহ্যের জন্য বাংলাদেশে তার বৈচিত্র অবস্থান ধরে রেখেছে।

সুনামগঞ্জ জেলার নামকরণ:

বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত তে দেখা যায় যে, সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে মুঘল যোদ্ধা ‘সুনামদী’র নামানুসারে। সম্রাট তাঁর সাহসী যুদ্ধের পর সুনামদীকে এই অঞ্চলে জমি প্রদান করেন। সুনামগঞ্জ বাজার গড়ে ওঠে সেই জমিতে যা সুনামদী সম্রাটের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিল। সুনামগঞ্জকে একটি স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং নামকরণের সূত্রপাত এই ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে।

সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
সুনামগঞ্জ জেলার মসজিদ

সুনামগঞ্জ জেলার ইতিহাস:

প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বর্তমান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ এলাকা অসংখ্য ভাষাগত জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত গোষ্ঠী বসবাস করেছে। পৌরাণিক যুগে সুনামগঞ্জ প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, যা কামরূপ নামেও পরিচিত।

লৌর রাজ্যের স্বাধীনতা পঞ্চদশ শতাব্দীতে শেষ হয় যখন মুঘলরা এর নতুন শাসক হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করে। মুঘল আধিপত্যের ভিত্তিতে সুনাম উদ্দিন এই অঞ্চলে একটি বাজার বা গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। অঞ্চলটি বিভিন্ন প্রশাসনিক পর্যায়ে বিবর্তিত হয় যতক্ষণ না এটি একটি উপজেলা, তারপর মহকুমা এবং শেষ পর্যন্ত জেলা শহরে পরিণত হয়। বর্তমান রূপে সুনামগঞ্জ জেলা বনগাঁ নামটি ধরে রেখেছে। সুনামগঞ্জ মহকুমা ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্তৃপক্ষ ১৯৮৪ সালে এই অঞ্চলটিকে একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

আরও- বিভিন্ন জেলার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন…

সুনামগঞ্জ জেলার ভৌগোলিক অবস্থান:

সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উত্তর দিকে মেঘালয় রাজ্যের সংলগ্ন। সুনামগঞ্জ জেলার পূর্ব সীমানা সিলেট জেলার সাথে ভাগ করা হয়েছে, অন্যদিকে জেলাটি দক্ষিণে হবিগঞ্জ জেলার সাথে এবং নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

 

ভিডিও ক্রেডিট: Top 10 Bangladesh

সুনামগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ

রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ :
বিপ্লবী ফজলুল হক সেলবর্ষী – সাংবাদিক ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা।
আবদুস সামাদ আজাদ – রাজনীতিবিদ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত – রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশের প্রথম রেলমন্ত্রী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ।
সৈয়দা শাহার বানু – ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং সিলেটে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
ফজলুল হক আছপিয়া- জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ।
এম এ মান্নান -পরিকল্পনামন্ত্রী।
আবদুল হান্নান চৌধুরী -স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আইন সচিব।
আনোয়ার চৌধুরী – ব্রিটিশ বাংলাদেশী কূটনীতিবিদ এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনার হিসাবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী প্রথম বাঙালি।
ডাক্তার মোহাম্মদ হারিছ আলী – স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আলী আমজাদ – বীর মুক্তিযোদ্ধা (যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার ও সাবেক আইনজীবী)
ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী – রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও জমিদার।

শিল্প সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক :
মহাকবি সঞ্জয় – মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক
মহাপ্রভু অদ্বৈত আচার্য – বৈষ্ণব সাধক
রাধারমণ দত্ত – বৈষ্ণব কবি ও ধামালি নৃত্যের প্রবর্তক
হাছন রাজা – মরমী কবি
শামসুল উলামা আবু নসর ওহীদ- শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ – জাতীয় অধ্যাপক, দার্শনিক
মৌলভী মোনাওর আলী -রাজনীতিবিদ
শাহ আবদুল করিম – বাউলসম্রাট
সুহাসিনী দাস – ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী, সমাজসেবী
নির্মলেন্দু চৌধুরী – উপমহাদেশের প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী
দিনেন্দ্র চৌধুরী – সংগীত সাধক, লোকসংগীত শিল্পী ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এর লোকসংগীতের অধ্যাপক

শাহেদ আলী- কালজয়ী কথাশিল্পী ও ভাষাসৈনিক
হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী – রাজনীতিবিদ, সাবেক স্পীকার
কাঁকন বিবি – নারী মুক্তিযুদ্ধা ও গুপ্তচর
পণ্ডিত রামকানাই দাশ-সংগীতশিল্পী
দুর্বিন শাহ – বাউল সাধক।
ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ -একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি শিশুসাহিত্যিক
সুষমা দাস – একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীত শিল্পী
মনিরুজ্জামান মনির – জনপ্রিয় গীতিকার
উৎপলেন্দু চৌধুরী – সঙ্গীতশিল্পী
সৈয়দ শাহনুর – মরমি কবি
বাউল কামাল পাশা – মরমি সাধক ও গীতিকার
ধ্রুব এষ – চারুশিল্পী
নাসুম আহমেদ – ক্রিকেটার।                                                                         (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া )

 


সুনামগঞ্জ জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বিষয় তথ্য
মোট এলাকা ৩,৬৬৯.৫৮ বর্গ কিমি
মোট জনসংখ্যা ২৪ লাখ (প্রায়)
প্রধান ভাষা বাংলা
প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম কৃষি ও মাছ ধরা
বিখ্যাত পর্যটন স্থান টাঙ্গুয়ার হাওর
 

পর্যটন স্থান

সুনামগঞ্জে অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে। এখানে রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী এবং বারিক্কা টিলা।

  • টাঙ্গুয়ার হাওর: এটি একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও মাছ পাওয়া যায়।
  • যাদুকাটা নদী: এই নদীটি অত্যন্ত সুন্দর। এখানে নৌকা ভ্রমণ খুবই জনপ্রিয়।
  • বারিক্কা টিলা: এটি একটি প্রাকৃতিক টিলা। এখানে থেকে পুরো সুনামগঞ্জ জেলার সৌন্দর্য দেখা যায়।
সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
সুনামগঞ্জ জেলার শিমুল বন

আরও পড়ুন –গাইবান্ধা জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সুনামগঞ্জে বেশ কিছু মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

শহীদ জগৎজ্যোতি কলেজ

এই কলেজটি সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম প্রধান কলেজ। এখানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ

এই কলেজটিও সুনামগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।

স্বাস্থ্যসেবা

সুনামগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা ভালো। এখানে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে ।

 

সুনামগঞ্জ জেলার পরিচিতি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
সুনামগঞ্জ জেলার নীলাদ্রি লেক

সুনামগঞ্জ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:

সুনামগঞ্জ জেলা তার ভূখণ্ড জুড়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রদর্শন করে। এই ভূমিতে বিল, নদী এবং পাহাড় সহ উভয় হাওর রয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওর বিশেষভাবে বিখ্যাত। এটি একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা।

সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদী:

সুনামগঞ্জ জেলার সমস্ত নদীর মধ্যে সুরমা নদী সর্বাগ্রে অবস্থিত। জেলার প্রধান নদী তার প্রবাহ অনুসরণ করে। সুনামগঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন ছোট ছোট জলরাশি এর অন্যান্য নদী এবং খাল তৈরি করে।

সুনামগঞ্জ জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য:

সুনামগঞ্জ জেলা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। এই অঞ্চল জুড়ে অসংখ্য গানের পাশাপাশি নৃত্য এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পাওয়া যায়। সুনামগঞ্জের নাগরিকরা বাউল গান এবং লালন সঙ্গীত উভয়কেই অত্যন্ত প্রশংসা করেন।

সুনামগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি অন্যতম সুন্দর জেলা। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও পর্যটন স্থানগুলি জেলার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি করেছে। সুনামগঞ্জ জেলা সম্পর্কে জানার জন্য এটি একটি চমৎকার জেলা।

 

F A Q

সুনামগঞ্জ জেলা কোথায় অবস্থিত?

বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের অন্তর্গত। এটি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।

জেলার ঐতিহাসিক স্থান কী?

হাজরত শাহ আরেফিন (রহঃ) মাজার, সুনামগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান।

সুনামগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব কারা?

হাছন রাজা, বাউল সম্রাট লালন শাহ অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

সুনামগঞ্জের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কী?

টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। এটি একটি বৃহৎ জলাভূমি।

সুনামগঞ্জে কিভাবে যাওয়া যায়?

ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে বাস, ট্রেন ও বিমান পথে যাওয়া যায়।

সুনামগঞ্জের বিখ্যাত খাবার কী?

হাওরের মাছ সুনামগঞ্জের বিখ্যাত খাবার।